প্রেস ইনসাইড

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২: এবার পুরস্কার ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

৮ ক্যাটাগরিতে ২৩টি পুরস্কার, প্রত্যেক বিজয়ী পাবেন ১০ লক্ষ টাকা, ক্রেস্ট ও সনদ আলোকচিত্র ও ভিডিও জার্নালিজম ক্যাটাগরিতে ২টি পুরস্কার, মূল্যমান আড়াই লাখ টাকা।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পুরস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। ইতোমধ্যে ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২’-এর জন্য প্রতিবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। 

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, এবার বেড়েছে পুরস্কারের কলেবর এবং মূল্যমান। সবমিলিয়ে ১০টি ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার পাবেন ২৫ জন। পুরস্কারের মূল্যমান ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বিজয়ীরা প্রত্যেকে পাবেন ক্রেস্ট এবং সনদপত্রও।

গতবছর দেশে প্রথমবারের মতো মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সূচনা করেছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। ওই অনুষ্ঠানে গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ঘোষণা দিয়েছিলেন পরবর্তী পুরস্কারের মূল্যমান হবে ১০ লাখ টাকা। একইসঙ্গে পুরস্কারের কলেবর বৃদ্ধিরও ঘোষণা দিয়েছিলেন বসুন্ধরার স্বপ্নদ্রষ্টা। সে অনুযায়ী এবার ১০টি ক্যাটাগরিতে ২৫টি পুরস্কারের জন্য প্রতিবেদন আহ্বান করা হয়েছে। 

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গতবারের মতো এবারও জাঁকঝমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হবে। দেশের সংবাদপত্র,অনলাইন নিউজপোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে কর্মরত সাংবাদিকরা বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। পুরস্কারের জন্য ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত বা প্রচারিত প্রতিবেদন নির্দিষ্ট ঠিকানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজিতে প্রতিযোগীর নাম, ই-মেইল, মোবাইল নম্বর এবং বর্তমান কর্মস্থলের ঠিকানাসহ এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। 

জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারও এ পুরস্কারের সঙ্গে যুক্ত থাকছে নিরপেক্ষ জুরিবোর্ড। অভিজ্ঞ সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত নিরপেক্ষ জুরি বোর্ড প্রতিটি প্রতিবেদন, আলোকচিত্র ও ভিডিও চিত্র মূল্যায়ন করবেন। সর্বোচ্চ গড় নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারিত হবেন। জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

যেসব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার: ১০টি ক্যাটাগরিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, ভিডিও বা অডিও প্রতিবেদন এবং আলোকচিত্র আহ্বান করা হয়েছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, অপরাধ, নারী ও শিশু, পরিবেশ-জলবায়ু ও মাইগ্রেশন, অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র, আলোকচিত্র এবং ভিডিও জার্নালিজম। প্রথম ৮টি ক্যাটাগতিতে ২৩ জন বিজয়ী প্রত্যেকে পাবেন ১০ লাখ টাকার পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সনদ। শেষ দুই ক্যাটাগরিতে দু’জন বিজয়ী পাবেন আড়াই লাখ টাকার পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সনদ। এগুলোর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে প্রিন্ট, অনলাইন, টেলিভিনের পাশাপাশি রেডিওতেও সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার দেয়া হবে। অপরাধ ও দুর্নীতি, নারী ও শিশু, পরিবেশ, জলবায়ু ও মাইগ্রেশন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ক্যাটাগরিতে প্রিন্ট, অনলাইন, ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের সেরা ৩টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কৃত হবে। সেরা অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রের জন্য নির্বাচিত হবেন ১ জন। সেরা অনুসন্ধানী ভিডিওচিত্র ও আলোকচিত্রের জন্য ২ জন পাবেন পুরস্কার। ভিডিও জার্নালিস্টদের আলাদা করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই। টেলিভিশন ও অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ক্যাটাগরিতে যেসব প্রতিবেদন জমা পড়বে সেখান থেকেই জুরিবোর্ড সেরা অনুসন্ধানী ভিডিও জার্নালিস্ট নির্বাচন করবেন। 

আবেদনের নিয়মাবলী: প্রতিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র ও আলোকচিত্র কুরিয়ার, ই-মেইল অথবা সরাসরি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কার্যালয়ে জমা দিতে পারবেন। জমা দেওয়ার সময় অবশ্যই খামের ওপর অথবা ই-মেইলের সাবজেক্টে কাঙ্খিত ক্যাটাগরির নাম উল্লেখ করতে হবে।একজন প্রতিবেদক শুধু একটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন। তবে সিরিজ প্রতিবেদন হলে একাধিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।

১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশিত বা প্রচারিত হতে হবে। প্রতিবেদনের সঙ্গে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজিতে প্রতিযোগীর নাম, ই-মেইল, মোবাইল নম্বর এবং বর্তমান কর্মস্থলের ঠিকানাসহ এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে। 

প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্রও জমা দিতে হবে। প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের ১০ সেট প্রিন্ট বা স্ক্যান কপি ও অনলাইন লিংক এবং টেলিভিশনের ক্ষেত্রে ১০ সেট স্ক্রিপ্ট, সিডি কপি বা পেনড্রাইভ ও নিউজ লিংক জমা দিতে হবে।

যদি কেউ ই-মেইলে আবেদন করেন তাহলে মূল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্ক্যান কপিসহ ইপেপারের প্রতিবেদনের লিংক জমা দিতে হবে। একইভাবে অনলাইনের ক্ষেত্রে মূল প্রতিবেদনের লিংক জমা দিতে হবে। টেলিভিশন প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মূল ইউটিইউ বা ফেসবুকে আপলোড হওয়া অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের লিংকটি জমা দিতে হবে। টেলিভিশন রিপোর্ট ও অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রের ক্ষেত্রে আবেদনের সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে অবশ্যই ভিডিও জার্নালিস্টের নাম ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। 

প্রতিবেদন পাঠানোর ঠিকানা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড প্লট-৩৭১/এ, ব্লক-ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বারিধারা, ঢাকা-১২২৯।

ইমেইল bashundhara.award@gmail.com প্রতিবেদন জমাদানের শেষ তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোর হুঁশিয়ারি সাংবাদিকদের

প্রকাশ: ০৭:০৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে আরোপিত কড়াকড়ি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা। তা না হলে আগামীতে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দেন সাংবাদিক নেতারা।

বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ)  সাংবা‌দিক নেতারা এসব কথা বলেন। 

‘সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে অবহিতকরণ’ বিষয়ক এক সভার আয়োজন করা হয়। ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সম্পাদক আবুল কাশেম। ইআরএফ সভাপতি ব‌লেন, গত দেড় মা‌সের বে‌শি সময় ধ‌রে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হ‌য়ে‌ছে। ইতোম‌ধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স‌ঙ্গে একাধিকবার যোগা‌যোগ করা হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু কো‌নো সুরাহা হয়‌নি। এমন প‌রি‌স্থি‌তি‌তে তথ্য সংগ্রহে বাধা ও অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তু‌লে নি‌তে কী কর‌তে পা‌রি এ বিষয় পরামর্শ ও মতামত নি‌তে এ আয়োজন করা হ‌য়ে‌ছে। রাজ‌নৈ‌তিক মতাদ‌র্শের ঊর্ধ্বে থে‌কে সাংবা‌দিক‌দের স্বার্থে সবাইকে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান ইআরএফ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ইআরএফের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইং‌রে‌জি দৈ‌নিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ইআরএফের সা‌বেক সভাপ‌তি ম‌নোয়ার হো‌সেন, বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজের (একাংশ) সভা‌প‌তি সো‌হেল হায়দায় চৌধুরী, সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিইউজের অপর অংশের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ম‌হি, ইআরএফের সি‌নিয়র সদস্য সো‌হেল মঞ্জুর, ইআরএফের সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ ব্যাংক   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ফের পিআইবির ডিজি হলেন জাফর ওয়াজেদ

প্রকাশ: ১০:৫০ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। 


পিআইবি   জাফর ওয়াজেদ   ডিজি  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ভুয়া খবর প্রকাশের তালিকায় প্রথম আলো!

প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চসংখ্যক ভুয়া খবর প্রচার করেছে সময় টিভি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আরটিভি ও বাংলানিউজ। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থাভাজন দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ ৯টি ভুয়া খবর প্রচার করেছে। এ ছাড়া ৭টি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি এবং ৬টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪।

এ ছাড়া ৫টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। ৪টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। ৩টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ২টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবকণ্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। ১টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রুপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।

বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচার হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক মূলধারার গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার হিসেবে বুম বাংলাদেশ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবর নিয়ে কাজ করেছে, যেসব ভুয়া খবর গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছে। পরিসংখ্যানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবরের হিসেবই উঠে এসেছে, যেসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের পুরো চিত্র ফুটে উঠবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুম বাংলাদেশ   প্রথম আলো   ভুয়া খবর  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিবিসি নিউজের মুক্তাদির অনিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের আলোর জাওহার ইকবাল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে ৩৫৯ ভোট পেয়ে মুক্তাদির অনিক বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম শহীদুল হক ২৩২ ভোট এবং আবুল কালাম আজাদ পান ২২৮ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান ৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবীর আলমগীর পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহীদ রান ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক অপু পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

নির্বাচনে সহসভাপতি পদে আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনির আহমাদ জারিফ, কোষাধ্যক্ষ পদে নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক পদে জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক পদে মীম ওয়ালী উল্লাহ এবং নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারজানা নাজনীন ফ্লোরা বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বিজয়ী হয়েছেন।

সাব এডিটরস কাউন্সিল  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দাখিল

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত আগামী ১০ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। দুদকের উপপরিদর্শক আক্কাস আলী এ তথ্য জানান।

গত ১৮ এপ্রিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলার চার্জশিটে অনুমোদন দেয় দুদক। 

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা করেন। 

এতে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তার আগে একই বছরের ২৬ নভেম্বর খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদক। অভিযোগপত্র অনুমোদনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগ এতটাই হাস্যকর, যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে এটা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এক্ষেত্রে তদন্তের যে দীর্ঘসূত্রতা হলো, আর তার যে ফল এ পর্যন্ত এল, তাতে কার্যত ন্যায়বিচার থেকেই বঞ্চিত রাখা হলো। এ ধরনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তারপরও আমরা এর নিষ্পত্তিতে বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, ন্যায়বিচার আমি পাব।’

বিডিনিউজ   দুদক   তৌফিক ইমরোজ খালিদী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন