প্রেস ইনসাইড

নরম হলো প্রথম আলোর সুর!

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail নরম হলো প্রথম আলোর সুর!

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস। সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হয়ে বের হয়ে আসেন। এর আগে দুপুরে শামসুজ্জামানকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত। 

এদিকে গতকাল রোববার (২ এপ্রিল) রমনা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলার প্রধান আসামি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয় হাইকোর্ট। রোববার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আদালত বলেন, প্রথম আলোর বিষয়টি আরেকটি বাসন্তী কাহিনী। দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে এটা করা ঠিক হয়েছে কিনা- সেই প্রশ্নও করেন আদালত। বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে আগাম জামিন দেন আদালত। শুনানিতে ‘বিষয়টি আরেকটি বাসন্তী কাহিনী’ - বলেও মন্তব্য করেন আদালত।  

শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নামে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন আবদুল মালেক নামের আইনজীবী। এ মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক, প্রতিবেদক ছাড়াও সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এর আগে একই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিবেদক শামসের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোমবার জামিন পেয়েছেন প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস।       

অন্যদিকে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকেই প্রথম আলো তথা মতিউর রহমানের দোসর সুশীলদের মাথা ব্যথ্যা শুরু হয়। এই মামলা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে প্রথম আলো এবং মতিউর রহমানের দোসর সুশীলরা একের পর এক বিভিন্ন ধরনের বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে আলোচনামুখর করে তুলে। এসব বিবৃতি প্রথম আলোতে লাগাতার ফলাও করে ছাপানো হয়। বিবৃতিগুলো প্রথমে পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে এবং পরে কাগজে প্রকাশিত হতে থাকে।  

গত বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে রোববার (২ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রথম আলো ও এর সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষে সরকারকে আক্রমণ করে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়ে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার দেওয়া বিবৃতি ও লেখা ছাপানোর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল দৈনিকটি। ওই পাঁচ (৫) দিনে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, এসব বিবৃতি, প্রতিবেদন ও প্রতিটি লেখাই ছিল সরকারের প্রতি আক্রোসমূলক। লেখা ও বিবৃতিগুলোতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং প্রতিবেদক মামসুজ্জামান শামস-এর পক্ষে বেশ জোরেশোরেই সাফাই গেয়েছিলেন প্রথম আলো ও মতিউর রহমানের দোসররা।  
কিন্তু গতকাল ২ এপ্রিল (রোববার) দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের সম্পাদকীয় নীতির ভিত্তি’- শিরোনামে একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছেন। ওই উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাই দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকটির সম্পাদকীয় নীতি। উপ-সম্পাদকীর শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘গত ২৩ মার্চ প্রথম আলোর ২৭ জন নতুন কর্মীকে নিয়ে জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা অফিসের বড় সভাকক্ষটিতে বসেছিলাম। বসেছিলাম প্রথম আলোয় চর্চিত সম্পাদকীয় নীতি, মূল্যবোধ আর সংস্কৃতি তাঁদের বুঝিয়ে বলতে। সেখানে খুব সুনির্দিষ্টভাবে আমরা বলেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের যেটা চেতনা, এক কথায় সেটাই প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতির মূল ভিত্তি।’ 

তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভেতরে গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, সম–অধিকার, সাম্য ও বাঙালিত্বসহ যেসব আদর্শের অভাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতা এবং কোটি মানুষকে পীড়িত করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিল, সেই চেতনাই আমাদের সাংবাদিকতা–চর্চার ভিত্তি।’

এসব বিষয়ে সংবাদ সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল বলছেন, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ মার্চ রাতে প্রথম আলো সম্পাদক এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর পরই একটু নরম হয়েছে প্রথম আলোর সুর। এ সময়ে প্রথম আলো নিজেদের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি বলে দাবি করছে। প্রথম আলো সব সময়ই খোলস বদলায়। এবারও তার ব্যতিক্রম করেনি। প্রথম আলোতে প্রকাশিত এই উপ-সম্পাদকীয়টির লেখাটিও এমনই একটি খোলস বদলানোর রূপ। 

বিজ্ঞ মহল আরও বলছেন, অপসাংবাদিকতা, সরকার বিরোধী অপপ্রচার, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিরর লক্ষ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহী সংবাদ পরিবেশন করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিবৃতি প্রদান করিয়ে বার বারই পার পেয়ে যায় প্রথম আলো। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সংখ্যায় রাষ্ট্রবিরোধী, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটুক্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আবারও সেই বিবৃতির ছকে বাঁধা ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল প্রথম আলো। কিন্তু মামলা হওয়া এবং প্রতিবেদক গ্রেপ্তার হবার পর প্রথম আলো এসব লেখা ও বিবৃতি প্রকাশ করলেও ভেতরে ভেতরে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে একটু নরম হয়েছিল প্রথম আলো। এ মামলায় সম্পাদক মতিউর রহমান এখনও গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন। যে কারণেই তিনি হাইকোর্ট থেকে দ্রুত আগাম জামিন নিয়েছেন। তবে এখন দেখার বিষয় প্রথম আলোর এই সুর কতদিন নরম থাকে? আবার কখন খোলস বদলায় প্রথম আলো?

