নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
এগারো বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার যে কুফল, সেগুলো আওয়ামী লীগের মধ্যে স্পষ্টত দৃশ্যমান। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তৃণমূল। বিভিন্ন সংকটে এবং সন্ধিক্ষণে আওয়ামী লীগের তৃণমূলই দাড়িয়েছিল। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, যখন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের আপসকামীতা ছিল দৃশ্যমান তখন আওয়ামী লীগের তৃণমূলই জাতির পিতার পক্ষে দাড়িয়েছিল। তাদের কারণেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ স্বাধিকারের আন্দোলনের দিকে ঝুঁকে যায়।
এসময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতার আপসকামীতা ছিল, কিন্তু তৃণমূলের শক্তিতেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানীদের পরাহূত করতে সক্ষম হয়েছিল।
৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তৃণমূল। এমনকি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট যখন জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে স্বাধীনতার প্রতিপক্ষরা হত্যা করে, তখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন সীমাহীন নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছিল, ঠিক তেমনি বিপরীত চিত্র ছিল তৃণমূলের ক্ষেত্রে। কারণ তৃণমূল তখন রুখে দাড়িয়েছিল এবং তৃণমূলের তীব্র সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষার ফরে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন হয়। তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষার কারণেই ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তৃণমূলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর তৃণমূলই শেখ হাসিনার পাশে দাড়িয়েছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন আওয়ামী লীগের ওপর নির্মম অত্যাচার, হত্যা, লুণ্ঠন শুরু হয়- তখন তৃণমূলই রুখে দাড়িয়েছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় শীর্ষ নেতাদের পদস্থলনের বিপরীতে তৃণমূলের শক্তিতেই মুক্ত হন শেখ হাসিনা।
এই তৃণমূলের শক্তিতেই বলীয়ান আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১১ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের তৃণমূলে যেন পচন ধরেছে। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট থেকে পাপিয়া পর্যন্ত যে কাহিনী, স্থানীয় পর্যায়ের নেতার বাড়িতে টাকার খনি সহ বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য ফাঁস হচ্ছে- সেই অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলে এই যে পচন, তাতে দায়ী কে, এই প্রশ্ন এখন আওয়ামী লীগের মধ্যেই উঠেছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছে, তৃণমূলের এই অবক্ষয় এবং আদর্শহীনতার জন্য ৫টি কারণকে তারা চিহ্নিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কুফল
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের মধ্যে অনেক লোভ, কিছু একটা বানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা, কিছু একটা পাওয়ার উদাগ্র আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়েছে। আর এ কারণেই তৃণমূলের মধ্যেই নানারকম টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্যসহ নানারকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝোঁক বেড়েছে।
আদর্শিক চর্চার অভাব
২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মধ্যে আদর্শের চর্চা হতো। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রন্থ দেওয়া হতো, পাঠচক্র এবং কর্মীসভা, অনুশীলনচর্চা ইত্যাদি হতো। কিন্তু ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা নিজেরাই এখন নানারকম ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছে। ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে আদর্শিক চর্চা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এই আদর্শিক চর্চার অভাবে তৃণমূলের মধ্যে অবক্ষয় ঢুকে গেছে বলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করেন।
দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী
আওয়ামী লীগের মধ্যে এ পর্যন্ত অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামাত থেকে সুবিধাবাদীরা আওয়ামী লীগে আস্তানা গেড়েছে। তারা আওয়ামী লীগের নাম পদবি ব্যবহার করে নানা অপকর্মের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করছে। এটা করা হয়েছে কিছু কিছু কেন্দ্রীয় নেতার যোগসাজশে। তাদের দল ভারি করার মানসিকতা থেকে। যাচাই বাছাই ছাড়া এ ধরণের অনুপ্রবেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, যার মাসুল দিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে।
তৃণমূলের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তা
তৃণমূলের মধ্যে একটা ধারণা হয়ে গেছে তাদেরকে টাকা বানাতে হবে। টাকা বানাতে না পারলে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও হতে পারবে না। কারণ বিগত নির্বাচনে দেখা গেছে যে, দলীয় ত্যাগি পরীক্ষিত কর্মীদের বাদ দিয়ে টাকা পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ী বা বিভিন্ন রকম বিত্তবানদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরফলে তৃণমূলের তরুণদের মধ্যে একটি অর্থলিপ্সা জাগ্রত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর ব্যর্থতা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দায় এড়াতে পারেন না। তাদের প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ঢাকায় বসেই কার্যক্রম করেছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের যে সংগঠন তার দিকে নজরদারি করা, কর্মী সংগ্রহ করা, সম্মেলন করার মতো কাজের ব্যাপারে তাদের তীব্র অনীহা আওয়ামী লীগে এই পচন সৃষ্টি করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
আওয়ামী লীগ তৃণমূল শক্তিনির্ভর একটি দল। তৃণমূলে যদি পচন ধরে তাহলে আওয়ামী লীগ থাকবে না বলে মনে করছেন দলটির নেতৃবৃন্দ। এ কারণেই তৃণমূলের পচনরোধে এখনি আওয়ামী লীগের ভেতরে শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের শক্তি হলো তৃণমূল। আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন; তৃণমূলের মধ্যে যে সমস্ত আগাছা প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। খুব শীঘ্রই আওয়ামী লীগের ভেতরের শুদ্ধি অভিযান দৃশ্যমান হবে।’
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের
বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র
সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।
উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি
পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি
চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের
উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি
সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের
কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব
উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের
শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে
বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের
সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক
ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব
পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু
মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই
রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির
উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য
পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।
তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয়
আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে
তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের
ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা
অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো
ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে
বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক
করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার
করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে
বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’
এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।