নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
আজ ১৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এবং উপদেষ্টামন্ডলীল সদস্য আমির হোসেন আমুর ৭৯তম জন্মদিন। ১৯৪১ সালের এইদিনে আমির হোসেন আমু জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমির হোসেন আমু একজন পথিকৃৎ নাম।
বিশেষ করে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর। দেশের ফেরার পর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রভাবশালী নেতা যখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে অসহযোগনীতি গ্রহণ করেছিলেন, তখন আমির হোসেন আমু ছিলেন শেখ হাসিনার অন্যতম বিশ্বস্ত সহচারী।
আমির হোসেন আমু অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে সহায়তা করেছিলেন। এজন্য আওয়ামী লীগের অন্যতম নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়েছিলেন আমির হোসেন আমু।
কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের সময় সেই আমির হোসেন আমুর ভূমিকা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যে রহস্যের এখনো উম্মোচন হয়নি। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সরকার আসলে যারা আওয়ামী লীগ থেকে মাইনাস ফর্মূলা দিয়েছিলেন এবং দলের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবের নামে শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আমির হোসেন আমু। এদের মধ্যে কেউ কেউ চাপে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু আমির হোসেন আমু সেই সময় স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ছিলেন। সিঙ্গাপুর থেকে এসেই তিনি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগি হয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। কেন আমির হোসেন আমু সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা আজও অজানা রহস্য। আজও তার উত্তর একটা কোটি টাকার প্রশ্ন।
তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ভ্রান্তিটুকু ছাড়া আমির হোসেন আমু হলেন ঘরোয়া আলাপ আলোচনা কিংবা দরকষাকষিতে অন্যতম সেরা একজন রাজনীতিবিদ।
আমির হোসেন আমুর জন্মদিনে বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।