ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোতে গোল্ডেন বল জয়ে এগিয়ে যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ জুন, ২০২১


Thumbnail

আর দু`দিন পর রোনালদোর পর্তুগালের শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে শুরু হবে ইউরো মিশন।২০১৬’র ফাইনালে বেঞ্চের একজন হয়ে জিতেছিলেন পরম আরাধ্য দেশের হয়ে শিরোপা। এবার যে তার শেষ ইউরো তা বলাই যায়। তবে পর্তুগিজ সুপার স্টার কিন্তু একা নন, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি হয়ে আছেন আরও ক’জন ফরোয়ার্ড। চলুনদেখে নেওয়া যাক এবারের আসরে বাজিমাত করার অপেক্ষায় থাকা ফরোয়ার্ডদের।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

বয়স ৩৬, ইউরোয় এটাই তার শেষ আসর বলা যায়। রজার মিলারের পদাঙ্ক মেনে যদিও ৪০ বছর বয়সে ২০০৪-এর ইউরো খেলেনও, পুরো ৯০ মিনিট নয় হবে আরও কম। তবে এই প্রশ্ন তোলা থাকল, আপাতত বর্তমানেই থাকা যাক। বড় আসরগুলোতে সেরা তারকাদের ওপর নজর থাকে যেমন চাপও থাকে তেমন। তাদের জন্য ভালো কিছু করাও কঠিন করে তোলে বিপক্ষ। সবশেষ ইউরোতে দল জিতলেও রোনালদো করেছিলেন মাত্র ৩ গোল। এবার পরিস্থিতিও ভিন্ন, রোনালদো একাই নন তার দলে। ব্রুনো ফার্নান্দেজ, রিকার্দো কুয়ারেসমা, বার্নার্দো সিলভাসহ তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার আছেন দলটিতে। তবু রোনালদো তার আসনেই থাকবেন। জুভেন্তাসের হয়ে এই মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৬ গোলের কৃতিত্ব গড়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হওয়ার দৌড়ে ইরানের আলি দাইয়ের (১০৯) চেয়ে মাত্র ৬ গোল পেছনে রোনালদো।

রবার্ট লেভানডোস্কি

দুর্দান্ত ছন্দ আর ফর্ম নিয়ে এই আসর শুরু করছেন পোল্যান্ড স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে কদিন আগেই বুন্দেসলিগায় ভেঙেছেন গার্ড মুলারের রেকর্ড। জার্মান কিংবদন্তি বায়ার্নের হয়ে এক মৌসুমে ৪০ গোল করেছিলেন। লেভা ২৯ ম্যাচে করছেন ৪১ গোল। করোনার ধাক্কা না থাকলেও গতবারের ব্যালন ডি অর-ও নিশ্চিতভাবেই জিততে এই পোলিশ। তবে সেই আক্ষেপ মেটাতে পারেন ইউরো দিয়ে। এই আসরে দারুণ কিছু করলে গতবারের না পাওয়ার আক্ষেপ মিটে যেতে পারে লেভার জন্য। বড় আসরে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। যেমন গত ইউরোতে মাত্র ১ গোল করেছিলেন। এবার এই গেরো কাটিয়ে উঠতে চাইবেন লেভা।

করিম বেনজেমা

এবারের ইউরোর আগে সম্ভবত সেরা খবরটি ছিল করিম বেনজেমার ফ্রান্স দলে ফেরা। ২০১৫ সালের পর থেকে জাতীয় দল ব্রাত্য এই স্ট্রাইকার আবারও বড় মঞ্চে ফিরছেন। সবশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন বেনজেমা। এরপর সাড়ে ৫ বছরের অপেক্ষা। তবে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম নিয়েই জাতীয় দলে ফিরেছেন এই ফরাসি। গত তিন মৌসুম ধরে রিয়াল মাদ্রিদের সেরা স্কোরার হয়েছেন। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৩০ গোল। তাই ফিরে আসার মঞ্চ ইউরোকে নিজের মতো করে সাজাতে চাইবেন বেনজেমা। রিয়াল তারকার ফিরে আসায় আগে থেকেই ফেভারিট বর্তমান রানার্সআপ ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়েছে।

রোমেলু লুকাকু

দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়াম। আশির দশকের অন্যতম সেরা ফুটবল শক্তিকে যারা এই উচ্চতায় তুলেছেন তাদের একজন রোমেলু লুকাকু। দেশের ৯৩ ম্যাচে ৬০ গোল করে বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হয়ে গেছেন ইতিমধ্যেই। লেভানডোস্কি, বেনজেমাদের মতো ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থেকে ইউরো শুরু করতে যাচ্ছেন লুকাকু-ও। ২৮ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার দশ বছর পর ইন্তার মিলানের লিগ শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। লিগে দলের পক্ষে করেছেন সর্বোচ্চ ২৪ গোল আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০টি। ২০১৮ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের তৃতীয় হওয়ার পেছনে লুকাকুর অবদান ছিল চার গোল। এবারের ইউরো বাছাইয়ে ৫ ম্যাচেই করেছেন ৭ গোল। এবার মূল আসরে ঝলকের অপেক্ষা।

হ্যারি কেইন

ইংল্যান্ড দলে স্ট্রাইকারদের নেতা হ্যারি কেইনের ইউরো ফল হতাশাজনক হতে পারে। টটেনহ্যাম হটস্পার তারকাকে নতুন মৌসুমে নতুন দল হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু সেই চিন্তা ইউরোর মধ্যে আনলেই নিজের ও ইংল্যান্ডের সর্বনাশ। তাই ক্লাব চিন্তা বাদ দিয়ে ইউরো নিয়ে ভাবতে হবে কেইন-কে। ফিরিয়ে আনতে হবে ২০১৮ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স। ৬ গোল দিয়ে আসরের সেরা গোলদাতা হয়েছিলেন। এবারের ইউরো বাছাইপর্বে ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হয়েছেন। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে হতাশাজনক পারমফর্ম করা স্পার্সদের হয়ে ২৩ গোল করেছেন।

জেরার্দো মরেনো

এবারের ইউরোয় তারকায় ঠাঁসা দল গড়া থেকে সরে এসেছে স্পেন। তবে লুইস এনরিকের দলে প্রতিভার শেষ নেই। তাদের একজন জেরার্দো মরেনো। ভিয়ারিয়ালের হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মোরেনো। তার আগেই ফাইনালে গোলসহ সাত গোল করেছেন আসরে। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে একমাত্র লিওনেল মেসির কাছেই হেরেছেন। ২৩ গোল নিয়ে ছিলেন ৩০ গোল করা মেসির পেছনে। এই ইউরোয় তরুণ স্ট্রাইকারদের মধ্যে স্পটলাইটটা তার দিকেই রেখেছেন মরেনো।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন