নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
শনিবারে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার পরদিনই জানান যে, এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কেবল তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত এবং ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তিনি এটা বলেছেন যে, আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগের বাতিল হয়নি বলেই ধরে নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী কমিটি বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি ছিল ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের জন্য শেষ সতর্কবার্তা। প্রধানমন্ত্রী এখনই ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল না করে ৫ শর্তে কমিটি রাখার নির্দেশনা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, ছা্ত্রলীগের কমিটি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। তারা যে ভুলগুলো করেছে তা যেন শুধরায় সেই সুযোগটা আমরা দিতে চাই। যদি সেই ভুলগুলো তারা শুধরাতে না পারে তাহলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী ৫ শর্তে ছাত্রলীগের কমিটি রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছে। শর্তগুলো হলো-
১. অভিযুক্ত যাদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, তাদেরকে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে বাদ দিতে হবে।
২. সারাদেশের যেখানে ছাত্রলীগের কমিটি নেই, সেখানে কমিটি গড়ে তুলতে হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ একক সিদ্ধান্তে কিছু করতে পারবে না। সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
৩. ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে সে ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অতিথিদের দাওয়াত দিয়ে তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করলে সেটার আধাঘণ্টা আগে ছা্ত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।
৫. ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সব কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বা তার মনোনীত নেতৃবৃন্দের কাছে জানাতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আগামী ১ থেকে ২ মাস এই শর্তের ভিত্তিতে ছাত্রলীগের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে তারা যদি নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলেই ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি টিকবে।
উল্লেখ্য, গতরাতেও ছাত্রলীগের নেতারা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।