নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ৩০ জুন, ২০২০
লা লিগার চলতি মৌসুমে টেবিলের শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াই জমে উঠেছে। করোনার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার মাঝে চলছে দারুণ এই দ্বৈরথ। দুই দলের প্রতিটি ম্যাচেই শীর্ষস্থানের হাত-বদল হচ্ছে। তবে লা লিগায় চলতি মৌসুম এখন অন্তিম পর্বে পা দিচ্ছে। আর মাত্র ৬ ম্যাচ করে বাকি রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার। ৩২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে আপাতত শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দুই দলের সামনেই লিগের শেষভাগে রয়েছে কঠিন, চ্যালেঞ্জিং কিছু ম্যাচ। আর শেষ ৬ ম্যাচের পরিণতিই ঠিক করে দিবে চলতি মৌসুমের শিরোপা ভাগ্য।
বাকি ছয় ম্যাচের প্রতিপক্ষের নামগুলো দেখে নেওয়া যাক -
বার্সার প্রতিপক্ষ |
রিয়ালের প্রতিপক্ষ |
অ্যাটলেটিকো |
গেতাফে |
ভিয়ারিয়াল |
বিলবাও |
এসপানিওল |
আলাভেস |
ভায়াদোলিদ |
গ্রানাদা |
ওসাসুনা |
ভিয়ারিয়াল |
আলাভেস |
লেগানেস |
করোনাভাইরাসের কারণে এখন ম্যাচগুলো দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হয় বলে এক ভ্রমণক্লান্তি ছাড়া হোম বা অ্যাওয়ে ম্যাচে হয়তো তেমন পার্থক্য নেই। তবু দুই দলেরই তিনটি ম্যাচ নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। বার্সার ঘরের মাঠে ম্যাচ তিনটি অ্যাটলেটিকো, এসপানিওল ও ওসাসুনার বিপক্ষে। যেতে হবে ভিয়ারিয়াল, ভায়াদোলিদ ও আলাভেসের মাঠে। আর রিয়াল ঘরের মাঠে আতিথ্য দেবে গেতাফে, আলাভেস ও ভিয়ারিয়ালকে। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ তিনটি – বিলবাও, গ্রানাদা ও লেগানেস।
কাগজে-কলমে হয়তো বার্সেলোনার পরের তিনটি ম্যাচই বেশি কঠিন মনে হবে। আজ রাতে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে খেলবে বার্সা। পয়েন্ট তালিকার ৩ নম্বরে থাকা ডিয়েগো সিমিওনের দলের বিপক্ষে ম্যাচটাই লিখে দিতে পারে বার্সার শিরোপাভাগ্যের উপসংহার। বাকি ছয় ম্যাচের মধ্যে কাগজে-কলমে এই ম্যাচেই যে বার্সার পয়েন্ট হারানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এরপর মেসিরা যাবেন পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকা ভিয়ারিয়ালের মাঠে। তারপর প্রতিপক্ষ হয়ে আসবে এসপানিওল – লিগের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকলেও যারা বার্সেলোনার নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ডার্বির একটা উত্তেজনা থাকবেই! ভায়াদোলিদ (১৪তম), ওসাসুনা (১১) ও আলাভেস (১৬) – বার্সার বাকি তিন প্রতিপক্ষই অবশ্য পয়েন্ট তালিকার দশের নিচে।
রিয়ালের জন্য কাজটাও অবশ্য মোটেও সহজ নয়। বাকি ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই যে প্রতিপক্ষ এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার দশের মধ্যে। বৃহস্পতিবার রিয়াল খেলবে এই মৌসুমে চমক দেখানো গেতাফের (পয়েন্ট তালিকায় ৬-এ) বিপক্ষে, এরপর জিদানের দল যাবে ৯-এ থাকা বিলবাওয়ের মাঠে। কঠিন এই দুই পরীক্ষা পার হওয়ার পর রিয়ালের অপেক্ষায় বাকি চার দলের মধ্যে ভিয়ারিয়াল আছে পয়েন্ট তালিকার ৫-এ, গ্রানাদা ১০-এ। আলাভেস (১৬) ও লেগানেসই (১৯) শুধু নিচের দশ দলের মধ্যে।
ফর্মের বিচারে রিয়াল-বার্সা দুই দলেরই পরীক্ষা নিতে পারে ভিয়ারিয়াল। করোনা বিরতি কাটিয়ে ফেরার পর ৫ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে ইয়োলো সাবমেরিনরা, ড্র করেছে শুধু সেভিয়ার সঙ্গে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে অতীত পরিসংখ্যান অবশ্য রিয়ালকে ঘিরেই শঙ্কা জাগাবে বেশি। ইয়োলো সাবমেরিনদের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে রিয়ালের জয় শুধু ১ ম্যাচে, হেরেছে ১ ম্যাচে, বাকি ৩টি ড্র। মজার ব্যাপার, ৩টি ড্র-ই ২-২ গোলে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে বার্সার পরিসংখ্যান? ৪ জয়, ১ ড্র! জিদানের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে ভিয়ারিয়াল।
বার্সার জন্য অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যে বড় পরীক্ষা তা তো আর বলার দরকার হয় না, ডিয়েগো সিমিওনের দলের ফর্মও দারুণ। এই মৌসুমে অনেকটা সময় ফর্মে উত্থান-পতন দেখা অ্যাটলেটিকো করোনার বিরতি থেকে ফেরার পর প্রথম ম্যাচে বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও পরের চারটি ম্যাচেই জিতেছে। বার্সার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য অ্যাটলেটিকোর রেকর্ড রিয়ালকে খুব একটা আশা দেখাবে না। গত ডিসেম্বরে এই অ্যাটলেটিকোর কাছেই হেরে বার্সা সুপারকাপ থেকে বাদ পড়েছে বটে, যা শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে বার্সার সে সময়কার কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের চাকরি। তবে লিগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে বার্সার বিপক্ষে ৩ বারই হেরেছে সিমিওনের দল, বাকি ২ ম্যাচ ড্র।
অন্যদিকে রিয়ালের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে রিয়াল-বার্সার পাশাপাশি স্প্যানিশ লিগের ঐতিহ্যবাহী আরেক দল অ্যাথলেটিক বিলবাও। লিগে দুই দলের মুখোমুখি সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের রেকর্ড তা-ই বলে। এই ৫ ম্যাচে রিয়ালের জয় কেবল ১টি, বাকি ৪টি ম্যাচই ড্র! বিলবাওয়ের ফর্মও খুব একটা মন্দ নয়। করোনা বিরতির পর ৫ ম্যাচের মধ্যে বাস্ক অঞ্চলের ক্লাবটি হেরেছে শুধু বার্সেলোনার কাছে (১-০), বাকি চার ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ২টি, ড্র ২টি।
অর্থাৎ কাগজে-কলমে খুব বেশি পার্থক্য নেই রিয়াল-বার্সার সামনের ম্যাচগুলোর মাঝে। তবে কাগজে-কলমের হিসেব বাদেও যেকোন কিছু ঘটতে পারে ৯০ মিনিটের ফুটবলে। সেক্ষেত্রে জিদানের একটা সন্তুষ্টি থাকবে। করোনার বিরতির পর রিয়াল যেখানে সব ম্যাচই জিতেছে, বার্সেলোনা ধুঁকছে। কোচের সঙ্গেও বার্সার খেলোয়াড়দের বনছে না বলে গুঞ্জন ভাসছে বাতাসে। ফলে টানা তৃতীয়বার শিরোপা জয়ে বার্সাকে যেখানে খেলতে হবে অসাধারণ ফুটবল, সেক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর লিগ শিরোপা জয়ের জন্য কোন রকমের ভুল করা যাবেনা রিয়ালের।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।
দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।
নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’
স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’
গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।
আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
মন্তব্য করুন
এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।
এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।
বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’
নারী ক্রিকেট এশিয়া কাপ বাংলাদেশ আম্পায়ারিং সাথিরা জাকির জেসি
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।
বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।
সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।
সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'
জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।
তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'
লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনা ইন্টার মায়ামি
মন্তব্য করুন
শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।
রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’
রিকি পন্টিং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট
মন্তব্য করুন
চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে প্রতিনিয়ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত। তবে এবার ডিপিএলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। আর সেটি হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে।
গতকাল হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানের মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচটিতে ছক্কা মেরেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন মুশফিকুর রহিম। এ নিয়ে ম্যাচটি বেশকিছু সময় বন্ধ ছিল। এমনকি ম্যাচ শেষেও হাত মেলাননি দুদলের খেলোয়াড়। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন মুশফিক নিজেই।
শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন মুশফিক। বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনির সেই ক্যাচের একটি ছবি পোস্ট করে মুশি লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনটি ইমোজি। মুশফিক আজ পোস্ট করার পর দ্রুতই তা অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার।
মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নামা আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মুশফিককে।
প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে নাঈম হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের মুশফিক। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি।
এ সময় বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু ডাইভ দিয়ে উঠতে গিয়ে রনির পা স্পর্শ করে বাউন্ডারি রশিতে। তবুও মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার!
মুশফিকের ক্যাচ নিয়েই ভোঁ দৌড় দেন রনি। উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন মুশফিক। যেতে গিয়েও গেলেন না মুশি। প্রাইম ব্যাংক এটি ছয়ের আবেদন জানায়। প্রায় মিনিট পনেরোর মতো সময় বন্ধ থাকে খেলা।
রিপ্লে’তে দেখা যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেয়ার পর রনি ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে গড়ান দেন। বল হাত থেকে না ফসকালেও ওঠার সময় বাঁধে বিপত্তি। পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত এটিকে আউট ঘোষণা করেন।
অবশ্য একটা পর্যায়ে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন মোহামেডানের উপর। তারা যদি নট আউট মেনে নেয় তাহলে মুশফিক মাঠে থাকতে পারবেন। তবে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নারাজিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে।
মুশফিকুর রহিম ডিপিএল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।