ডেইলি স্টারের মিথ্যাচার এমন এক পর্যায়ে পৌছে গেছে যে এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নাম ব্যবহার করে মিথ্যাচার করা শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘’ Probe S Alam Group assets, PM
orders amid allegation of over evaluation of land’’ শিরোনাম একটি সংবাদ প্রকাশ করে তারা। সংবাদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে তারা বলে যে প্রধানমন্ত্রী নিজে নাকি এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় এমন কোনো নির্দেশনা সরকারপ্রধান দেন নি। এস. আলম গ্রুপের সম্পদ মূল্যায়ন নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) উদ্বৃত করে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সংবাদে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তারা পৃথকভাবে বলেছেন, ডেইলি স্টারের মতো পত্রিকার কাছে এরকম অসত্য সংবাদ প্রত্যাশিত ছিল না।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ডেইলি স্টারের সংবাদ পড়ে ‘আই অ্যাম সারপ্রাইজড’। আমি বিস্মিত। এ ধরনের কোনো নির্দেশনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেননি। আমিও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) কোনো কথা বলিনি। কোনোভাবেই ডেইলি স্টারের মতো একটি পত্রিকার কাছে এমন অসত্য সংবাদ প্রত্যাশিত ছিল না।
ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে ডেইলি স্টারে একটি চিঠি (ইংরেজিতে) পাঠানো হয়। সম্পাদক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর ডেইলি স্টারে এস আলম গ্রুপের সম্পদের তদন্ত বিষয়ক একটি সংবাদ আমাদের নজরে এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের নাম জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ অসত্য ও অতিরঞ্জিত; কারণ এস আলম গ্রুপের সম্পদ খতিয়ে দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সংবাদটি প্রকাশের আগে ডেইলি স্টার মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ডেইলি স্টার যোগাযোগ করলে তিনি সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিনি ওরকম কোনো নির্দেশনা পাননি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক তাঁর অধস্তনদেরও কোনো নির্দেশনা দেননি। তা সত্ত্বেও আপনার পত্রিকা মিথ্যা সংবাদটি ছেপেছে যা খুবই শংকাজনক ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মনে হয় তথাকথিত সূত্রগুলোর কল্পনা ও বক্তব্যের ভিত্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে সংবাদটি তৈরি করা হয়েছে। আপনার পত্রিকার এ ধরনের মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, ডেইলি স্টার ভবিষ্যতে কোনো সংবাদ প্রকাশের সময় নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ব্যবহার করবে। মেহেরবানী করে প্রতিবাদলিপিটি আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর যথাযথভাবে প্রকাশ করুন। ধন্যবাদ।’
ডেইলি
স্টার এই ধরণের কাজ হর-হামেশাই করে থাকে। এবং এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে
আসা চিঠির বক্তব্যে উল্টো সুরে কথা বলছে। তারা বলছে, ‘’আমাদের সংবাদে ব্যবহৃত তথ্য
ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরে একাধিক সূত্র দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নোট মুখ্য
সচিব এবং ডিসি চট্টগ্রামকে উল্লেখ করে লেখা অংশ সংশোধম্ন করেছি।‘’ তবে সংশ্লিষ্ট সংবাদ
ও অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি
তোলা হয়।
দ্যা ডেইলি স্টার এস আলম গ্রুপ তদন্ত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের
(পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন
অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ
শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক
নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র
দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন
তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।