নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮
হাতের ইনজুরির ধাক্কা সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। নিজেকে অনেকটাই প্রস্তুত করে ফেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য। কিন্তু ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফেরার আগেই আবারও কয়েকদিন আগে ইনজুরিতে পড়েন তামিম। সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরি ধরা পড়ায় আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টে থাকা হচ্ছে না তামিমের।
মঙ্গলবার একাডেমী মাঠে অনুশীলনের সময় এই ঘটনা ঘটে। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী সে দিন জানিয়ে ছিলেন ‘ব্যাটিং অনুশীলনের সময় সাইড স্টেইনের ইনজুরিতে পড়েছেন তামিম। পাঁজরে ব্যথা রয়েছে। আমরা আল্ট্রাসনো করেছি এবং তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার বিশ্রাম দিয়েছি। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তামিম কোনো ব্যথা অনুভব না করেন তাহলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু ব্যথা হলে এক্সরে করতে হবে।‘
এদিকে তামিম ইনজুরি থেকে দল থেকে বাদ পড়লেও সাকিবের খেলা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। সাকিব ইতিমধ্যে ব্যাট হাতে অনুশীলন শুরু করেছেন। আজ শুক্রবার দল ঘোষণা করার কথা থাকলেও জানা যায় তামিম-সাকিবের জন্য দল ঘোষণায় বিলম্বিত করছে বিসিবি। সাকিব খেলতে পারবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো সাকিব বোর্ডকে কিছু জানায়নি। সাকিব যদি খেলতে চায় তাহলে দলে রাখা হবে সাকিবকে এমনটাই খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএকে
মন্তব্য করুন
লংকানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টাইগাররা। তবে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সেই শ্রীলংকাকে দাপুটে জয়ের মাধ্যমে হারিয়েই আবারও সিরিজ জয়ের ধারায় ফিরল বাংলাদেশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। জবাবে চার উইকেট এবং ৫৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
আজ বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম। লক্ষ্য তাড়ায় বিজয় রয়েসয়ে খেললেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। এরই মাঝে ম্যাচের নবম ওভারে এ জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা।
লঙ্কান পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ফার্নান্দোর তালুবন্দী হন বিজয় (১২)। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (১)।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে উইকেটে এসে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। এ সময় আবার আক্রমণে এসে উইকেট নেন কুমারা। তার শর্ট লেংথের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে মাদুশানের তালুবন্দী হন হৃদয়।
আউট হওয়ার আগে ২২ করেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কুমারার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে করেছেন ১ রান। একপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম।
তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন তামিমও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে লং অনে চারিথ আসালঙ্কার তালুবন্দী হন কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা এ ওপেনার। ৮১ বলে ৮৪ রান করেন তিনি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে শ্রীলংকা। দলটির হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা দুজনই। লঙ্কানদের দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ।
পরে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লঙ্কান দলপতি কুশল মেন্ডিস। কিন্তু সাদিরা (১৪) সেটি সম্ভব হয়নি। তবে চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানে জুটি গড়েন শ্রীলংকা অধিনায়ক। তবে রিশাদের ঘূর্ণিতে মেন্ডিস বিদায় নিলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।
অপরপ্রান্তে হাল ধরে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আসালঙ্কা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারের উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৩৭ করেন আসালঙ্কা।
এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানাগে। দলীয় রানের চাকা ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মহেশ থিকশানা। এই জুটিতে ভর করে শ্রীলংকার ইনিংস থামে ২৩৫ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টির আক্ষেপের পর এবার ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। যেখানে লঙ্কানদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারাচ্ছে টাইগাররা। সবশেষ তামিমের বিদায়ে বিপদের মুখে স্বাগতিক দল।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলংকা।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম। লক্ষ্য তাড়ায় বিজয় রয়েসয়ে খেললেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম। এরই মাঝে ম্যাচের নবম ওভারে এ জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা।
লঙ্কান পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ফার্নান্দোর তালুবন্দী হন বিজয় (১২)। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (১)।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে উইকেটে এসে তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। এ সময় আবার আক্রমণে এসে উইকেট নেন কুমারা। তার শর্ট লেংথের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে মাদুশানের তালুবন্দী হন হৃদয়।
আউট হওয়ার আগে ২২ করেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কুমারার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে করেছেন ১ রান। একপ্রান্তে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তামিম।
তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হয়েছেন তামিমও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে লং অনে চারিথ আসালঙ্কার তালুবন্দী হন কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা এ ওপেনার। ৮১ বলে ৮৪ রান করেছেন তিনি। এখন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী মিরাজ দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে শ্রীলংকা। দলটির হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা দুজনই। লঙ্কানদের দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ।
পরে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লঙ্কান দলপতি কুশল মেন্ডিস। কিন্তু সাদিরা (১৪) সেটি সম্ভব হয়নি। তবে চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানে জুটি গড়েন শ্রীলংকা অধিনায়ক। তবে রিশাদের ঘূর্ণিতে মেন্ডিস বিদায় নিলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।
অপরপ্রান্তে হাল ধরে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আসালঙ্কা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারের উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৩৭ করেন আসালঙ্কা।
এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানাগে। দলীয় রানের চাকা ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মহেশ থিকশানা। এই জুটিতে ভর করে শ্রীলংকার ইনিংস থামে ২৩৫ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টির আক্ষেপের পর এবার ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। যেখানে লঙ্কানদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় টিম টাইগার্স। তবে এরপরেই অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫ ওভারে দুই উইকেটে ৭৬ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৫ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন ১৮০ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম। লক্ষ্য তাড়ায় বিজয় রয়েসয়ে খেললেও আগ্রাসী ব্যাটিং করছেন তামিম। তাতে সফলও বাঁহাতি এ ব্যাটার।
ম্যাচের নবম ওভারে এ জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। তাকে উড়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে ফার্নান্দোর তালুবন্দী হন বিজয়। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
পরে বাইশ গজে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তামিম ও তাওহীদ হৃদয়।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে শ্রীলংকা। দলটির হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা দুজনই। লঙ্কানদের দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ।
পরে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লঙ্কান দলপতি কুশল মেন্ডিস। কিন্তু সাদিরা (১৪) সেটি সম্ভব হয়নি। তবে চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানে জুটি গড়েন শ্রীলংকা অধিনায়ক। তবে রিশাদের ঘূর্ণিতে মেন্ডিস বিদায় নিলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।
অপরপ্রান্তে হাল ধরে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আসালঙ্কা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারের উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৩৭ করেন আসালঙ্কা।
এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানাগে। দলীয় রানের চাকা ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মহেশ থিকশানা। এই জুটিতে ভর করে শ্রীলংকার ইনিংস থামে ২৩৫ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টির আক্ষেপের পর এবার ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। যেখানে অঘোষিত ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাট করে জেনিথ লিয়ানাগের প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে শ্রীলংকা।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান করেছেন লিয়ানাগে। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ।
এদিন শ্রীলংকার হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা দুজনই। লঙ্কানদের দুই ওপেনারকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ।
পরে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লঙ্কান দলপতি কুশল মেন্ডিস। কিন্তু সাদিরা (১৪) সেটি সম্ভব হয়নি। তবে চারিথ আসালঙ্কার সঙ্গে ৩৩ রানে জুটি গড়েন শ্রীলংকা অধিনায়ক। তবে রিশাদের ঘূর্ণিতে মেন্ডিস বিদায় নিলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।
অপরপ্রান্তে হাল ধরে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আসালঙ্কা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারের উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। আউট হওয়ার আগে ৩৭ করেন আসালঙ্কা।
এরপর শুরু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানাগে। দলীয় রানের চাকা ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এ সময় তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মহেশ থিকশানা। এই জুটিতে ভর করে শ্রীলংকার ইনিংস থামে ২৩৫ রানে।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
টি-টোয়েন্টির আক্ষেপের পর এবার ওয়ানডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। সোমবার (১৮ মার্চ) অঘোষিত এই ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলংকান দলপতি কুশল মেন্ডিস। যেখানে টাইগার বোলারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ধুঁকছে সফরকারীরা।
ম্যাচে সবশেষ ব্যাট হাতে সংগ্রাম করে ১৮ বলে মাত্র ১ রানেই সাজঘরের পথ ধরেছে লঙ্কান ব্যাটার দুনিথ ওয়েল্লালাগে। তাকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ৩৪ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৪ রান।
এদিন দলটির হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে নিশাঙ্কাকে লেগ বিফরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন তাসকিন। পরে বাংলাদেশের জোরালো আবেদনে সাড়া দেন ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলব্রো। এতে ১ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় নিশাঙ্কাকে।
পরে ক্রিজে আসেন শ্রীলংকান দলপতি কুশল মেন্ডিস। তাকে সঙ্গ দেওয়ার আগেই উইকেট বিলিয়ে দেন ফার্নান্দো। তাসকিনের পেসে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪ রান করেন লঙ্কান এ ওপেনার।
এরপর বাইশ গজে আসেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। মুস্তাফিজের ইনসুইয়ে মুশফিকের তালুবন্দী হন সাদিরা (১৪)।
চারিথ আসালঙ্কাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মেন্ডিস। তবে রিশাদের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন লঙ্কান দলপতি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের ৩৩ রানে জুটি।
অপরপ্রান্তে হাল ধরে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন আসালঙ্কা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারের উইকেট শিকার করেছেন ফিজ। আউট হওয়ার আগে ৩৭ করেন আসালঙ্কা।
উইকেটে এসে টাইগার বোলারদের বিপক্ষে সংগ্রাম করেন ওয়েল্লালাগে। তবে ব্যাট হাতে সফল হননি তিনি। ১৮ বল খেলে ১ রান করে ফিরেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন লিয়ানাগে।
শ্রীলংকা বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট
মন্তব্য করুন