স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী দৈনিক প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছে স্বাধীনতা সচেতন নাগরিক সমাজ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
এই মানব-বন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা ঐক্যমঞ্চ, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংঘ, বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, গৌরব’৭১, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, বিশ্বভরা প্রাণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম ব্রিগেড, বৈতরণী, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক পর্ষদ, বাংলাদেশ শিশু সংগঠন ঐক্যজোট, বিচ্ছু বাহিনী, বৃন্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশন, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, শ্লোগান’৭১, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলার মুখ, জাতীয় ওলামা সমাজ এবং রৌদ্র করোটি। এছাড়াও আরও প্রায় চল্লিশটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুক্ত বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচিতে যুক্ত আছে।
সচেতন নাগরিক সমাজ জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘ দিন যাবৎ- প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দেশের যে কাগজটি সুকৌশলে কাজ করছে, সে কাগজটি হলো প্রথম আলো। বাংলাদেশে গত ৩০ বছরে মুক্ত স্বাধীনতার সুযোগে অনেক কাগজই বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও মৌল ধারণাকে নিয়ে দেশী এবং বিদেশীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ এবং সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একজন শিশুকে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করার মতো এ রকম একটি হীন কাজ করেছে প্রথম আলো। এ ঘটনায় একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। তাই একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা মানব-বন্ধনে দাঁড়াব।
একটি সংবাদকর্মে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভুল’ বলে যে অপব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে এই সংবাদপত্রটি বার বারই একই ধরনের অপসাংবাদিকতা চালিয়ে আসছে। গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে শিশুটির উদ্ধৃতি ছিলো এমন- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। এই উদ্ধৃতি একদিকে যেমন শিশু শোষণ বা চাইল্ড একপ্লোয়টেশন (child exploitation) আইনের আওতায় পড়ে। তেমনি একটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে একটি শিশুকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত কথা বলানো রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনেও পড়ে। কাগজটি বলছে, শিশুটির নাম জাকির হোসেন। কিন্তু পরে জানা গেছে, প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভুয়া। শিশুটির নাম সবুজ এবং সে প্রথম শ্রেণির একজন ছাত্র। সে মোটেও দিনমজুর নয়। বরং সে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য স্কুল শেষ করে বিকেল বেলায় মায়ের সাথে ফুল বিক্রি করে থাকে। এসব ঘটনা বিশ্লেষনে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এই কাগজটি সুকৌশলে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নকে কটাক্ষ করেছে।
সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিপরীতে এই সংবাদ মাধ্যমে যে আন্তর্জাতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং নানবিধ চক্রান্ত চলছে- এগুলোর বিরুদ্ধে আজ আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
স্বাধীনতা বিরোধী প্রথম আলো মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের
(পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আইন
অনুযায়ী বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদকে তার বর্তমান নিয়োগের ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ
শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে পিআইবির মহাপরিচালক পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক
নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই পুনঃচুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র
দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন
তিনি। এরপর আরও দুইবার পিআইবি’র মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। সর্বশেষ মঙ্গলবার
টানা চতুর্থবারের মতো এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।