প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়!

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়!

গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে মানব-বন্ধন করেছে স্বাধীনতা-সচেতন নাগিরক সমাজ। এতে বিনোদন জগতের অনেকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাতবারের মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ, তিন বার এই পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী তারিন জাহান ও অভিনেত্রী তানভিন সুইটিসহ আরও বেশ কয়েকজন। 

এদিন প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তকারীদের মানববন্ধনের পর থেকেই সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী এবং বাংলাদেশ বিরোধী অপশক্তির দোসর দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিকটির নিবন্ধন বাতিল এবং পত্রিকাটি বন্ধের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

আবার কেউ কেউ পত্রিকাটির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন নিজস্ব স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে। এ ধরনের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার অন্যতম একটি হচ্ছে ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার’। প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন সাতবারের ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ জয়ী চিত্রনায়ক রিয়াজ, তিন বার এই পুরস্কার পাওয়া অভিনেত্রী তারিন জাহান ও অভিনেত্রী তানভিন সুইটিসহ আরও বেশ কয়েকজন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, যেহেতু এসব শিল্পীরা ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার’ বিজয়ী হয়েছিলেন এবং তারা এই পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন, তবে কি তারা এই পুরষ্কার বর্জন করবেন? 


এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বছর দশ-পনের আগে গুণী অভিনেত্রী প্রিয় তারিন আপার অনেক ইন্টারভিউ পড়েছি প্রথম আলোতে। পত্রিকাটির আনন্দ এবং বিনোদন পাতায় ব্যাপক কাভারেজ দেয়া হতো। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও নিয়েছেন তারিন আপা। তো, প্রথম আলো পুরস্কার জয়ী আপা এখন পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সুইটি আপাও তাই। পাশে পরিচিত মুখ নায়ক রিয়াজ ভাইকেও দেখলাম মলিন মুখে পত্রিকাটি বন্ধের দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে। প্রিয় রিয়াজ ভাই অবশ্য প্রথম ব্যক্তি যিনি চলচ্চিত্রে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন। রিয়াজ-তারিন-সুইটি আপাদের মানববন্ধন নিয়ে আমার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত নেই। তবে আমি মনে করি, তাদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে পত্রিকাটির নিবন্ধন বা ডিক্লারেশন বাতিলের মতো অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না ‘

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার জানার আগ্রহ, রিয়াজ-তারিন আপা এখন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বর্জন করবেন কি না! আমি মনে করি করা উচিত, কারণ প্রথম আলোকে স্বাধীনতা বিরোধী পত্রিকা বলে সে পুরস্কার ঘরে সাজিয়ে রাখার যৌক্তিকতা নেই। এটা স্ববিরোধীতা। আমি আশা করছি, উনারা পুরস্কারগুলো ছুড়ে ফেলবেন। ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলবেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। তাদের এমন সাহসীকাণ্ড দেখে আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে পোস্ট দেয়ার অপেক্ষায় রইলাম.... ’

আদিত্য আরাফাতের এমন স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ার মহলটা বেশ বড়। স্ট্যাটাসটিতে লাইক পড়েছে ১ হাজার ২শ’র উপরে। কমেন্ট হয়েছে দুইশ ষাট বা তারও বেশি। 

প্রতিক্রিয়ায়, সেলিম ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘যখন পুরস্কার জিতেছে, তখন স্বাধীনতা বিরোধী কিছু করেনি, কিন্তু এখন করছে, মন্তব্য আশা করছি?’ 

রকিব হাসান নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘একটা পত্রিকার এ রকম পলিটিক্যাল স্টান্টবাজির দরকার কেন হয় এইটা তো কেউ বলে না। এইটা কি আপনাদের এথিক্সের মধ্যে পড়ে?’ 

ইংরেজি দৈনিক অবজারভার এর অনলাইন সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান লিখেছেন, ‘ইমেজ সংকট কাটাতে প্রথম আলো পোষ্য সুশীলদের মাঠে নামিয়েছে সহানুভূতি সংগ্রহের মিশন দিয়ে।’

মাহবুব মিলন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘তাদের কাছ থেকে পুরষ্কার কেড়ে নিয়ে হিরো আলম‌কে দিয়ে দেওয়া উচিত!’


এসব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পত্রিকাটির পক্ষে- বিপক্ষেও অভিমত রয়েছে। তবে, অনেকেই প্রথম আলো এবং এর পালিত সুশীলদের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তের বিচার দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এই দৈনিকটির নিবন্ধন বাতিল করতে জোড় দাবি জানিয়েছেন।

শুধুমাত্র আদিত্য আরাফাতের এই স্ট্যাটাসটিই নয়- এমন অনেক স্ট্যাটাসই ঘুড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করার প্রতিবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধী এই পত্রিকাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় দেশের গণমানুষের এমন দাবির প্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার?  


প্রথম আলো   নিবন্ধন   বাতিল   সোশ্যাল মিডিয়া  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

আবারও প্রচারসংখ্যায় শীর্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail

দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে আবারও প্রচারসংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০১২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে দেশের বহুল জনপ্রিয় এই দৈনিকটি। 

বুধবার (৩১ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান। এটি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ২৩তম অধিবেশনে এদিন উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের (ঢাকা-২০) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ৫২২টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩৪৭টি এবং মাসিক পত্রিকা ২৮৯টি। 

সংসদে দেওয়া তথ্যমন্ত্রীর সর্বাধিক প্রকাশিত ক্রমানুসারের হিসাব ‘পরিশিষ্ট-ক’ অনুযায়ী বাংলা দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে প্রচারসংখ্যায় শীর্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন   তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   বসুন্ধরা গ্রুপ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

মহাদেবপুরে সংবাদ লেখার কৌশল শীর্ষক কর্মশালা

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ২৭ মে, ২০২৩


Thumbnail

নওগাঁর মহাদেবপুরে সংবাদ লেখার কৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি এর আয়োজন করে।

ইউনিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটো এতে সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২২ জন সাংবাদিক এ কর্মশালায় অংশ নেন। রিসোর্স পারসন হিসেবে সংবাদ লেখার নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি গৌতম কুমার মহন্ত ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন।

রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মহাদেবপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ওয়াসিম আলী, প্রচার সম্পাদক সুজন হোসেন, সদস্য মাহবুবুজ্জামান সেতু, সাইফুর রহমান সনি, মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম জিএম মিঠন, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার বুলেট, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, অর্থ সম্পাদক এসএম শামীম হাসান, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী আবু হুরাইরা শিলন, দপ্তর সম্পাদক কাজী রওশন জাহান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্য নির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান, সোহেল রানা সোহেল, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।



মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

আমরা আপনাদের পাশে আছি: সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৩


Thumbnail সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সময় সাংবাদিকতা করেছেন। কাজেই আপনারা জানেন, আপনাদের প্রতি সব সময় আমার আলাদা এক সহানুভূতি আছে। আন্দোলন সংগ্রামে আপনারা পাশে ছিলেন, আমরাও ছিলাম। তবে মালিকদের সঙ্গে কী করণীয় সেটা আপনারা করেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।

সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, যারা পত্রিকার মালিক তারা সবাই অর্থশালী ও বিত্তশালী। তাই সাংবাদিকদের ভাল-মন্দ দেখা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংবাদপত্রের সব মালিকরা বড়লোক। তাদের ব্যবসা আছে। কিন্তু করোনার সময় প্রণোদনার সুযোগটা কিন্তু তারা নিয়েছেন। আপনাদের দাবিটা আপনাদের আদায় করতে হবে। এটা হলো কথা।

তিনি বলেন, আমাদের সংবাদকর্মী ও কলা-কুশলীদের সুযোগ সুবিধার জন্য বেসরকারি খাতে এতগুলা টেলিভিশন দিয়েছি। আগে মাত্র একটি টেলিভিশন ছিল। পত্রিকা যথেষ্ট দেওয়া হয়েছে। পত্রিকা মালিক হচ্ছে সব বেসরকারি ব্যবসায়ী। সেখানে যারা কাজ করেন তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কিন্তু তাদেরই। সরকারের বেশি কিছু করার সুযোগ আছে কি-না আমি জানি না।

তিনি বলেন, কিছুই বলি না, তারপরও শুনতে হয় কথা বলার স্বাধীনতা নাকি নেই। সারাদিন মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা দিয়ে বলে, কথা নাকি বলতে পারে না। আমরা নাকি ভীষণভাবে টর্চার করি। আমরা আপনাদের সংবাদপত্রে কি করব, করলে পরে আবার এই কথা শুনতে হবে। সেখানে আপনাদের কিছু করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার নাকি আবার কথা বলতে দেয় না। সংবাদপত্রের নাকি স্বাধীনতা নেই। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখেন, টকশো করতে করতে টক কথাও বলেন। তারপরও বলে, তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না, এটাই হলো বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার মালিক যারা তারা সবাই অর্থশালী, বিত্তশালী। সাংবাদিকদের যারা কাজ দেয় ও ব্যবহার করে তাদের ভালো-মন্দ দেখা পত্রিকার মালিকদের কর্তব্য। আমাদের যতটুক করার আমরা করে যাচ্ছি। করোনার সময় সবাইকে আমরা সহযোগিতা দিয়েছি। নিশ্চয়ই সেটা আপনার স্বীকার করবেন। যে সমস্ত পত্রিকার মালিক আছে এটা তাদের দায়িত্ব। আমরা কি করতে পারি বলেন, আমরা করব।


সংবাদ সম্মেলন   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   সাংবাদিক  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বাংলা ইনসাইডার এখন ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারের পরিবার

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ১৪ মে, ২০২৩


Thumbnail

বাংলা ইনসাইডারের ইউটিউব চ্যানেল এখন ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারের পরিবার। আজ রোববার (১৪ মে) সকালে সাবস্ক্রিপশনের নতুন এই মাইলফলকে পা রাখে বাংলা ইনসাইডার।

নিউজ জগতে বাংলা ইনসাইডার একটি জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠেছে। আমাদের এই সাফল্যের সঙ্গী হওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইবার, দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

বাংলা ইনসাইডারের সাথে যুক্ত হতে পারেন আপনিও। আপনাদের মজার কিংবা বিশেষ কোনো অভিজ্ঞতা, আশপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা, ভ্রমণ কাহিনী, তথ্যপ্রযুক্তি, খেলাধুলাসহ যে কোনো বিষয়ে লিখতে পারেন।

লেখা ইমেইল করুন: news.banglainsider@gmail.com

ওয়েবসাইট: https://www.banglainsider.com

বাংলা ইনসাইডারের সব নিউজ দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন: https://www.youtube.com/@BanglaInsidernews



মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেল এপি, নিউইয়র্ক টাইমস

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ০৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে এ বছর সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম । 

এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও নিউইয়র্ক টাইমস। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে খবর প্রকাশের জন্য এই পুরস্কার পেল সংবাদমাধ্যম দুটি।

১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতিবছর পুরস্কার ঘোষণা করে। 

পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয় পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ডকে। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড নিজেদের দখলে রেখেছে এপি। এছাড়া ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি বিভাগে পুরস্কারও পেয়েছে তারা। অপরদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) বিভাগে সেরা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এপির সাংবাদিকেরা হলেন- মিসতিসলাভ চেরনভ, ইভজেনি মালোলেতকা, ভাসিলিসা স্তেপানেঙ্কো ও লরি হিনান্ট। গত বসন্তে ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে রাশিয়ার হামলার সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন তারা। হামলায় শহরটিতে বেসামরিক লোকজনের নিহত হওয়ার তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এই চার সাংবাদিক।

যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করায় এবার ন্যাশনাল রিপোর্টিং (জাতীয় বিষয়ে প্রতিবেদন) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ক্যারোলিন কিচেনার। সংবাদমাধ্যমটির হয়ে ফিচার রাইটিং বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন এলি স্যাসলো। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক টাইমসে কাজ করছেন।

লোকাল রিপোর্টিং (স্থানীয় বিষয়ে প্রতিবেদন) ও কমেন্টারি (মতামত)— দুটি বিভাগে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে আলাবামা অঙ্গরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএল ডটকম। সংবাদমাধ্যম লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসও দুটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে। একটি ব্রেকিং নিউজ বিভাগে, অপরটি ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে। আর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন) বিভাগে পুরস্কারজয়ী হয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগ ছাড়াও এবার ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। এ নিয়ে পুলিৎজারের ইতিহাসে মোট ১৩৭টি পুরস্কার পেল সংবাদমাধ্যমটি।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন