দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তির দাবিতে মানব-বন্ধন করেছে দেশের স্বাধীনতা-সচেতন নাগিরক সমাজ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানব-বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিনোদন জগতের অনেকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাতবারের মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ, তিন বার এই পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী তারিন জাহান ও অভিনেত্রী তানভিন সুইটিসহ আরও অনেকে। তারা বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোতে গত ২৬ মার্চ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে মিথ্যা, বানোয়াট ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ পরিবেশন করার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে এ ধরনের হীন ষড়যন্ত্রের বিচার দাবি করেছেন।
অন্যদিকে দেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির মদদপুষ্ট প্রথম আলো এবার মেতেছে অন্য আরেক মিথ্যাচারের ষড়যন্ত্রে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের মদদপুষ্ট প্রথম আলো এবার সরকার ঘোষিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মিথ্যাচার প্রচার শুরু করেছে ফলাও করে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সন্ধ্যা ৬ টা ৫৩ মিনিটে ‘আপনারা কেউই বাঁচবেন না: মির্জা ফখরুল’- শিরোনামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য ফলাও করে প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে সূত্র। এছাড়াও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার পর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের মদদপুষ্ট হয়ে এই আইন নিয়েই লাগাতার সংবাদ প্রকাশ করছে দৈনিকটি।
সূত্রটি বলছে, আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল এবং চক্রান্তকারীদের শাস্তির দাবিতে যে মানব-বন্ধন হলো সে সম্পর্কে কোনো সংবাদ করেনি প্রথম আলো। অথচ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে খবর ভাসছে। প্রথম আলোর শ্লোগান- সত্যের সন্ধানে প্রথম আলো, তবে আজকের দিনের এমন একটি সত্য ঘটনার সন্ধান কি জানে না প্রথম আলো? নাকি সত্যের সন্ধান থেকে বিরত থেকে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে দৈনিকটি? প্রশ্ন হলো, দেশে প্রথম আলো ছাড়াও আরও অনেক সংবাদ মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু একমাত্র প্রথম আলোই এই আইনী বিষয়টি নিয়ে বেশি মাতামাতি করছে, কিন্তু কেন? কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছে প্রথম আলো?
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) প্রথম আলোতে প্রকাশিত মির্জা ফখরুলের বক্তব্য, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে এখনো অনেকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘যে জাতি নিজে উঠে দাঁড়াতে পারে না, সে জাতিকে কে দাঁড় করাবে। আপনাদের (সাংবাদিক) বলছি, আপনারা কেউই বাঁচবেন না।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। গত সোমবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।’
‘মির্জা ফখরুল জানান, স্থায়ী কমিটির সভায় নিবর্তনমূলক আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ, সাংবাদিক এবং নাগরিকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিক এবং নাগরিকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবিলম্বে এই নিবর্তনমূলক কালো আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানায় স্থায়ী কমিটি।’- প্রথম আলোর সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশমালা পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এসব ধারার বেশির ভাগ বাক্স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর।
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে দুটি ধারা বাতিলের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর, সেই ধারা দুটি বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেছেন, কোনো অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার এবং অপব্যবহার বন্ধে আইনের কিছু সংস্কারের বিষয়ে সরকার আলোচনা করছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২১ ধারায় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলোতে মানুষের আবেগ-অনুভূতি রয়েছে। কিন্তু দেশের ভিত্তির এই বিষয়গুলো নিয়ে কটাক্ষ করে স্বাধীনতা বিরোধীরা একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে থাকে। সে জন্য সরকার এই ধারা বাতিল করবে না।
অন্যদিকে ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার কথা বলা রয়েছে ২৮ ধারায়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে বা উসকানির মাধ্যমে একটা অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার এই ধারাও কোনোভাবে বাতিল করা যাবে না বলে সরকার মনে করছে।
এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করে কথা বা উদ্ধৃতি করা, এটা রীতিমতো রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এ ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিদের এদেশে থাকারই কোনো অধিকার নেই। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে- তারা এই দেশে না থাকলেই পারেন। যে দেশ তাদের পছন্দ- তারা সে দেশে চলে যেতেই পারেন। এ দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে, সেই ধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্বের অনেক দেশকেই টপকে যাবে বাংলাদেশ। সে কারণে আমাদের দেশীয় সরকার বিরোধী চক্রকে কাজে লাগিয়ে একটি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিরোধী একটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল। সরকার যে আইনগুলো প্রণয়ন করছে, তারই প্রেক্ষাপটে দেশকে রক্ষা করতেই সে আইনগুলো করা হচ্ছে। কাজেই এসব আইনের বিরোধীতা করে কোনো ফলাফল আশা করাটা ঠিক হবে না। যেহেতু প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল দাবি করে আন্দোলন হচ্ছে, এখন দেখার বিষয় আর কতদিন এ ধরনের মিথ্যাচার করে হীন ষড়যন্ত্র চালায় প্রথম আলো?
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রথম আলো বিএনপি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রতিদিন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বসুন্ধরা গ্রুপ
মন্তব্য করুন
নওগাঁর মহাদেবপুরে সংবাদ লেখার কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি এর আয়োজন করে।
ইউনিটির
সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটো
এতে সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২২ জন সাংবাদিক
এ কর্মশালায় অংশ নেন। রিসোর্স
পারসন হিসেবে সংবাদ লেখার নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ
দেন সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি গৌতম
কুমার মহন্ত ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি
ইউসুফ আলী সুমন।
রিপোর্টার্স
ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলনের
সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের
সহ-সভাপতি ওয়াসিম আলী, প্রচার সম্পাদক
সুজন হোসেন, সদস্য মাহবুবুজ্জামান সেতু, সাইফুর রহমান সনি, মহাদেবপুর রিপোর্টার্স
ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল
ইসলাম জিএম মিঠন, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার বুলেট,
সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, অর্থ সম্পাদক এসএম
শামীম হাসান, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক
অহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
কাজী আবু হুরাইরা শিলন,
দপ্তর সম্পাদক কাজী রওশন জাহান,
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক
আব্দুর রহমান, কার্য নির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান, সোহেল রানা সোহেল, রফিকুল
ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সময় সাংবাদিকতা করেছেন। কাজেই আপনারা জানেন, আপনাদের প্রতি সব সময় আমার আলাদা এক সহানুভূতি আছে। আন্দোলন সংগ্রামে আপনারা পাশে ছিলেন, আমরাও ছিলাম। তবে মালিকদের সঙ্গে কী করণীয় সেটা আপনারা করেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, যারা পত্রিকার মালিক তারা সবাই অর্থশালী ও বিত্তশালী। তাই সাংবাদিকদের ভাল-মন্দ দেখা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংবাদপত্রের সব মালিকরা বড়লোক। তাদের ব্যবসা আছে। কিন্তু করোনার সময় প্রণোদনার সুযোগটা কিন্তু তারা নিয়েছেন। আপনাদের দাবিটা আপনাদের আদায় করতে হবে। এটা হলো কথা।
তিনি বলেন, আমাদের সংবাদকর্মী ও কলা-কুশলীদের সুযোগ সুবিধার জন্য বেসরকারি খাতে এতগুলা টেলিভিশন দিয়েছি। আগে মাত্র একটি টেলিভিশন ছিল। পত্রিকা যথেষ্ট দেওয়া হয়েছে। পত্রিকা মালিক হচ্ছে সব বেসরকারি ব্যবসায়ী। সেখানে যারা কাজ করেন তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কিন্তু তাদেরই। সরকারের বেশি কিছু করার সুযোগ আছে কি-না আমি জানি না।
তিনি বলেন, কিছুই বলি না, তারপরও শুনতে হয় কথা বলার স্বাধীনতা নাকি নেই। সারাদিন মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা দিয়ে বলে, কথা নাকি বলতে পারে না। আমরা নাকি ভীষণভাবে টর্চার করি। আমরা আপনাদের সংবাদপত্রে কি করব, করলে পরে আবার এই কথা শুনতে হবে। সেখানে আপনাদের কিছু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার নাকি আবার কথা বলতে দেয় না। সংবাদপত্রের নাকি স্বাধীনতা নেই। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখেন, টকশো করতে করতে টক কথাও বলেন। তারপরও বলে, তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না, এটাই হলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার মালিক যারা তারা সবাই অর্থশালী, বিত্তশালী। সাংবাদিকদের যারা কাজ দেয় ও ব্যবহার করে তাদের ভালো-মন্দ দেখা পত্রিকার মালিকদের কর্তব্য। আমাদের যতটুক করার আমরা করে যাচ্ছি। করোনার সময় সবাইকে আমরা সহযোগিতা দিয়েছি। নিশ্চয়ই সেটা আপনার স্বীকার করবেন। যে সমস্ত পত্রিকার মালিক আছে এটা তাদের দায়িত্ব। আমরা কি করতে পারি বলেন, আমরা করব।
সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক
মন্তব্য করুন
বাংলা ইনসাইডারের
ইউটিউব চ্যানেল এখন ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারের পরিবার। আজ রোববার (১৪ মে) সকালে সাবস্ক্রিপশনের
নতুন এই মাইলফলকে পা রাখে বাংলা ইনসাইডার।
নিউজ জগতে বাংলা
ইনসাইডার একটি জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠেছে। আমাদের এই সাফল্যের সঙ্গী হওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইবার,
দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
বাংলা ইনসাইডারের
সাথে যুক্ত হতে পারেন আপনিও। আপনাদের মজার কিংবা বিশেষ কোনো অভিজ্ঞতা, আশপাশে ঘটে যাওয়া
বিভিন্ন ঘটনা, ভ্রমণ কাহিনী, তথ্যপ্রযুক্তি, খেলাধুলাসহ যে কোনো বিষয়ে লিখতে পারেন।
লেখা ইমেইল
করুন: news.banglainsider@gmail.com
ওয়েবসাইট:
https://www.banglainsider.com
বাংলা ইনসাইডারের
সব নিউজ দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন: https://www.youtube.com/@BanglaInsidernews
মন্তব্য করুন
সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে এ বছর সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও নিউইয়র্ক টাইমস। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে খবর প্রকাশের জন্য এই পুরস্কার পেল সংবাদমাধ্যম দুটি।
১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতিবছর পুরস্কার ঘোষণা করে।
পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয় পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ডকে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড নিজেদের দখলে রেখেছে এপি। এছাড়া ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি বিভাগে পুরস্কারও পেয়েছে তারা। অপরদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) বিভাগে সেরা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এপির সাংবাদিকেরা হলেন- মিসতিসলাভ চেরনভ, ইভজেনি মালোলেতকা, ভাসিলিসা স্তেপানেঙ্কো ও লরি হিনান্ট। গত বসন্তে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন তারা। হামলায় শহরটিতে বেসামরিক লোকজনের নিহত হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এই চার সাংবাদিক।
যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করায় এবার ন্যাশনাল রিপোর্টিং (জাতীয় বিষয়ে প্রতিবেদন) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ক্যারোলিন কিচেনার। সংবাদমাধ্যমটির হয়ে ফিচার রাইটিং বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন এলি স্যাসলো। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক টাইমসে কাজ করছেন।
লোকাল রিপোর্টিং (স্থানীয় বিষয়ে প্রতিবেদন) ও কমেন্টারি (মতামত)— দুটি বিভাগে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে আলাবামা অঙ্গরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএল ডটকম। সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসও দুটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে। একটি ব্রেকিং নিউজ বিভাগে, অপরটি ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে। আর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন) বিভাগে পুরস্কারজয়ী হয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগ ছাড়াও এবার ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এ নিয়ে পুলিৎজারের ইতিহাসে মোট ১৩৭টি পুরস্কার পেল সংবাদমাধ্যমটি।
মন্তব্য করুন
বাংলা ইনসাইডারের ইউটিউব চ্যানেল এখন ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারের পরিবার। আজ রোববার (১৪ মে) সকালে সাবস্ক্রিপশনের নতুন এই মাইলফলকে পা রাখে বাংলা ইনসাইডার। নিউজ জগতে বাংলা ইনসাইডার একটি জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠেছে। আমাদের এই সাফল্যের সঙ্গী হওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইবার, দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।