নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২১
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একটি উক্তি করেন। তিনি বলেন, যে এতো বড় দল, এত বড় সংগঠন, এত নেতা তারা কোথায় ছিল ? সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তাণ্ডব ঘটেছে সেই তাণ্ডবের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই উক্তিটিই যেনো বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবগুলো আসনেই আওয়ামী লীগের এমপি বিজয়ী। পৌরসভা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। সেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৬ এবং ২৭ মার্চ যা ঘটলো তা অবিশ্বাস্য, অবর্ণনীয়। এত আওয়ামী লীগ সেখানে কি করেছে ? সেই প্রশ্নটি নতুন করে এসেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেনো একটি টেষ্ট কেস। একটি প্রতীক মাত্র। সারাদেশেই আওয়ামী লীগের এই অবস্থা। গত এক যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় থাকার ফলে ক্ষমতাকেন্দ্রীক রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগের যে মাঠের রাজনীতি তা সংকুচিত হতে হতে প্রায় নিঃশেষিত হয়ে গেছে। দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে গেছে। সুবিধাবাদী, মতলববাজরা দলে কর্তৃত্ব দখল করেছে। যারা নিঃস্বার্থ আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করে তারা কোণঠাসা হতে হতে নিস্ক্রিয় প্রায়। যার ফলে এই সমস্ত সুবিধাবাদী, মতলববাজ, দুর্বৃত্তরা সংকটের সময় রুখে দাঁড়াতে পারে না। দলের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা যেনো তারই প্রমাণ। এই ঘটনার পর এখন আওয়ামী লীগের এমপি এবং নেতারা সেই এলাকায় যাচ্ছেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেক নেতার প্রশ্ন, যখন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভাঙা হলো, তখন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল ? যখন বিভিন্ন স্থাপনাতে অগ্নিসংযোগ করা হলো, তখন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল ? আওয়ামী লীগ কি এতই দুর্বল এবং প্রতিরোধহীন একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে ? যারা নূন্যতম প্রতিরোধ করতে পারে নি। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই স্বীকার করছেন, শুধু মাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয় সারাদেশেই আওয়ামী লীগের অবস্থাটা এরকম। গত এক যুগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুলিশ এবং প্রশাসন নির্ভর হয়ে গেছে। প্রশাসনই যেনো আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। প্রশাসন ঠিক করছে আওয়ামী লীগের গতি প্রকৃতি। আর এর ফলে প্রশাসন নির্ভর রাজনৈতিক দল যে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে পারবে না এর প্রমাণ পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
আর যে প্রশাসন এত অনুগত, আওয়ামী লীগ ভক্ত, তাদেরকে নিয়েও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর কিছু মৌলিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। যে প্রশাসন এতবড় আওয়ামী লীগ, তারা কি করেছে ? ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা সবাই বলছেন। এই অতিভক্ত সরকারি আওয়ামী লীগ এবং অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগ দিয়ে এই সংকটে আওয়ামী লীগ কখনো দাঁড়াতে পারবে না, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের ত্যগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা মনে করছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এখনই দলে সাংগঠনিত শক্তি এবং সত্যিকারের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সামনে আনতে হবে। না হলে দুঃসময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো সবাই পালিয়ে তামাশা দেখতে থাকবে।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।