নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২০
করোনা সঙ্কটকালে সবচেয়ে আলোচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যতটা না আলোচিত তার থেকে বেশি সমালোচিত। অনেকেই মনে করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যর্থ। কেউ কেউ মনে করেন যে, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসের সবথেকে খারাপ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের একজন। অনেকেই মনে করেন যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, দায়িত্বহীনতার কারণেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্মৃতি থেকে খুব সহজেই অতীতের অপকর্ম, দুর্বৃত্তায়নের গল্প উবে যায়। আর এজন্যেই আমরা হয়তো বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে খুব দায়িত্ববান আচরণ করতে পারছেন না তা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে, জাহিদ মালেক বাংলাদেশের সবথেকে খারাপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী নন। বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে তা নিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত ২৯ জন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদেরকে সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলা যায়।
বাংলাদেশের সবথেকে সফলতম স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করা হয় তাজউদ্দিন আহমেদকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এই সময়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের যে চিকিৎসা কাঠামো সেই কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। অনেকেই মনে করেন যে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত, মুক্তিযুদ্ধের সময় এটা প্রথম বাস্তবায়ন করেছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। তাঁর কারণেই মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চিকিৎসা ক্যাম্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করা হয় অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা বি.চৌধুরীকে। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকাবস্থায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা পরিকাঠামো নির্মাণ এবং চিকিৎসক-নার্সসহ একটি পূর্ণাজ্ঞ বিন্যাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে টিকা দান কর্মসূচী এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচী বিকশিত হয়েছিল।
বাংলাদেশের তৃতীয় সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করা হয় শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে, তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রবর্তিত হয়েছিল এবং তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবায় অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালগুলো বিকশিত হয়েছিল।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে অধ্যাপক ডা. এমএ মতিনকেও একজন সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করা হয় এবং তাঁর আমলে বাংলাদেশে যুগান্তকারী ওষুধ নীতি হয়েছিল, যা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল। এছাড়া এম এ মতিন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা কাঠামোকে যুগোপযুগীকরণ এবং সরকারী হাসপাতালে উন্নত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তালিকায় সালাহউদ্দিন ইউসুফের নামও আসে। যিনি আওয়ামী লীগের হয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর প্রথম দুই বছরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবার বিকাশ এবং কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিলেন।
তবে এই সাফল্যের ভিড়ে আমাদের ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের তালিকাটাও খুব ছোট নয়। বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করা হয় সাকা চৌধুরীকে। যিনি ১৯৮৬ সালের মে মাস থেকে ৮৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ছিলেন। এই সময়ে তিনি ডাক্তারদেরকে জেলে দেওয়া হবে, চিকিৎসা না দিলে তাঁদের পাকরাও করো ইত্যাদি ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং আপত্তিকর কথা বলে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলেছিলেন। চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধের জন্যে প্রস্তাবও পেশ করেছিলেন। নানা কারণে ঘৃণিত, তিরস্কৃত সাকা চৌধুরীর সময়ে বিতর্কিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সবথেকে অস্থির অবস্থা পাড় করেছে বলেও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় নিকৃষ্টতম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মনে করা হয় চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে। তিনি স্বাস্থ্যখাতে বাণিজ্যকরণ, টেন্ডারবাজি এবং দুর্বৃত্তায়নের সূচণা করেন বলে অনেকে মনে করেন। ১৯৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং এই সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে টেন্ডারবাজি, নানারকম অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা এবং বিএনপি দলীয় লোকদেরকে কাজ দেওয়া, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে অনিয়ম শুরু হয়। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির গুরু মনে করা হয় চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় নিকৃষ্টতম এবং সম্ভবত সবথেকে দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়ে ড্যাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একচ্ছত্র লুটপাট, দুর্নীতি শুরু করে। যেকোন নিয়োগ-পদায়নের ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া, চিকিৎসকদের পদোন্নতির জন্যে টাকা নেওয়া, সরকারি হাসপাতালের ওষুধ লোপাট করা এবং যন্ত্রপাতি কেনার নামে হরিলুটের এক রাজত্ব কায়েম করেছিলেন এই সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বিশ্ব ব্যাংক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আমলের পাঁচ বছরে যে টাকা দিয়েছিল তাঁর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকাই লোপাট করেছিলেন ডা. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ড্যাবের নেতারা। কাজেই দুর্নীতির সূচণাকারী এবং বিকশিত করার ক্ষেত্রে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্বাস্থ্যখাতে ‘অমর’ হয়ে থাকবেন। আরেকটি কারণে ড. খন্দকার মোশাররেফ হোসেন বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের অনত্যম। সেটি হলো তিনি এসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য যে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার, সেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি সবচেয়ে অপরিণামদর্শী এবং আত্নঘাতী সিদ্ধান্ত।
এভি এমজি তোয়াব ১৯৭৫-৭৬ এ স্বল্প মেয়াদের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি তেমন কিছুই করতে পারেননি। বরং তখন তাঁর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
এইসব পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, আমাদের বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনেক ব্যর্থ, কিন্তু নিকৃষ্টতম নন। অতীতে যারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধ্বংস করেছিলেন, সেরকম পরিস্থিতিতে তিনি নেননি। তাঁর দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা এবং সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এই ভঙ্গুর অবস্থানে দাঁড়িয়ে সমালোচিত হলেও অনেক অর্জনের গর্বও আছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি এভারকেয়ার হাসপাতাল তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।
বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।
জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।
এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।
শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।
আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।
কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ তৃণমূল উপজেলা নির্বাচন রাজনীতি ড. আব্দুর রাজ্জাক শাজাহান খান জাহিদ মালেক মোস্তফা কামাল
মন্তব্য করুন
এভারকেয়ার হাসপাতাল খালেদা জিয়া বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন