নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৭ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
পৌরসভা নির্বাচনকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্ত করতে আগামীকাল থেকে বহিষ্কার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আজ ছিলো চতুর্থ ধাপে ৫৭টি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে একটি পৌরসভায় একক প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। বাকী ৫৬টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৩৮ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। ঐ সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে স্ব স্ব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা টেলিফোনে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তাদের এটাও জানিয়ে দেয়া হয় যে, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে আজকের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করা হলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার বিকেলের মধ্যে জানা যাবে, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকলেন। আগামীকাল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। যারা আজ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি, কাল তালিকা প্রকাশ করে তাদের বহিষ্কারাদেশের ঘোষণা দিতে পারে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন ‘এব্যাপারে আর কোন ছাড় দেয়া হবে না।’ চতুর্থ দফার ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে ৫৭ পৌরসভায় মেয়র পদে বৈধ প্রার্থী ২৫৮ জন। এর মধ্যে ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার মেয়র পদে একজন প্রার্থী থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। অন্য যে সব পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছ, সেগুলো হলো; ঠাকুরগাঁও সদর এবং রানী সংকৈল, রাজশাহীর নওহাটা, তানোর গোদাগাড়ী ও তাহেরপুর, লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম, নরসিংদী সদর ও মাধবদী, রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ, বরিশালের মুলাদী ও বানাড়ীপাড়া, শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাটোরের বড়াই গ্রাম, খাগড়াছড়ির মাটি রাঙা, বান্দরবন সদর, বাগের হাট সদর, সাতক্ষীরা সদর, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, কুমিল্লার হোমনা ও দাউদ কান্দি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতি, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর ও আলমডাঙ্গা, ফেনীর পরশুরাম, চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, মাদারীপুরের কালকিনি, নেত্রকোনা সদর, যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়া রাঙামাটি সদর, মুন্সীগঞ্জের মীর কাদিম, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, জামালপুরের মেলান্দহ, ময়মনসিংহের ফুলপুর, জয়পুর হাটের আক্কেলপুর ও কালাই, নোয়াখালীর চাটখিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সিলেটের কানাইঘাট।
এখানে যে ৩৮টি পৌরসভার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বহিষ্কারাদেশ তৈরী করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম তিন ধাপের নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাদেরও বহিষ্কার করা হবে।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।