নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৫ মে, ২০১৯
টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পাঁচ মাসের মাথায় যচিব পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, প্রশাসনে গতি আনতে এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে কাজে সমন্বয়ের জন্যই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঈদের আগেই সচিব পর্যায়ের কিছু রদবদল এবং ঈদের পর বড়ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই রদবদলের মধ্যদিয়ে ৮৬ ব্যাচ থেকে সচিব করা শুরু হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ৮৫ ব্যাচ থেকে আর চার/পাচজনকে সচিব করা হতে পারে। এরপর ৮৬ ব্যাচ হতে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, এখনও ৮৪ ব্যাচে অনেক অতিরিক্ত সচিব, সচিব হবার আশায় বসে আছেন। তাঁদের ভাগ্যে কি হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে সরকারের একটি সূত্র বলছে, ৮৪ ব্যাচ থেকে নতুন কারও সচিব হবার সম্ভাবনা কম। কিন্তু এই ব্যাচের রোকসানা কাদের ( স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব), হারুনার রশীদ (টেলিভিশনের মহাপরিচালক)সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার এখনও সচিব হবার সম্ভাবনা আছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। এছাড়াও অসন্তোষ এবং হতাশা দূর করার জন্য কয়েকটি অধিদপ্তর এবং বিভাগের প্রধানের পদকে সচিব পদমর্যাদার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানাচ্ছে। যেমন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইত্যাদি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর মহাপরিচালক পদটি সচিব মর্যাদার করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে যে রদবদলগুলো হতে পারে, তারমধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে নতুন সচিব পদায়ন। বর্তমানে ওই বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক অবসরকালীন ছুটিতে যাচ্ছেন। এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদকে পদায়ন করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনে সচিব ৮৫ ব্যাচের কাউকে করা হতে পারে। একাধিক সূত্রমতে, কাজে গতি আনতে মন্ত্রীদের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে সচিব পর্যায়ে রদবদল হতে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে সচিব, ভূমি সচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ সচিব পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮ মে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তার জাপান সফরের আগেই সচিব পর্যায়ের কিছু রদবদল হতে পারে।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলেও সচিব পর্যায়ে রদবদল হয়নি। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে সচিবদের সমন্বয়ের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একারণেই অনেক মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের সমস্যার কথা বলেছেন। আবার বেশকিছু মন্ত্রনালয়ে সচিবদের কাজে শ্লথ গতি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। এজন্য প্রশাসনে গতি আনতে এই রদবদলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।