বার বার অপসাংবাদিকতা, সরকার বিরোধী অপপ্রচার, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহী সংবাদ পরিবেশন করেও পার পেয়ে যাচ্ছে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার। দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় প্রথম আলো-ডেইলি স্টার বার বার অপারাধমূলক কর্মকাণ্ড করেও পার পেয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। তবে এসব অপসাংবাদিকতার এবার একটি যথাযথ আইনী বিচার দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল।
বিজ্ঞ মহল বলছেন, লক্ষণীয় যে, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মান হনন করে থাকে। তখন এটা তাদের জন্য জায়েজ বা বৈধ বলে বিবেচ্য হয়। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা বা অন্য কোনো কিছু করা যায় না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে গেলে, তাদের সহযোগিতায় থাকা দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়ানো হয় এবং এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করানো হয়। এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, তিনি একটি টেলিভিশেনের টক শো’তে গিয়ে বলেছিলেন যে, ডিজিএফআইয়ের দেওয়া খবর তিনি যাচাই না করেই ছেপেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি অসত্য সংবাদ পরেবিশন করা হয়েছিল ১/১১-এর সময়ে। সেই সংবাদের প্রেক্ষিতেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বিজ্ঞ মহল আরও বলছেন, ওই সময়েই প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ‘দুই নেত্রীকে চলে যেতে হবে’- বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। যেটা ছিল মানহানিকর, আপত্তিকর, অবমাননাকর। কিন্তু এই সমস্ত মিথ্যা ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের পর যখন তারা এটি স্বীকার করলেন, তারপর যখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন মহল উদ্যোগ নিলো, তখন তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে নালিশ জানানো শুরু করলো এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করলো। গত কয়েক মাস ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রথম আলো একটি মিশনে নেমেছে এবং মিশনটা হলো সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করা, সরকারের ইমেজ নষ্ট করা এবং সরকারের সম্বন্ধে জনগণের মধ্যে একটি বিভ্রান্তি তৈরি করা।
তারা কি কি করলো?
১. ইসলামী ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ানো: অতি সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়িয়েছে প্রথম আলো। যে গুজব ছড়ানোর ফলশ্রুতিতে ইসলামী ব্যাংকের একটি নড়বড়ে অবস্থা হয়ে গেল। যে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে যদি এরকম একটা সংবাদ করা হয়, তাহলে আমানতকারী লোকজন যদি ব্যাংক থেকে টাকা তোলা শুরু করেন, তাহলে যে কোনো ব্যাংক অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে। আমরা দেখেছি, সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায় একাধিক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেরকম কোনো পরিস্থিতি হয়নি। তারমানে ব্যাংক নিয়ে করা প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনগুলো ভিত্তিহীন।
২. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি: প্রথম আলো সংবাদ করলো, সুযোগ পেলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে অর্থাৎ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে মানুষের নাভিশ্বাস- এসব খবর পরিবেশন করলো প্রথম আলো। প্রকৃতপক্ষে করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমেরিকার মতো উন্নত রাষ্ট্রেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রভাব পড়েছে যুক্তরাজ্যেও। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতোটা বেহাল অবস্থায় যায়নি। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে, বিদ্যুৎ- জ্বালানির দাম সামান্য বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে ব্যর্থ হয়নি সরকার। তারমানে হচ্ছে, বিদ্যুৎ- জ্বালানি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে প্রথম আলো যেসব সংবাদ পরিবেশন করেছে, সেগুলোও ভিত্তিহীন।
৩. স্বাধীনতা দিবসে ষড়যন্ত্র: সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো যে কাজটি করেছে, সেটি হলো- প্রথম আলো যে ছবিটি ছেপেছে, এটা জাকিরের ছবি নয়। এটা সবুজের ছবি। এটাতো একটি দোষ, একটি অপরাধ। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত একবারও তাদের দোষ স্বীকার করছে না। বরঞ্চ দোষ স্বীকার না করে এটাকে তারা চ্যালেঞ্জ করছে। এবং তারা এখন সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নানা রকম বিবৃতি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিষয়টি সরকারের বিষয় নয়, এটি একটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ যদি কথা বলে বা কটাক্ষ করে, সেটাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিবে? বা বৃটেনে যদি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ বিদ্রুপ করে, সেটা কি কেউ সহ্য করবে?
বিজ্ঞ মহল বলছেন, এসব উন্নত দেশের কথা না হয় বাদই থাকলো। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও যদি কেউ এমন করতো, তাহলে তার জন্য কি ধরনের শাস্তি হতো? প্রথম আলো যে অপসাংবাদিকতা করেছে এবং বিভিন্ন সময় যে বিভিন্ন মিশন নিয়ে কাজ করেছে, এটার বিরুদ্ধে তারা সব সময় ধরা-ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তবে এবার আশা প্রকাশ করা হচ্ছে যে, এসব ঘটনার যথাযথভাবে বিচার হবে এবং আইনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত হবে।
বেঁচে যায় প্রথম আলো ডেইলি স্টার আইন অপরাধ
মন্তব্য করুন
একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের
(পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন
অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ
শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক
নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র
দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন
তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।