নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২১
জাতীয় প্রেসক্লাব সাধারণত মনে করা হয় সাংবাদিকদের মিলনকেন্দ্র। সেখানে সাংবাদিকরা আড্ডা দেন, বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন আর কম পয়সায় খাওয়া-দাওয়া করেন। এই হল প্রেসক্লাব সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা। প্রেসক্লাবে বিভিন্ন হলগুলো ভাড়া দিয়ে প্রেসক্লাবের আয় উপার্জন হয়। কিন্তু এই প্রেসক্লাবে গত ডিসেম্বরে প্রথম একজন নারী সভাপতি হয়েছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী সভাপতি। আর সভাপতি হওয়ার পর থেকে তিনি আপন আলোয় মহিমান্বিত করছেন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রকে। তার প্রমাণ পাওয়া গেল গতকাল এবং আজ।
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গতকাল সচিবালয়ে আটক করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অন্তত ৮ জন কর্মকর্তা তাকে ৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে, লাঞ্ছিত করে। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগ থানায় এবং সেখান থেকে আজ রোজিনাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছিল। আদালত থেকে রোজিনা এখন কারাগারে আছেন। এই ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। শুধু সাংবাদিকতা নয়, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এই ঘটনার প্রতিবাদে যেভাবে সাংবাদিক সমাজের রুখে দাঁড়ানোর কথা ছিল ঠিক সেভাবে আমরা রুখে দেয়া সাংবাদিক সমাজকে রুখে দাঁড়াতে দেখিনি।
বিশেষ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভূমিকা ছিল অনেকটা গা বাঁচানো ধরনের। এর মধ্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। আর সবচেয়ে উদ্ভাসিত হয় ফরিদা ইয়াসমিন। গতকাল রাত থেকেই ফরিদা ইয়াসমিন রোজিনার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রোজিনার মুক্তির জন্য কাজ করেছেন, রোজিনার মুক্তির জন্য কথা বলেছেন বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ সম্পর্কে তার আকুতির কথাও জানিয়েছেন। আজও ফরিদা ইয়াসমিন ছিলেন তৎপর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি নেতৃত্ব দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনি এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশের সাংবাদিক নেতৃত্বে এটি একটি অনন্য উদাহরণ। জাতীয় প্রেসক্লাবকে কখনোই সাংবাদিকতার অধিকারের প্রশ্নে এত নির্ভীক এবং অকুতোভয় হিসেবে দেখা যায়নি। আর এটি সম্ভব হয়েছে ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বের কারণে। তিনি আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন সাংবাদিকতার পেশাগত মর্যাদা রক্ষার জন্য সাংবাদিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে। আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবের এরকম ভূমিকাই আশা করি। আর এই সাহসী ভূমিকার জন্য ফরিদা ইয়াসমিন অবশ্যই একটি ধন্যবাদ পেতে পারেন।
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো স্কয়ার গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ একাত্তর টিভি মিডিয়া স্টার লিমিটেড
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।
মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে।