ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড কর্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:২১ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড:

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেছেন শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান। সর্বোচ্চ ৩৫টি ম্যাচ খেলে দিলশান করেন ৮৯৭ রান। এর কারণও আছে। ৬টি বিশ্বকাপের মধ্যে তিনবারই ফাইনাল খেলেছে শ্রীলঙ্কা। আর প্রায় প্রতিবারই লঙ্কান দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন দিলশান।

তার পরেই রয়েছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি। আফ্রিদি ৩৪ টি ম্যাচ খেলে ৫৪৬ রান করেন। তৃতীয় স্থানে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৩৩ ম্যাচ খেলে ৫২৯ রান করেন। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার চতুর্থ অবস্থানে আছেন। তিনি ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন।

তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন আরেক শ্রীলংকান খেলোয়াড় লাসিথ মালিঙ্গা। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বোলার খেলেন ৩১ ম্যাচ।

সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড:

আগের ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ইনিংস ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালে পাল্লেকেলে মাত্র ৫৮ বলে ১২৩ রান করেন। যেখানে তিনি ৭ টি ছয়ের পাশাপাশিই ১১টি চারের মার মারেন। এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান গেইলের।  টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাদশাহ বলা হয় গেইলকে। এমনকি এই ফরম্যাটের সেরা ব্যাটসম্যানও মনে করা হয় তাকে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার বিশালদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাইশ গজে বড়ই নির্দয়। বিশাল সব ছয়ে প্রায়ই বল উপড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। গেইল ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ টি ছক্কার ও ৭টি চারের মাধ্যমে ১১৭ রান করেন।  ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১১৬ রানে অপরাজিত থেকে অ্যালেক্স হেলস আছেন তৃতীয়তে। তিনি চট্টগ্রামের মাঠে শ্রীলঙ্কার সাথে এই রান করেন। একই বিশ্বকাপে আহমেদ শেহজাদ ঢাকার মাঠে টাইগারদের বিপক্ষে ১১১ রানে অপরাজিত থেকে তালিকার চতুর্থ নাম্বারে অবস্থান করছেন। তালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন সব ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বাংলাদেশের সেরা রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। প্রায় দেড় দশক ধরে চলমান ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম সংস্করণে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির তালিকা করতে গেলে মিলবে শুধু একটি নাম। তিনি দেশসেরা ওপেনার ও সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটি করেছেন জাতীয় দলের বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক।

আরও পড়ুন: বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত বিশেষ ম্যাগাজিন

সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী:

শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে সবার ওপরে রয়েছেন। মাহেলা জয়াবর্ধনে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেন। এরপরের অবস্থানেই আছেন ক্রিস গেইল। তিনি ২৮ ম্যাচে ৯২০ রান করেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটসম্যান তিলকারত্নে দিলশান। তিনি ৩৫ ম্যাচ ৮৯৭ রান করেন। এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন বর্তমানে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। কোহলি ১৬ ম্যাচেই ৭৭৭ রান করেন। ৩০ ম্যাচে ৭১৭ রান নিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স আছেন পঞ্চম অবস্থানে।

সবচেয়ে মিতব্যায়ী বোলার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে কৃপণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘূর্ণি বোলার সুনিল নারিন। সবচেয়ে কম ইকনোমি রেট তার। তিনি বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচ খেলে ৪৪.৪ ওভার বল করে ২৩১ রান দিয়ে ১৫ উইকেট নেন। যেখানে  বেস্ট বোলিং ফিগার হল ৯ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আরেক ক্যারিবিয়ান বোলার স্যামুয়েল বদ্রি। তিনি ১৫ ম্যাচে ৫৯ ওভার বল করে ৩২৬ রান দিয়ে ২৪ উইকেট নেন। ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের সেরা বোলিং আঁকেন। তৃতীয় কৃপন বোলারের তালিকায় আছেন কিউই কিংবদন্তী বোলার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। তিনি বিশ্বকাপের ১৭ ম্যাচে ৬৭.১ ওভার বল করে ৩৯২ রান দিয়ে ২০ উইকেট নেন। ৪/২০ হলো তার সেরা বোলিং ফিগার। আরেক কিউই বোলার নাথান ম্যাককুলাম এই তালিকায় আছেন চতুর্থ অবস্থানে। তিনি ২২ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ৬৭.১ ওভার বল করে ৩৯৯ রান দিয়ে ২৩ উইকেট নেন। ৩/১৫ রানে সেরা বোলিং ফিগারে জ্বলে উঠেন বিশ্বকাপে। ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন আছেন কিপ্টে বোলারের সেরা পঞ্চম তালিকায়। তিনি ১৫ ম্যাচে ৫৪.০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৩৪ রান দিয়ে ২০ উইকেট নেন। সেরা বোলিং ফিগার ৪/১১

সেরা বোলিং রেকর্ড:

টি-টোয়েন্টিতে একজন বোলার বল করার সুযোগ পান মোটে ৪ ওভার। সেই চার ওভারেই কি না একা ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অজন্তা মেন্ডিস। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাম্বানতোতায় মাত্র ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট দখল করার কীর্তি গড়েন মেন্ডিস। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে আজও সেরা বোলিং। এক রহস্যময় স্পিনার ছিলেন তিনি। বল করতে গিয়ে তিনি হাত কিভাবে ঘোরাতেন, সেটা আবিষ্কারেই বেশ সময় চলে যায় ব্যাটার কিংবা সংশ্লিষ্ট দলের কোচদের। হাম্বানতোতার মাঠে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪.০ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন এই স্পিন যাদুকর। তার পরের অবস্থানেই আছেন মেন্ডিসের আরেক স্বদেশী রঙ্গনা হেরাথ। তিনি ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামের মাঠে ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে নেন। পাকিস্তানের পেসার উমর গুলো আছেন তৃতীয় অবস্থানে। দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্য ওভালের মাঠে ৩.০ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। নেদারল্যান্ডস দলের বোলার আশান মালিক ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করেন। বাংলাদেশের কাতার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও আছে সেরা উইকেট নেওয়ার তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে। ভারতের কলকাতায় ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪.০ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী:

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। বুমবুম খ্যাত এই ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টির ফরম্যাট আবিষ্কারের পর থেকে ৯৯টি ম্যাচ খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। অলরাউন্দার এই বোলার বিশ্বকাপ খেলেন ৩৪ ম্যাচ। সেখানে তিনি ১৩৫.০ ওভার বল করে ৯০৭ রান দিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট শিকার করেন। তার পরের অবস্থানেই আছেন লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলংকান এই বোলার ৩১ ম্যাচ খেলে ১০২.৪ ওভার বল করে ৭৬৩ রান ৩৮ উইকেট শিকার করেন। তৃতীয় অবস্থানেই আছেন আরেক পাকিস্তানি বোলার সাঈদ আজমল। স্পিন যাদুকর এই বোলার ২৩ ম্যাচ খেলে ৮৯.২ ওভার বল করে ৬০৭ রান দিয়ে ৩৬ উইকেট শিকার করেন। স্পিন রহস্য অজন্থা মেন্ডিস সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারের তালিকায় আছেন চতুর্থ নাম্বারে। তার উইকেট সংখ্যা ৩৫টি। ২৪ ওভারে ৮২.৪ ওভারে ৬০৪রান দিয়ে সমান সংখ্যক ৩৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছেন উমর গুল।

সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাকিয়েছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার প্রথমে আছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ক্রিস গেইল। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার বিশালদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাইশ গজে বড়ই নির্দয়। বিশাল সব ছয়ে প্রায়ই বল উপড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে।২৮ ম্যাচে তিনি ৬০টি ছক্কা হাকিয়েছেন।

এরপরের অবস্থানে আছেন ভারতের যুবরাজ সিং। অলরাউন্দার এই ক্রিকেটার ৩১ ম্যাচে ৩৩ ছক্কা হাকিয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক অজি খেলোয়াড় শেন ওয়াটসন। ২৪ ম্যাচে তিনি ৩১ ছক্কা মেরেছেন। তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছেন মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এবিডি ভিলিয়ার্স। তিনি ৩০ ম্যাচে ৩০ ছক্কা মারেন। ৩১ ম্যাচে ২৫ ছক্কা মেরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাহেলা জয়াবর্ধনে।

আরও পড়ুন: বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত বিশেষ ম্যাগাজিন



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এক ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েই স্কোরবোর্ডে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চার ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না কলকাতার জন্য। ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট আর সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারেস্টো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক সিং।

ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলে কার্যত প্রবল খরা চলছে। ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। তাপপ্রবাহ প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের বাইশগজে যেন কালবৈশাখী তুফান ছোটালেন দুই দলের ব্যাটাররা। একটা পরিসংখ্যানে আরেকটু পরিস্কার করা যাক এই ম্যাচটা। কলকাতা ও পাঞ্জাব মিলে ৩৮.৪ ওভারে রান করেছে ৫২৪! উভয় দল ছক্কা মেরেছে ৪২টি! যা টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ ছাড়া আজকের ম্যাচে চারের মার রয়েছে ৩৮টি! মোট চার-ছক্কা ৮০টি! শুধু ছক্কা থেকে এসেছে ২৫২ রান (প্রায় ৫০%)।

চলতি আসরে যেন উড়ছিল কলকাতা। এদিনও টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে সল্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সল্টের মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৭১ রান। এই ইনিংস খেলার পথে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছেন এই ক্যারবিয়ান ওপেনার। চলতি আসরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন।

দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২৮ রান। তাছাড়া ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

২৬২ রানের লক্ষ্য একপ্রকার অসম্ভবই ছিল পাঞ্জাবের কাছে। এমনিতেও ভালো ফর্মে নেই তারা। কিন্তু প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন প্রভসীমরন সিং আর জনি বেয়ারস্টো। প্রভসীমরনের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও চারটি চারের মার। অন্যদিকে বেয়ারস্টো তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি। বলতে গেলে তাঁর হাতেই পরাস্ত হয় কেকেআর। মাঝে রাইলো রুশো ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে। ইডেনের আলো ঝলমলে রাতে শেষের দিকে সব আলো কেড়ে নেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি ছয়।

কলকাতার হয়ে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন নারিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া কেউই উইকেটের দেখা পাননি।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বরেকর্ড   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন