নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রাপ্তি এখন আর আগের মতো সহজ থাকছে না। প্রাথমিক সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য একজনকে বারো তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। ২০০৯ সালের পর যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকেও নতুন করে এই তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢালাওভাবে সুবিধাবাদী এবং মতলববাজরা যেন আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি কঠোর নির্দেশনা জারি করেন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি দলে নেয়ার আগে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রাপ্তির আবেদনে ১২টি তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলো হলোঃ
১. ক. ১৯৭৫ সালে আপনার অথবা পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয় স্বজনের ভূমিকা কী ছিল?
খ. ১৯৭৫ এবং ১৫ আগস্টের পর তাদের চাকরি/ব্যবসায় কি ধরণের পরিবর্তন হয়েছিল?
২. ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের পর আপনার অথবা পিতা/মাতা এবং নিকটাত্মীয়ের অবস্থান/ভূমিকা
৩. ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় আপনার এবং আপনার নিকটাত্মীয়দের ভূমিকা।
৪. আপনার পরিবারের (পরিবার বলতে বাবা/মা/স্ত্রী/পুত্র/কন্যা ইত্যাদি) কেউ কি জামাত কিংবা বিএনপি করে?
৫. যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত/অভিযুক্ত কারো সঙ্গে কি আপনার কোন ধরনের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে?
৬. যুদ্ধাপরাধী পরিবার/ জামাত/ বিএনপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে কি আপনার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে?
৭. আপনি কি কখনো অন্য সংগঠন/ছা্ত্র সংগঠন করেছেন? করে থাকলে কোনটি?
৮. আপনি কি কোন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে)
৯. আপনি কি কখনো মাদক গ্রহণ/ মাদক ব্যবসার কারণে দণ্ডিত/অভিযুক্ত হয়েছেন?
১০. নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে (দুর্নীতি, চুরি ইত্যাদি) আপনি কি আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়েছিলেন?
১১. আপনি কি সন্ত্রাস/অগ্নিসংযোগের কোন মামলার আসামী?
১২. আপনি কি আফগানিস্থান/সিরিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে ছিলেন?
একজন প্রাথমিক সদস্যপদ লাভে ইচ্ছুক এই তথ্যগুলো দিতে হবে। তার এই ফরম কেন্দ্রে আসবে। কেন্দ্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তথ্যের সত্যতা যাচাই করে তারপর তার সদস্যপদ প্রাপ্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সদস্যপদ প্রাপ্তির এই নতুন ফরম পূরণ করে সদস্য গ্রহনের কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন থেকে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।