কুমিল্লা
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের উদ্যোগে এবং কুমিল্লা জেলা
প্রশাসনের অর্থায়নে এবার রোবট নিকো
তৈরি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক দল তরুণ
শিক্ষার্থী। তাদের দলের নাম কোয়ান্টা
রোবোটিক্স টিম।
রোবটটি
তৈরি করতে টিম লিডার
হিসেবে কাজ করেছেন কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের পদার্থবিজ্ঞান
বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্জিত মণ্ডল। হেড প্রোগ্রামার হিসেবে
কাজ করেছেন আইসিটি বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের
শিক্ষার্থী জুয়েল নাথ। এছাড়াও রোবটটি
তৈরিতে কাজ করেছেন আইসিটি
বিভাগের অনিক চক্রবর্তী, তাওসীফ
বিন পারভেজ, মহিউদ্দিন খান মাহিন।
নির্মাতা
দলের সাথে কথা বলে
জানা যায়, দীর্ঘ ১
বছর পরিশ্রম করে 'নিকো' নামে
একটি রোবট তৈরি করেছে
কুবি কোয়ান্টা রোবোটিক্স টিম। নিকোলাস টেসলার
নাম থেকে নিকো শব্দটি
নিয়ে তারা তাদের রোবটের
নাম দিয়েছেন 'নিকো'। এটি
তাদের তৃতীয় রোবট। এটিকে থ্রিডি
প্রিন্টেড রাসবেরি পাই বেইজ কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বাংলাদেশের সর্বাধুনিক মানব
রোবট বলে মনে করেন
তারা।
রোবটটি
তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে নিকো
ভার্শন ১.০, স্পিড
১.৫ গিগাহার্জ, সিক্সটি
ফোর বিট স্কোয়াড কোর
এআরএম প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম,১২০ গিগাবাইট
রম। ২৯ টি শক্তিশালী
সার্ভো মোটর ব্যবহার করা
হয়েছে বিভিন্ন প্রকার বডি পার্টস মুভমেন্ট এর জন্য, চলার
জন্য ব্যবহার করা হয়েছে হাই
টর্কের ডিসি মোটর। এছাড়া
পরিচালনা করার জন্য রয়েছে
সেভেন ইঞ্চি রাসবেরি পাই টার্চ ডিসপ্লে।
এটি কোনো প্রকার তার
সংযোগ ছাড়াই সরাসরি রোবটের সাথে কথা বলে
রোবটটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
কোয়ান্টা
রোবোটিক্স টিমের লিডার সঞ্জিত মন্ডল বলেন, রোবটটিকে কর্মক্ষেত্রে যেকোনো কাজে ব্যবহার করা
যাবে। মানুষের মতোই যেকোনো কাজ
করতে সক্ষম আমাদের এই রোবটটি। রোবটটিতে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহারের কারণে
মানুষের মতই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
ব্যবহার করতে পারবে এবং
এক চার্জেই প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা ব্যাটারি
ব্যাকআপ দিতে সক্ষম আমাদের
এই রোবটটি।
তিনি
আরো বলেন, বাংলাদেশে এমন ধরনের রোবট
সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করা হয়েছে কুমিল্লা
জেলা প্রশাসনের নির্মিত ফ্যাভ ল্যাবে। আমাদের টিম কোয়ার্টার রোবোটিক্স
পূর্বে আরো দুইটি রোবট
তৈরি করেছিল। রোবট নিকো আমাদের
নির্মিত তৃতীয় রোবট যেটি বাংলাদেশের
সবচাইতে এডভান্স রোবট। এর পূর্বে বাংলাদেশ
আগে কখনই ফুল থ্রিডি
প্রিন্টেড রাসবেরি পাই বেইস কোন
রোবট তৈরি হয়নি।
জেলা
প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আজকে আমরা রোবট
নিকো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছি। রোবটটি তৈরীতে
কাজ করেছে এক ঝাঁক তরুণ
মেধাবী শিক্ষার্থী। আমরা জেলা প্রশাসন
রোবটটি তৈরীতে আর্থিক সহযোগিতা করেছি কেবল। এটি একটি টকিং
রোবট। সে নিজেই নিজের
পরিচয় দিতে পারে। ১৮০
ডিগ্রিতে রোবটটি মুভমেন্টও করতে পারে। সে
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে। ডিজিটাল
বাংলাদেশ বিনির্মাণে রোবটটি অগ্রগণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।
শিক্ষার্থীদের
এমন সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক
ড.এ এফ এম
আবদুল মঈন। তিনি বলেন,
এটা দারুণ একটা মাইলফলক বলে
আমি মনে করি। এর
মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্বিত
করেছে। এসব সাফল্য নিঃসন্দেহে
অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণোদনা হিসাবে
কাজ করবে। তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে
এসে নতুন নতুন লার্নিং
প্রজেক্টের অংশ হতে উৎসাহ
পাবে। এমন একটি ইউনিক
প্রকল্পে আমার শিক্ষার্থীদের সমর্থন
জোগানোর পাশাপাশি মেন্টরিংয়ের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি
আরো বলেন, আমি চাই টিম
কোয়ান্টা সংশ্লিষ্ট সবাই এবং আমার
অন্যান্য শিক্ষার্থীরা যেন এ ধরণের
কাজ অব্যাহত রাখে। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের
অনুশীলন ভিত্তিক অথেনটিক লার্নিংয়ে যুক্ত করার যেকোনো সুযোগকে
স্বাগত জানাতে চাই।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।