ইনসাইড গ্রাউন্ড

টাইগারদের সামনে আজ অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৪ পিএম, ০৫ জুন, ২০১৭


Thumbnail

 

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবার মুখোমুখি দুই দল। সময়ের হিসাবে যা ৬ বছর। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কেনিংটন ওভালে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ মানেই কার্ডিফের কথা আসবেই। কারণ কার্ডিফের সেই ম্যাচের কথা ভুলেনি ক্রিকেট বিশ্ব। যেখানে ঐ সময়ের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে সজেই পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও মাশরাফি বাহিনী চাইবে সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। একমাত্র অস্টেলিয়ার বিপক্ষেই টাইগারদের একাধিক জয় নেই।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের মূল ভাবনা স্কোয়াড নিয়ে। কাকে খেলাবেন টিম ম্যানেজমেন্ট। আজও কি ইংল্যান্ডের মত তিন পেসার খেলাবেন নাকি মিরাজকে অন্তর্ভূক্ত করবেন দলে। সে সময়েই বলে দিবে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে অবশ্যই ভাবাচ্ছে কিছু বিষয়। সাকিবের ফর্মহীনতা, কোন পজিশনে খেলবেন সাব্বির-মোসাদ্দেক এবং চার বোলার নাকি আট ব্যাটসম্যান?

সাকিব বেশ কয়েকদিন ধরেই ওয়ানডেতে চেনা ফর্মে নেই। তবে টেস্ট ও টি-২০তে ভালো করছেন। কিন্তু সব ফরম্যাটের সেরা অলরাউন্ডারের কাছ থেকে সেটাও যে মানা যায় না। সাকিব বাংলাদেশ দলের ভরসার নাম। আর দলের এক নম্বর খেলোয়াড় যখন অফ ফর্মে থাকবে তখন তা পুরো দলকেই ভাবাবে। সাকিব যে দলের প্রাণভোমরা। তাই আজও কোটি টাইগার সমর্থক তাকিয়ে থাকবে সাকিবের স্বরূপে ফেরার অপেক্ষায়।

বর্তমান সময়ে দলে এক মধুর সমস্যা পজিশন। কাকে কোন পজিশনে খেলাবে, তা নিয়ে প্রায়ই পরীক্ষা করতে দেখা যায় কোচকে। আর এই সমস্যাটা বেশি হয় সাব্বির ও মোসাদ্দেককে নিয়ে। সাব্বির কখনো ওয়ান ডাউনে আবার কখনো টু ডাউনে খেলছেন। আবার মোসাদ্দেককে কখনো উপরে আবার কখনো নীচে খেলানো হচ্ছে। তবে সাব্বির যে ওয়ান ডাউনে ভালো খেলেন তার প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। আর মোসাদ্দেক সাত কিংবা আটেই ভালো খেলেন। তবে দলের প্রয়োজনে তারা দুজনই যেকোন জায়গায় খেলতে সদা প্রস্তুত।

আজ বাংলাদেশ হয়তো আট ব্যাটসম্যান খেলানোর ভুল করবে না। কারণ আজ যে উইকেটে খেলা হবে সেই উইকেটে আফ্রিকা-শ্রীলংকা’র ম্যাচটি হয়েছিল। তাই উইকেটে স্পিনটা ধরতেই পারে। এই উইকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো ব্যাটিং স্বর্গ ছিলোনা। তাই আজ স্কোয়াডে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মিরাজের খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। কারণ মিরাজকে খেলালে একজন বোলারের পাশাপাশি একজন ব্যাটসম্যানও পাওয়া যাবে। তাই আজ বাংলাদেশ আট ব্যাটসম্যান তত্ত্ব থেকে বেড়িয়ে আসবে, এটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

পিচ ও কন্ডিশন
পুরো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই বাধা দিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। আর ইংল্যান্ডের কন্ডিশন সর্বদাই উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়। আজ যে উইকেটে খেলা হবে সেই উইকেটে আফ্রিকা-শ্রীলংকা’র ম্যাচটি হয়েছিল। তাই উইকেটে স্পিনটা ধরতেই পারে। তাছড়া এই উইকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো ব্যাটিং স্বর্গ না। তাই আজ স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। আর বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনাও আছে।

দুই দলের পরিসংখ্যান

১. বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে খেলা ১৯ ম্যাচের ১৮টিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৫ সালে কার্ডিফে বাংলাদেশ তাদের একমাত্র জেতা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ৫ উইকেটে।

২. এর আগে এই দুই দল একবারই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয়েছে। সেটি ২০০২ সালে, কলম্বোতে। ওই ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ১২৯ রানে অল আউট হয়েছিল।

৩. ১৯৯৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ওভালে টানা ৬ ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এখানে খেলা শেষ ২ ম্যাচে হেরেছে তারা।

৪. কেনিংটন ওভালে মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই হেরেছে। একটি চলমান আসরে।

৫. অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ১০ ম্যাচের ৭টিতে জিতেছে। শেষ দুই ম্যাচেই অবশ্য হেরেছে তারা।

৬. বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের ৯০০তম ওয়ানডে। তাদের রেকর্ড : ৫৫৪টি জয়, ৩০৩টি হার, ৯টি টাই, ৩৩টি নো রেজাল্ট।

৭. ডেভিড ওয়ার্নারের ৪,০০০ রান হতে আর ৩৬ দরকার। ৯২ ইনিংস খেলেছেন। তার চেয়ে কম ইনিংসে কেবল ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ছেন দুজন, হাশিম আমলা ও ভিভ রিচার্ডস। বিরাট কোহলির লেগেছিল ৯৩ ইনিংস।

৮. জস হ্যাজলউড এই ম্যাচে খেলতে নামছেন মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যাচে ৬ উইকেট শিকারের রেকর্ড নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২ রানে ৬ উইকেট ছিল তার। তবে সেরা ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পারভিজ মাহরুফের ১৪ রানে ৬ উইকেট।

৯. তামিম ইকবাল ওভালেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের শীর্ষ ৯ ওয়ানডে ইনিংসের ৬টিই তামিমের।

১০. মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান দুজনই এই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৫ ওয়ানডে খেলার রেকর্ড স্পর্শ করবেন।     

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশঃ

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুশফিকের আউট নিয়ে বিতর্ক, স্ট্যাটাসে নিজেই লিখলেন ‘মাশা আল্লাহ’

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে প্রতিনিয়ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত। তবে এবার ডিপিএলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। আর সেটি হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে।

গতকাল হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানের মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচটিতে ছক্কা মেরেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন মুশফিকুর রহিম। এ নিয়ে ম্যাচটি বেশকিছু সময় বন্ধ ছিল। এমনকি ম্যাচ শেষেও হাত মেলাননি দুদলের খেলোয়াড়। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন মুশফিক নিজেই।

শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন মুশফিক। বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনির সেই ক্যাচের একটি ছবি পোস্ট করে মুশি লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনটি ইমোজি। মুশফিক আজ পোস্ট করার পর দ্রুতই তা অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার।

মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নামা আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মুশফিককে।

প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে নাঈম হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের মুশফিক। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি।

এ সময় বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু ডাইভ দিয়ে উঠতে গিয়ে রনির পা স্পর্শ করে বাউন্ডারি রশিতে। তবুও মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার!

মুশফিকের ক্যাচ নিয়েই ভোঁ দৌড় দেন রনি। উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন মুশফিক। যেতে গিয়েও গেলেন না মুশি। প্রাইম ব্যাংক এটি ছয়ের আবেদন জানায়। প্রায় মিনিট পনেরোর মতো সময় বন্ধ থাকে খেলা।

রিপ্লে’তে দেখা যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেয়ার পর রনি ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে গড়ান দেন। বল হাত থেকে না ফসকালেও ওঠার সময় বাঁধে বিপত্তি। পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত এটিকে আউট ঘোষণা করেন।

অবশ্য একটা পর্যায়ে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন মোহামেডানের উপর। তারা যদি নট আউট মেনে নেয় তাহলে মুশফিক মাঠে থাকতে পারবেন। তবে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নারাজিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে।


মুশফিকুর রহিম   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন