ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবারের ঈদে হচ্ছেনা ঐতিহ্যবাহী যেসব লোকজ খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৫ মে, ২০২০


Thumbnail

খেলাধুলায় বাঙালির ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। একটা সময় আমাদের গ্রামীণ জীবন কেটেছে এমন সব রকমারি খেলায় যার বিস্তারিত তালিকা করতে গেলে হয়তো ফুরিয়ে যাবে অনেকগুলো পাতা। বর্তমানের ব্যতিব্যস্ত নাগরিক জীবনে আমরা ছুটে চলি আমাদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণে। খেলাধুলার জন্য সময় সুযোগ কোনোটাই মেলে না তেমন।

বাঙালির জীবনে খেলাধুলার যে বিশাল সমারোহ ছিলো, নাগরিক জীবনের ভারে হয়তো হারাতে বসেছে অনেক কিছুই। আবার কতগুলো হয়তো কালের বাধা অতিক্রম করে এখনও প্রবল আনন্দ ভাগ করে নেয় আমাদের সাথে। তবে কালের বিবর্তনে এখনো কিছু খেলা বাঙালির জীবনে স্থান করে আছে বিশেষ বিশেষ দিবস নির্ভর হয়ে। প্রাচীন সময় থেকেই এই উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদ। শহুরে জীবনে ঈদ মানে যেমন কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, গ্রামীণ জীবনে ঈদ মানে আরো বেশি কিছু। ঈদ মানে ঐতিহ্যবাহী কিছু খেলার আয়োজন, যা চলে আসছে বহু যুগ ধরে।

তবে সেই প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী কিছু খেলা, যেগুলো গ্রামীণ জীবনের ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেগুলোর উপরেও এবার প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস। বৈশ্বিক এই মহামারির কারণে এবার দেশের নানান প্রান্তের নানান লোকজ উৎসব বাতিল হয়ে গেছে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে এমন সব লোকজ জনপ্রিয় খেলা, যেগুলো এবার হচ্ছেনা করোনার কারণে- তাই নিয়েই ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর আজকের বিশেষ আয়োজন।

লাঠি খেলা

একটি ঐতিহ্যগত মার্শাল আর্ট যেটি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কিছু জায়গায় চর্চা করা হয়। লাঠি খেলা অনুশীলনকারীকে ‘লাঠিয়াল’ বলা হয়। এছাড়াও, লাঠি চালনায় দক্ষ কিংবা লাঠি দ্বারা মারামারি করতে পটু কিংবা লাঠি চালনা দ্বারা যারা জীবিকা অর্জন করে, তিনি/তাঁরা লেঠেল বা লাঠিয়াল নামে পরিচিতি পান।

লাঠি একটি প্রাকৃত শব্দ যেটি সংস্কৃত ‘ফর্ম ইয়াস্টি’ থেকে এসেছে। সুতরাং, লাঠি খেলাকে লাঠির কৌশল বলা যেতে পারে। দক্ষিণ এশীয় ভাষায় বাংলাসহ হিতোপদেশ আছে যে যার আছে লাঠি তার আছে ক্ষমতা। লাঠি খেলায় যে দক্ষ বা লাঠি খেলা নিয়ে যাদের বসবাস তারাও লাঠিয়াল হিসাবে পরিচিত।

লাঠিয়াল বাহিনী সড়কি খেলা, ফড়ে খেলা, ডাকাত খেলা, বানুটি খেলা, বাওই জাক (গ্রুপ যুদ্ধ), নরি বারী (লাঠি দিয়ে উপহাস যুদ্ধ) খেলা এবং দাও খেলা (ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপহাস যুদ্ধ) খেলা দেখায়। এর মধ্যে ডাকাত খেলার উপস্থাপনা ঈদে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ। লাঠিখেলার আসরে লাঠির পাশাপাশি বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ঢোলক, কর্নেট, ঝুমঝুমি, কাড়া ইত্যাদি ব্যবহূত হয় এবং সঙ্গীতের সাথে চুড়ি নৃত্য দেখানো হয়।

লাঠি খেলার অসাধারণ ইতিহাস আছে। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা এখন পড়তির দিকে। ঈদ উপলক্ষে লাঠিখেলার আয়োজন সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, নড়াইল প্রভৃতি জেলায় ভিন্ন নামে দেখা যায়। লাঠি খেলা নিয়ে বর্তমানে নতুন দল তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেও লাঠি খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। আর কালেভদ্রে দেশের যেখানে যেখানে অনুষ্ঠিত হতো এই খেলা, এবারের মহামারির কারণে তাও হচ্ছেনা।

নৌকা বাইচ

সবাই দলবেঁধে উঠে পড়েন নৌকায়। পা রাখার আগেই খেলোয়াড়রা যেন জয়ের কৌশল ঠিক করে নেন। নির্ধারিত পোশাক গায়ে পড়ে বৈঠা নিয়ে প্রস্তুত সবাই। নৌকার সামনে বসেন ঢোলক। মাঝখানে দাঁড়িয়ে একজন ধরেন গান। পেছনে নৌকার হাল ধরেন একজন। ধারাভাষ্যকরের কণ্ঠে ভেসে এলো ‘চালাও নৌকা’। নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নেওয়া লাল পতাকা হাতে প্রস্তুত দুই লাইনম্যান।

ঘোষকের আওয়াজ বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই যেন ঢোলকের ঢোলে বাড়ি পড়তে শুরু করলো। বৈঠা হাতে নৌকার দু’পাশে অবস্থা নেওয়া খেলোয়াড়দের বৈঠা মারাও শুরু। ঢোলের তালে তালে ছুটতে থাকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নৌকাগুলো। এভাবে নৌকা বাইচে চলে ঈদ উৎসব।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বাঙালি নদী কিংবা যশোরের কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদীতে প্রতি ঈদে এই লোকজ খেলার আয়োজন করা হয়। তবে চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে জনপ্রিয় এই প্রতিযোগিতা বাতিল করা হয়েছে।

কাবাডি

১৯৭২ সালে হা-ডু-ডু খেলাকে কাবাডি নামকরণ করা হয়। একই সময়ে খেলাটিকে বাংলাদেশের জাতীয় খেলার মর্যাদাও দেওয়া হয়। ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও লোকায়ত ঐতিহ্যের জন্যে এই খেলা আমাদের দেশের জাতীয় খেলার মর্যাদা পেয়েছে।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খেলাটিকে আঞ্চলিক নামে অভিহিত করা হয়। যেমন- কপাটি, কাপাটি, ছি-খেলা, কবাটি ইত্যাদি।

কাবাডি উপস্থিত বুদ্ধি, শক্তি, সাহস,দম ও ক্ষিপ্রতার খেলা। দুটি পক্ষের আক্রমণ ও দম ধরে নানারকম ব্যঙ্গাত্নক ও রসাত্মক ছড়ার কারণে খেলাটি দর্শকদের মনে আনন্দ দেয়। ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি যেকোন জায়গায় যেকোন সময় আয়োজন করা যায়। শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে খেলাটির উপযোগিতা অনেক। গ্রামাঞ্চলে খেলাটি অধিকতর জনপ্রিয় হওয়ায় খেলাটিকে গ্রামবাংলার খেলাও বলা হয়।

আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন উৎসবের অনুষ্ঠানে আমোদ -প্রমোদের জন্য কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে ঈদ,পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস উপলক্ষে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ নানান জায়গায় প্রতি বছর নিয়ম করে কাবাডি আয়োজন করা হলেও এবারের ঈদে কোথাও আয়োজন করা হচ্ছেনা করোনাভাইরাসের কারণে।

ষাঁড়ের লড়াই

অতীতে বাংলাদেশে ঈদের সময়ে ষাঁড়ের লড়াই একটি প্রসিদ্ধ খেলা রূপে প্রচলিত ছিল। লড়াই করার জন্য ষাঁড় গরু আলাদাভাবে লালন পালন করা হতো। এর দ্বারা হাল চাষ বা অন্য কোন ধরনের কাজ করা হতো না। ষাঁড়টিকে মোটাতাজা করা হতো শুধু লড়াই করার জন্য। শুকনো মৌসুমে গ্রামের বাজারে ঢোল পিটিয়ে ষাঁড়ের লড়াই দেখার আমন্ত্রন জানানো হতো। মাঠে ষাঁড়ের মালিকগণ তাদের ষঁড়গুলোকে বিভিন্ন রঙিন কাপড়, ঘুংগুর, দোয়াল দিয়ে গেঁথে নিয়ে আসতেন। দুদিকে দুজন রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে এসে দুপক্ষের ষাঁড়কে ছেড়ে দিয়ে সবাই মিলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ও বিভিন্ন তালে তালে গান করত।

বাংলাদেশে এখনো কিছু কিছু স্থানে উৎসবের সাথে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে নড়াইলের সুলতান মেলায় এই প্রতিযোগিতা এখনো বিপুল জনপ্রিয়। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিগত ২০ বছর ধরে নড়াইল-যশোরের সীমান্তবর্তী বর্ণি-বিছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আসে। সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করতেই এই আয়োজন করা হয়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিগত ২০ বছর ধরে এ এলাকায় ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতার আয়োজন-ও স্থগিত করা হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএম



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন