নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০১৯
এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটিতে থাকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এরকম সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। দলের সভাপতির ইচ্ছা অনুযায়ী এরকম একটি প্রস্তাবনা আগামী শুক্রবারের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কাউন্সিলের আগে, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে। ঐ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাস থেকেই স্থানীয় পর্যায়ের সম্মেলন করার কথা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, দলের সভাপতি স্থানীয় পর্যায়ে এমপিদের একজন কর্তৃত্বের অবসান চান। আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছে ‘এবার প্রায় সব সংসদীয় আসনেই লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারেনি, সেখানেও নারী সংসদ সদস্য দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাই একজন সংসদ সদস্যের দখলে।’ তার মতে ‘ঐ সাংসদ ইউনিয়ন উপজেলা এবং জেলা কমিটিতে কর্তৃত্ব করছেন। অনেক এমপি জেলা কমিটির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক। ফলে ঐ জেলায় তার নিজস্ব বলয় তৈরী হচ্ছে।
উপজেলা পর্যায়ে এমপি এবং উপজলা চেয়ারম্যানরা মিলে মিশে দল করছেন, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দলের নিবেদিত, আদর্শবান কর্মীরা ভালো জায়গা পাচ্ছে না।’ তিনি বলেন ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি, দল এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আলাদা করতে চান। একজন এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যানের অনেক সরকারী এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব থাকে। এসব দায়িত্ব পালন করে তার পক্ষে, দলকে সময় দেয়া কঠিন হয়ে যায়। দল চালায় তার অনুগতরা। দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙ্গে পরে।’ এরকম অবস্থার অবসান চান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সূত্র মতে, একজন এমপি বা উপজেলা চেয়ারম্যান অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঠিক মতো কাজ করছেন কিনা, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন কিনা তা দেখভাল করবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তাছাড়া, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ব্যস্ত থাকার কারণে দলে সময় দিতে পারেন না, ফলে সংগঠন দূর্বল হয়ে পরে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে রিপোর্টে দেখা গেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ অনেকাংশেই মন্ত্রী, এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হয়ে গেছে। এর ফলে দল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দলে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না। আগামী শুক্রবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদককে রিপোর্ট গুলা পর্যালোচনা করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার দলকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একজন প্রভাবশালী সদস্য বলেছেন ‘টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে দল ক্ষমতার বৃত্তে আটকে গেছে। এখান থেকে দলকে বের করতে হবে।’ তিনি বলেন ‘নির্বাচন গুলোর কারণে দলের ভেতর মনোমালিন্য বেড়েছে। কোন্দল, গ্রুপিংও তৈরী হয়েছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে কাউন্সিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাউন্সিল দলকে নতুন রূপে সাজাবে।’ আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা মনে করছেন, অক্টোবরের কাউন্সিলের আগেই দলের বিভেদ এবং অনৈক্য কেটে যাবে। এক নতুন আওয়ামী লীগ আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।