প্রেস ইনসাইড

জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই কি প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই কি প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?

গতকাল ২ এপ্রিল (রোববার) দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের সম্পাদকীয় নীতির ভিত্তি’- শিরোনামে একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন। ওই উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাই দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকটির সম্পাদকীয় নীতি। উপ-সম্পাদকীর শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘গত ২৩ মার্চ প্রথম আলোর ২৭ জন নতুন কর্মীকে নিয়ে জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা অফিসের বড় সভাকক্ষটিতে বসেছিলাম। বসেছিলাম প্রথম আলোয় চর্চিত সম্পাদকীয় নীতি, মূল্যবোধ আর সংস্কৃতি তাঁদের বুঝিয়ে বলতে। সেখানে খুব সুনির্দিষ্টভাবে আমরা বলেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের যেটা চেতনা, এক কথায় সেটাই প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতির মূল ভিত্তি।’ 

তবে এই উপ সম্পাদকীয় প্রকাশিত হবার পর সংবাদ মাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল মনে করছেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ মার্চ রাতে প্রথম আলো সম্পাদক এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর- এই সময়ে একটু নরম হয়েছে প্রথম আলোর সুর। বিজ্ঞ মহল বলছেন, কিন্তু প্রশ্ন হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পাদকীয় নীতির একটি জাতীয় দৈনিক মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেন এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে? দৈনিকটি একজন দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। কিন্তু পরে জানা গেছে, প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভুয়া। শিশুটির নাম সবুজ এবং সে প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। সে মোটেও দিনমজুর নয়। বরং সে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য স্কুল শেষ করে বিকেল বেলায় মায়ের সাথে ফুল বিক্রি করে থাকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, সে ছবির মানুষটি দিনমজুর জাকির হোসেনই হোক বা শিশু সবজুই হোক, সেটা না হয় বাদই থাকলো। কিন্তু স্বাধীনতা নিয়ে যে কটুক্তি ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম’- এ ধরনের একটি উদ্ধৃতি একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দৈনিক কিভাবে প্রকাশ করে?- বলছিলেন সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল।              

বিজ্ঞ মহল আরও বলছেন, তারা (প্রথম আলো) মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বলে, এজন্যই কি তারা বিভিন্ন সময়ে জামায়াত-বিএনপিকে তোষামোদ করেছিল? আবার জামায়াতের হাত থেকে যখন ইসলামী ব্যাংককে মুক্ত করা হয়েছে, তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই কি - ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ঙ্কর নভেম্বর’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল এই প্রথম আলো? তার জন্যই কি তারা আবার জামায়াতের হাতে ইসলামী ব্যাংককে তুলে দেয়ার পায়তারা করেছে? এটাই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংগঠনের সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের লাকির চরিত্র হনন করে গল্পও ছেপেছিল প্রথম আলো! এই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্যই কি তাদের স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতাকে এমন কটাক্ষ? এসব কর্মকান্ড থেকে সহজেই প্রতীয়মাণ হয় যে, জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য!



সাজ্জাদ শরীফ ওই উপ-সম্পাদকীয়তে আরও লিখেছেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভেতরে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, সম–অধিকার, সাম্য ও বাঙালিত্বসহ যেসব আদর্শের অভাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতা এবং কোটি মানুষকে পীড়িত করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিল, সেই চেতনাই আমাদের সাংবাদিকতা–চর্চার ভিত্তি। কারণ, এই আদর্শের চর্চার মধ্যেই আছে নাগরিক ও দেশের উন্নয়ন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের সাংবাদিকতার অন্তরে লালন করি। কারণ, আমরা সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয় চাই।’

কিন্তু বিজ্ঞ মহল বলছেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং তার সম্পাদিত পত্রিকাটি সব সময়ই গণতন্ত্র বিরোধী। এই গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থানের চিত্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ১/১১ এর সময়ে তার অবস্থান এবং তার আসল চেহারা প্রস্ফুটিত হয়েছিল। সেই সময়ে তিনি দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে একটি লেখা লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’। অর্থাৎ ১/১১- এর সময়ে তিনি ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র সপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিরাজনীতিকরণের অন্যতম একজন উদ্যোক্তা। 

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রথম আলো এবং এর সম্পাদক মতিউর রহমান জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তায়নে কাজ করেছেন। এসব বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি এবং উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে।  

এক. ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ করেনি প্রথম আলো। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। বাংলাদেশের জন্য এক অন্ধকার সময়। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভোট কারচুপির হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের আগেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের মদদে প্রায় তিন শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে। মিথ্যা অজুহাতে গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে। সংখ্যালঘু ভোটারসহ নারী ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে না আসে তার জন্য ভয়ভীতি দেখায় বিএনপি - জামায়াত ক্যাডাররা। নির্বাচনের পর পরই শুরু হয় দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থক আর সংখ্যালঘুদের উপর বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন। নির্বিশেষে হামলা চালায় অসহায় সহজ সরল মানুষের ওপর। হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতনে আত্মহারা হয়ে যায় সমগ্র জাতি। শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ কেউ বাদ যায়নি বিএনপি-জামায়াতের হায়েনাদের অত্যাচার, নির্যাতন থেকে। হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষ বাস্তুভিটা থেকে আশ্রয়হীন অবস্থায় পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে, শহরে, মহল্লায়, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে। তারপরও জীবন রক্ষা হয়নি। অনেকে পাঁচ বছর ধরে বাস্তুভিটায় ফিরেও আসতে পারেননি। মানবতার এত বড় অসম্মান এদেশে স্বাধীনতার পর আর কখনও হয়নি। লুণ্ঠিত হয় মানবতা। কিন্তু সেই সময়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত এই পত্রিকা জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে একটিও সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে দেখা যায়নি।  

দুই. ১/১১ এর সময়ে তারা (প্রথম আলো) ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র কথা বলেছে। কিন্তু এ সময় তারা কখনই জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অসদাচরণ বা জামায়াতের অগণতান্ত্রিকভাবে দল পরিচালনার কথা বলেনি। বরং পরোক্ষভাবে জামায়াতের প্রশংসা করেছে। সামরিক সমর্থিত মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকারের সময়ে এই প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান লিখেছিলেন, ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’- শিরোনামে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দেশের বিরাজনীতিকরণের উস্কানি। অথচ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের যেসব অপকর্ম হয়েছিল, তা নিয়ে জামায়াতের কোনো নেতাকে কটাক্ষ করে বা জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদনও লেখেনি এই প্রথম আলো। জোট সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা, নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা ইত্যাদি অভিযোগে বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল দেশবাসীর। ১/১১ এর সময়ে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলে প্রথম আলো দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়ানোর লেখা প্রকাশ করতে পারলো, অথচ জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে একটি লেখা বা প্রতিবেদনও প্রকাশ করতে পারলো না? সরকারি দল বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সাল থেকে যেসব অপরাধ ও অপকর্ম সংঘটিত করেছিল সেসবের কারণে তীব্র ক্ষোভও ছিল দেশের সাধারণ মানুষের। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তখন কি করেছিল দৈনিক প্রথম  আলো এবং এর সম্পাদক মিতিউর রহমান? প্রসঙ্গতই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?  

তিন. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে তারা (প্রথম আলো) উপ-সম্পাদকীয় লিখেছে। ডেভিড বার্গম্যানসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে, তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণভাবে ছেপেছে এই পত্রিকা প্রথম আলো। ‘ক-তে কাদের মোল্লা, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই’- স্লোগানগুলো দিয়ে সে সময়ে দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন লাকি আক্তার। সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সংগঠিত শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের স্লোগানকন্যা হিসেবেই বেশ পরিচিত পান লাকি। সে সময় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের পরেই উচ্চারিত হতো লাকি আক্তারের নাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংগঠনের সময়ে গণজাগরণ মঞ্চের লাকির চরিত্র হনন করে গল্প ছেপেছিলে এই প্রথম আলো! এই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? প্রসঙ্গতই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?
 


চার. ইসলামী ব্যাংক যখন জামায়াতমুক্ত করা হয়। সরকার যখন জামায়াতের হাত থেকে ইসলামী ব্যাংক মুক্ত করার ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেয় এবং ইসলামী ব্যাংককে জামায়াতের হাত থেকে মুক্ত করে। তখন সেই উদ্যোগের বিরোধীতা করেছিল প্রথম আলো। আবার যেন জামায়াতের হাতে ইসলামী ব্যাংক ফেরত যায়, সেজন্যে- ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ঙ্কর নভেম্বর’- শিরোনামে ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে মনগড়া, বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে প্রথম আলো। এই ব্যাংকটির উপর থেকে যেন গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়, সেই ষড়যন্ত্র করেছিল এই প্রথম আলো। এছাড়া অতি সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ায় এই দৈনিকটি। যে গুজব ছড়ানোর ফলশ্রুতিতে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থা খানিকটা নড়বড়ে হয়ে গেল। যে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে যদি এরকম একটা নেতিবাচক সংবাদ করা হয়, তাহলে আমানতকারী লোকজন যদি ব্যাংক থেকে টাকা তোলে নেয়া শুরু করেন, তাহলে যে কোনো ব্যাংক অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো ব্যাংকও দেউলিয়া হয়ে যাবে। প্রসঙ্গতই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?    

এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করে সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম আলো। এই কি তাহলে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? এই কি তবে তাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা? তবে কি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই প্রথম আলোর উদ্দেশ্য?

জামায়াত   প্রথম আলো   ইসলামী ব্যাংক   গণজাগরণ মঞ্চ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক কাণ্ডে দায়ীদের শাস্তির দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে হতাহতের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ ও নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন নোয়াব শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এই দুই সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের যৌথ সভা শেষে বিবৃতি প্রচার করা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংর্ঘষিক পরিস্থিতির এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক। এখনও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

একই সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রসহ সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।  
  
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে যৌথসভায় নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ এমপি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান, বনিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির, ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ,  ইনকিলাব সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিন, ঢাকা ট্রিব্রিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন এবং সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

সম্পাদক পরিষদ   নোয়াব   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীতে আহত ২৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক মেহেদি হাসান (২৮) মারা গেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন সাংবাদিক।

পুলিশ ছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ।


কোটা আন্দোলন   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন


Thumbnail

গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুজ্জামানের  সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ডলার, শেখ রহমতুল্লাহ, শামীউল আলীম।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান, বিএফইউজের সাবেক সদস্য জাবীদ অপু, আরটিজেএ কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান রুবেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালীদের লুটপাটের চিত্র উন্মোচনে গণমাধ্যমের গুটি কয়েককর্মী কাজ করছেন। তাদের সেই কণ্ঠ রোধ করতে প্রভাবশালীরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আবার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার, দুর্নীতি, অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে কাজ করেন। সেই লেখনি কোনো অপশক্তি বন্ধ করতে পারবে না।


সাংবাদিক   অপপ্রচার   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত করবে: ডিআরইউ

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। 
রোববার (২৩ জুন) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, যাদের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা প্রমাণ করা। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, এ নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ মাধ্যমকে দোষারোপ করা শোভনীয় নয়। বরং এর মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা যৌক্তিক নয়। দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও একইসঙ্গে কাজ করবে সাংবাদিক ও পুলিশ।

তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় দায়িত্বশীল এবং তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে এ সকল সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা। সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো মহল এবং সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। আমরা বলতে চাই, সব তথ্যই গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে তথ্য উপাত্ত বের করে থাকেন এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে এ ধরনের কিছু তথ্যভিত্তিক খবর বিভিন্ন পত্রিকা এবং টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে।

ডিআরইউ নেতারা বলেন, বাধা বিপত্তির মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ডিআরইউ। কারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   দুর্নীতি   ডিআরইউ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার (২২ জুন) বিএফইউজে’র থেকে দেয়া বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর কোন কোন নেতা এবং কোন কোন সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ ক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাঁদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শান্তি নিশ্চিত করা। এসকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোন শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।

বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। সংশিষ্ট সব মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   বিএফইউজ   ডিইউজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন