নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। দুটি পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলেও দলীয় সমর্থন দেয়া হয়।
বুধবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় এই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে দল। আর আজ ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী দিলো আওয়ামী লীগ।
কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পেলেন যারা:
ওয়ার্ড নং- ০১ (পাহাড়তলী): গাজী মো. শফিউল আজিম; সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ০২ (জালালবাদ): মোহাম্মদ ইব্রাহিম; সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ।
ওয়ার্ড নং- ০৩ (পাঁচলাইশ): কফিল উদ্দিন খান; বর্তমান কাউন্সিলর।
ওয়ার্ড নং- ০৪ (চান্দগাঁও): মো. সাইফুদ্দিন খালেদ; বর্তমান কাউন্সিলর ও যুগ্ম-আহ্বায়ক, চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ০৫ (মোহরা): মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন; সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, মহানগর ছাত্রলীগ।
ওয়ার্ড নং- ০৬ (পূর্ব ষোলশহর): এম আশরাফুল আলম; বর্তমান কাউন্সিলর ও সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ০৭ (পশ্চিম ষোলশহর): মো. মোবারক আলী; বর্তমান কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
ওয়ার্ড নং- ০৮ (শুলক বহর): মো. মোরশেদ আলম; বর্তমান কাউন্সিলর ও সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
ওয়ার্ড নং- ০৯ (উত্তর পাহাড়তলী): নুরুল আবছার মিয়া, সভাপতি, পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১০ (উত্তর কাট্টলী): নিছার উদ্দিন আহমেদ; বর্তমান কাউন্সিলর ও সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১১ (দক্ষিণ কাট্টলী): মো. ইসমাইল; সভাপতি, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১২ (সরাইপাড়া): মো. নুরুল আমিন; আহ্বায়ক, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৩ (পাহাড়তলী): মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী; সদস্য, আহ্বায়ক কমিটি, মহানগর যুবলীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৪ (লালখান বাজার): আবুল হাসনাত মো. বেলাল; সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৫ (বাগমনিরাম): মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন; বর্তমান কাউন্সিলর ও সভাপতি, ১৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৬ (চকবাজার): সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু; বর্তমান কাউন্সিলর ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৭ (পশ্চিম বাকলিয়া): মোহাম্মদ শহিদুল আলম; উপ-প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৮ (পূর্ব বাকলিয়া): মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ; বর্তমান কাউন্সিলর ও সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৯ (দক্ষিণ বাকলিয়া): মো. নূরুল আলম সভাপতি, ১৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ।
ওয়ার্ড নং- ২০ (দেওয়ান বাজার): চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বর্তমান কাউন্সিলর ও সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২১ (জামালখান): শৈবাল দাশ সুমন; বতর্মান কাউন্সিলর ও সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২২ (এনায়েতবাজার): মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ; বর্তমান কাউন্সিলর ও সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৩ (উত্তর পাঠানটুলি): মোহাম্মদ জাবেদ; বর্তমান কাউন্সিলর ও সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৪ (উত্তর আগ্রাবাদ): নাজমুল হক; বর্তমান কাউন্সিলর ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৫ (রামপুর): আব্দুস সবুর লিটন; যুগ্ম আহ্বায়ক, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৬ (উত্তর হালিশহর): মোহাম্মদ হোসেন; ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৭ (দক্ষিণ আগ্রাবাদ): মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৮ (পাঠানটুলি): নজরুল ইসলাম বাহাদুর; সভাপতি, ২৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৯ (পশ্চিম মাদারবাড়ী): গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের; বর্তমান কাউন্সিলর ও
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩০ (পূর্ব মাদারবাড়ী): আতাউল্লাহ চৌধুরী; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩১ (আলকরণ): মো. আবদুস সালাম; সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ
ওয়ার্ড নং- ৩২ (আন্দরকিল্লা): জহর লাল হাজারী; বর্তমান কাউন্সিলর ও
উপ-দপ্তর সম্পাদক, মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৩ (ফিরিঙ্গী বাজার): মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন; সাবেক সাধারণ সম্পাদক,
মহানগর ছাত্রলীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৪ (পাথরঘাটা): পুলক খাস্তগীর; সদস্য, আহ্বায়ক কমিটি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৫ (বক্সির হাট): হাজী নুরুল হক; উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৬ (গোসাইল ডাঙ্গা): হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; বর্তমান কাউন্সিলর ও
সভাপতি, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৭ (উঃ মঃ হালিশহর): মো. হোসেন মুরাদ; ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৮ (দঃ মঃ হালিশহর): গোলাম মো. চৌধুরী; বর্তমান কাউন্সিলর ও
সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৩৯ (দক্ষিণ হালিশহর): জিয়াউল হক সুমন; বর্তমান কাউন্সিলর ও
সদস্য, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৪০ (উত্তর পতেঙ্গা): আবদুল বারেক; সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৪১ (দক্ষিণ পতেঙ্গা): ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী; বর্তমান কাউন্সিলর ও
সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেলেন যারা।
ওয়ার্ড নং- ১, ২, ৩: সৈয়দা কাশপিয়া নাহরিন; বর্তমান কাউন্সিল।
ওয়ার্ড নং- ৪, ৫, ৬: জোবাইরা নার্গিস খান; বর্তমান কাউন্সিলর।
ওয়ার্ড নং- ৭ ও ৮: জোহরা বেগম; সভাপতি, ৪২নং সাংগঠনিক ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ৯, ১০ ও ১৩: তছলিমা বেগম (নুরজাহান); সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৪, ১৫ ও ২১: শিউলি দে; সদস্য, ২১নং ওয়ার্ড মহিলা লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৭, ১৮ ও ১৯: শাহীন আকতার রোজী; সদস্য, ১৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়া মহিলা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১৬, ২০ ও ৩২: রুমকি সেনগুপ্ত; মহিলা সম্পাদিকা, ৩২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২২, ৩০ ও ৩১: নীলু নাগ; বর্তমান কাউন্সিলর।
ওয়ার্ড নং- ১২, ২৩ ও ২৪: মিসেস নুর আক্তার (প্রমা); সদস্য, ২৪নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ১১, ২৫ ও ২৬: হুরে আরা বেগম; শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৮, ২৯ ও ৩৬: জিন্নাত আরা বেগম; মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, ৩৬নং ওয়ার্ড ৩নং ইউনিট আওয়ামী লীগ।
ওয়ার্ড নং- ২৭, ৩৭ ও ৩৮: আফরোজা জহুর (আফরোজা কালাম); বর্তমান কাউন্সিলর।
ওয়ার্ড নং- ৩৩, ৩৪ ও ৩৫: লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী; বর্তমান কাউন্সিলর।
ওয়ার্ড নং- ৩৯, ৪০ ও ৪১: শাহানুর বেগম; বর্তমান কাউন্সিলর।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
প্রায় ৩ মাস পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট
আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আলহাজ্ব মাওলানা
মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন। কমিটির অন্যারা
হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব
মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।
প্রসঙ্গ, গত ২৫ জানুয়ারি বিএনপির অনুমতি না নিয়েই ওলামা দলের সিনিয়র
যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. সেলিম রেজাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করাসহ
১৬ জনকে বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মো. নেছারুল হককের নেতৃত্বাধীন
কমিটির বিরুদ্ধে। পরে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
করে বিএনপি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক
এবং মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ওলামা দলের ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক
কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।
এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মো. সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের
অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলের ভোটমুখী
নেতাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। বহিষ্কারের মতো সাংগঠনিক সর্বোচ্চ শাস্তির পরও দলটির তৃণমূলে
বাড়ছে নেতাদের ভোটমুখী প্রবণতা। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জনের ঘোষণা দিলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনেও দল এবং দল-সংশ্লিষ্ট অনেক নেতা ভোটে রয়েছেন।
অবশ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের পেছনে পারিবারিক
ধারা, আঞ্চলিকতার হিসাবনিকাশ, দীর্ঘদিনের জনবিচ্ছিন্নতা কাটানোসহ নানা যুক্তির কথা
বলা হচ্ছে। তবে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, ক্ষমতাসীনদের চাপ ও ফাঁদে পড়ে দলের কেউ
কেউ প্রার্থী হয়েছেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে
কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, যে কোনো মূল্যে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা
হবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত
অমান্য করে জাতীয়সহ স্থানীয় সরকারের ভোট করায় গত কয়েক বছরে দল ও অঙ্গসংগঠনের পদধারী
চারশ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা শতাধিক
নেতা রয়েছেন। বাকিরা সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ
নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
এ ছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে
বিভিন্ন সময় দলটির আরও কিছু নেতাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে দলে ফিরতে
ভুল স্বীকার করে শতাধিক নেতা আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫-২০ জনের বহিষ্কারাদেশ
প্রত্যাহার হয়েছে। এ ছাড়া খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের আরও ২৫
নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির।
জানা গেছে, দলের বহিষ্কৃত অন্য নেতাদের
জন্য সহসাই খুলছে না বিএনপির দরজা। বরং এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য
করে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সম্প্রতি দলের আট নেতাকে বহিষ্কার
করেছে বিএনপি। আর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান,
ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ৬৩ নেতাকে ইতোমধ্যে ৪৮ ঘণ্টা
সময় দিয়ে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের
দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। প্রথম
ধাপের নির্বাচনে ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৩৪টিতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পদধারী নেতারা
মাঠে আছেন।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয়
ধাপে ভোট করতে বিএনপি ও দল-সংশ্লিষ্ট অন্তত ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই ধাপে
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২১ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল।
নির্বাচন থেকে সরে আসতে কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতাদের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ
করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে সাংগঠনিক সর্বোচ্চ শাস্তির বার্তাও। প্রার্থিতা
প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৩০ এপ্রিলের পর প্রথমে তাদের শোকজ
নোটিশ দেওয়া হবে।
তৃতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়ন
ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। চতুর্থ ধাপের
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। শেষ ধাপের এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯
মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ১৯ মে পর্যন্ত।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে
থাকা বিএনপি নেতাদের বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা
রহমান বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে দলে তো আগেই সিদ্ধান্ত ছিল এবং সেটিই বহাল আছে। সুতরাং
সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ নির্বাচন করলে দল তার ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল থেকে বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে আমরা এখনো
চিন্তা করিনি’।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন
বর্জন করলেও ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থানীয় নেতারা
অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে
প্রথম দিকে অংশ নিলেও ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপির
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সব স্থানীয় নির্বাচন
বর্জন করে আসছে বিএনপি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় কুমিল্লার মনিরুল
হক সাক্কু, নারায়ণগঞ্জের তৈমূর আলম খন্দকারসহ অনেককে দলীয় পদ-পদবি থেকে বহিষ্কার করেছে
বিএনপি।
এদিকে দ্বাদশ সংসদের মতো উপজেলা নির্বাচনেও
ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে বিএনপি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নরসিংদী
সদর উপজেলা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জেলার কর্মিসভা শেষে
জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয়
সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।
এসময় তিনি বলেন, জনগণকে আমরা বিগত জাতীয়
নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমরা
নরসিংদীতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছি। এই কার্যক্রম অব্যাহত
থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা, ভোটাররা জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটও বর্জন করবে।
বিএনপির কুমিল্লার (সাংগঠনিক) বিভাগীয়
সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলার মেঘনা উপজেলায় আজ
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) কর্মিসভা ও লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান
জানানো হবে।
এর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগে
জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিভাগের সব উপজেলায়
লিফলেট বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলের ভোটমুখী নেতাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। বহিষ্কারের মতো সাংগঠনিক সর্বোচ্চ শাস্তির পরও দলটির তৃণমূলে বাড়ছে নেতাদের ভোটমুখী প্রবণতা। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জনের ঘোষণা দিলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দল এবং দল-সংশ্লিষ্ট অনেক নেতা ভোটে রয়েছেন।