প্রথম আলো   সম্পাদক   মতিউর রহমান  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক কাণ্ডে দায়ীদের শাস্তির দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে হতাহতের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ ও নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশন নোয়াব শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। একই সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এই দুই সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের যৌথ সভা শেষে বিবৃতি প্রচার করা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংর্ঘষিক পরিস্থিতির এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক। এখনও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

এতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।

একই সঙ্গে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রসহ সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।  
  
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে যৌথসভায় নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ এমপি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান, বনিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির, ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ,  ইনকিলাব সম্পাদক এ এমএম বাহাউদ্দিন, ঢাকা ট্রিব্রিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন এবং সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

সম্পাদক পরিষদ   নোয়াব   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

কোটা সংস্কার আন্দোলন: রাজধানীতে আহত ২৫ সাংবাদিক

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের খবর সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক মেহেদি হাসান (২৮) মারা গেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন সাংবাদিক।

পুলিশ ছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় একজন পরিদর্শকসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহ মিরাজ উদ্দিন, রূপনগর থানার এসআই আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম, পিওএম সাউথ ডিভিশনের কনস্টেবল তানভীর, মাহমুদুল ইসলাম, মাহিন ইসলাম নাসিম, পিওএম নর্থ ডিভিশনের কনস্টেবল মুক্তার ও মুরাদ, মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান আলী ও রাশেদ এবং গুলশান ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আবদুল লতিফ।


কোটা আন্দোলন   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন


Thumbnail

গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ, সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার ও হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শিবলী নোমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকি বন্ধ, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার আপত্তিকর বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুজ্জামানের  সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার ডলার, শেখ রহমতুল্লাহ, শামীউল আলীম।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম তোতা ও সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান, বিএফইউজের সাবেক সদস্য জাবীদ অপু, আরটিজেএ কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান রুবেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সোহান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, কোষাধ্যক্ষ সরকার দুলাল মাহবুব, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালীদের লুটপাটের চিত্র উন্মোচনে গণমাধ্যমের গুটি কয়েককর্মী কাজ করছেন। তাদের সেই কণ্ঠ রোধ করতে প্রভাবশালীরা নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। আবার দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। সাংবাদিকরা গণমাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার, দুর্নীতি, অনিয়মের চিত্র তুলে ধরতে কাজ করেন। সেই লেখনি কোনো অপশক্তি বন্ধ করতে পারবে না।


সাংবাদিক   অপপ্রচার   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত করবে: ডিআরইউ

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ২৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। 
রোববার (২৩ জুন) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, যাদের নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা প্রমাণ করা। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, এ নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ মাধ্যমকে দোষারোপ করা শোভনীয় নয়। বরং এর মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতি উৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা যৌক্তিক নয়। দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও একইসঙ্গে কাজ করবে সাংবাদিক ও পুলিশ।

তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় দায়িত্বশীল এবং তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে এ সকল সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা। সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো মহল এবং সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। আমরা বলতে চাই, সব তথ্যই গণমাধ্যমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ পরিবেশন করা। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে তথ্য উপাত্ত বের করে থাকেন এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে এ ধরনের কিছু তথ্যভিত্তিক খবর বিভিন্ন পত্রিকা এবং টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়েছে।

ডিআরইউ নেতারা বলেন, বাধা বিপত্তির মুখেও সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ডিআরইউ। কারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   দুর্নীতি   ডিআরইউ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার (২২ জুন) বিএফইউজে’র থেকে দেয়া বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু ক্ষমতাধর বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এ সকল সংবাদ প্রকাশের পর কোন কোন নেতা এবং কোন কোন সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ ক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাঁদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা। এ ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের শান্তি নিশ্চিত করা। এসকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোন শোভন কাজ নয়। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোন কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয়।

বিবৃতিতে নেতারা উল্লেখ করেন, বিএফইউজে ও ডিইউজে স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন। সংশিষ্ট সব মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন   বিবৃতি   বিএফইউজ   ডিইউজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন