ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদার বিদেশ যাত্রা যেন রাজনৈতিক না হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২১


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার যে আবেদনটি করেছেন তা এখন আইনমন্ত্রী কাছে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন আইন মন্ত্রণালয় এই আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশের উপর আইনমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে আইনমন্ত্রী বিকেলে জানিয়েছেন যে, আজ সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে যে, আইনমন্ত্রী আইন মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন। তারপর এ সম্পর্কে তার চূড়ান্ত মতামত দেবেন।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পক্ষে তার ভাই যে আবেদনটি করেছেন সে আবেদনটিতে সুনির্দিষ্ট কোন দেশের নাম উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র বিদেশ যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে একরকম ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আসলে কতটুকু অসুস্থ এবং চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে কি মতামত দিচ্ছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য কারো কাছেই নেই। বিএনপি নেতৃবৃন্দ গতকাল পর্যন্ত বলছিলেন যে তার অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বিএনপি নেতারা বলতে থাকেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর। তাকে এখনই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার রীতি পুরাতন। অনেক রাজনীতিবিদই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। এমনকি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কদিন আগে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করে আসলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া কি সত্যি সত্যি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন নাকি তার চিকিৎসার পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হচ্ছে এ নিয়ে এক ধরনের সন্দেহ এবং গুঞ্জন রয়েছে।

প্রথম কথা হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার পরবর্তী উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেছে, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে একজন রোগী ১০ ঘণ্টা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাবেন এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত। তাছাড়া বাংলাদেশের যারা গুরুতর অসুস্থ হয় তাদেরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংকক, থাইল্যান্ড, ভারত বা সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারা অনুযায়ী জামিনপ্রাপ্ত এবং তার জামিনকে শর্তহীন করার জন্য তার আবেদনও সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে যে তিনি কোন দেশে যেতে চান এবং কতদিনের জন্য তার চিকিৎসা প্রয়োজন।

আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, আবেদনে সুনির্দিষ্টভাবে দেশের নাম উল্লেখ ছাড়াও তার চিকিৎসা সারতে কতদিন লাগবে সেটিও উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিলো। তবে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা বলছেন একজন রোগীর চিকিৎসা কতদিন লাগবে এটা আগাম করে বলা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রেও সমাধান আছে। যদি তিনি তিন মাসের জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চান, সেটি যদি আরও সময় লাগে সময় বর্ধিত করা আবেদন করা হবে এবং সেই সময় চিকিৎসকের প্রতিবেদন ও চিকিৎসকের সুপারিশ বিবেচনা করে তার বিদেশে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

কিন্তু অস্পষ্ট একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে যখন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে তখন রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানারকম জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে। গত কিছুদিন ধরেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার পায়তারা করছিল বিএনপি। বিশেষ করে তৃতীয় মেয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। সেই জাবিনের আবেদনটিতে তার বিদেশ যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ে সেই আবেদনটি গ্রহণ না করে পূর্বের ধারায় অর্থাৎ দুইটি শর্তে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। শর্ত দুইটি ছিলো তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা করবেন এবং দেশের ভেতর থেকে চিকিৎসা করবেন।

নির্বাহী আদেশবলে এই শর্তগুলো স্থগিত করাই যেতে পারে কিন্তু সেখানে আবেদনকারীকে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে। আর এই সুনির্দিষ্টকরণ না থাকার কারণে কেউ কেউ সন্দেহ করছেন যে, বেগম জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে একটি ভিন্ন রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মদদ দেওয়া, উস্কানি দেওয়া এমনকি প্রবাসী সরকার গঠন করার কথাও বাজারে চাউর আছে। আর এই সবকিছুর প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট সকলের মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়াটা যেন শুধুমাত্র মানবিক এবং চিকিৎসার জন্যই হয়, কোন রাজনৈতিক কারণে যেন তাকে বিদেশ না যাওয়া হয়। অসুস্থতাকে যেন একটি অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো না হয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা!

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে সেই যৌথ সভা সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন... এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।


যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ   যৌথ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন