ব্যবহারকারীর কনটেন্ট সার্চে ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধের’ হটলাইন ও অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রচারণা চালানো একটি ফিচার সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে টুইটার। এর কারণ হিসেবে ফিচারটি ‘নতুন করে ঢেলে সাজানোর’ কথা বলছে সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ফিচারটি ‘#ThereIsHelp’ নামে পরিচিত। এটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ইলন মাস্ক নিজেই। আর গত কয়েকদিনের মধ্যেই এটি সরানো হয়েছে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে উঠে এসেছে।
টুইটারের নিরাপত্তা প্রধান এলা আরউইন প্রতিবেদন প্রকাশের পর রয়টার্সকে এক ইমেইল বার্তায় বলেন, “বিভিন্ন প্রম্পট ঠিক করার পাশাপাশি আমরা সেগুলোকে ঢেলে সাজাচ্ছি। আমাদের কার্যক্রমের জন্য এগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এটি ফিরে আসবে।”
এই ফিচার সরানোর খবর আগে প্রকাশ না পেলেও এটি অনেক দেশের মানসিক স্বাস্থ্য, এইচআইভি, ভ্যাকসিন, শিশু নিপীড়ন, কোভিড-১৯, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কিত বিভিন্ন সহায়ক সংস্থার সার্চ ফলাফলে শীর্ষেই থাকতো।
ফিচারটি সরিয়ে ফেলায় টুইটারে থাকা ‘ভালনারেবল’ ব্যবহারকারীদের নিয়ে শঙ্কা বাড়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
ইলন মাস্ক বলেন, ‘অক্টোবরে তার টুইটারের দখলের পর থেকে প্ল্যাটফর্মে ক্ষতিকারক কনটেন্ট সম্পর্কিত মতামত কমেছে। তার বক্তব্য সমর্থনে একটি ‘গ্রাফ’ টুইট করেন তিনি, যেখানে এই ধরনের প্রবণতা কমে আসার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।’
বিভিন্ন গবেষক ও নাগরিক অধিকার দল অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তাদের ভাষ্যমতে, প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন টুইটে তারা বর্ণবাদী মন্তব্য ও অন্যান্য ঘৃণাবাচক কনটেন্টের ব্যবহার বাড়তে দেখেছেন।
বিভিন্ন ভোক্তানিরাপত্তা দলের চাপের মুখে, ‘কেউ হয়তো বিপদে পড়তে পারে’ এমন সন্দেহের বেলায় ব্যবহারকারীদের বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারী হটলাইনের মতো সুপরিচিত সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলেছে টুইটার, গুগল ও ফেইসবুক’সহ বিভিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা।
আরউইন ইমেইল বার্তায় বলেন, “এই ধরনের কার্যক্রম নিয়ে নিজস্ব সার্চ ফলাফলে ভালোই করছে গুগল। আর তাদের কয়েকটি পদ্ধতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা বিভিন্ন পরিবর্তন আনছি। আমরা জানি, অনেক ক্ষেত্রে এইসব প্রম্পট দরকারী। এগুলো যেন ঠিকমতো কাজ করে ও প্রাসঙ্গিক হিসেবেই থাকে, সেটি আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই।”
এদিকে, টুইটার থেকে ফিচারটি হারিয়ে যাওয়াকে ‘অত্যন্ত বিরক্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন সম্প্রতি টুইটারে নিষ্ক্রিয় হওয়া কনটেন্ট পরামর্শক দলের সদস্য এরলিয়ানি আব্দুল রহমান।
সাময়িকভাবে ফিচারটি কেবল উন্নতির উপায় খোঁজার উদ্দেশ্যে সরানো হলেও, একে অপসারণ না করে, বরং সক্রিয় রেখেই কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
#ThereIsHelp-এ প্রচারিত ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘এইডস ইউনাইটেড’ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমর্থক থাই দল ‘আই ল’ শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছে, ফিচারটির হারিয়ে যাওয়া তাদের কাছে ‘বিস্ময়কর’ মনে হয়েছে।
এইডস ইউনাইটেড বলেছে, ১৮ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত টুইটারের এই ফিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবপেইজ দিনে ৭০টি ‘ভিউ’ আকৃষ্ট করতো। তবে, ফিচারটি বন্ধ করার পর থেকে মোট ১৪টি ভিউ টানতে পেরেছে।
শুক্রবার হারিয়ে যাওয়া ফিচারটি সম্পর্কে টুইট করেন টুইটারের অংশীদার ‘সাউথইস্ট এশিয়া ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন নেটওয়ার্ক’-এর নির্বাহী পরিচালক দামার জুনিয়ার্তো। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ‘বোকা কার্যক্রমের’ কারণে তার সংস্থা সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে চলে যেতে পারে।’
কোম্পানির টুইট অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ বছর আগে কয়েকটি প্রম্পট উন্মোচন করেছিল টুইটার। আর এগুলো মিলতো ৩০টির বেশি দেশে।
এক ব্লগ পোস্টে টুইটার বলেছে, ‘ব্যবহারকারী যেন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়ে টুইটার পরিষেবায় প্রবেশাধিকার ও সমর্থনের সুযোগ পান, ওই বিষয়টি নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব ছিল।’
অলাভজনক সংস্থা ‘নেটওয়ার্ক কন্টেজিয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান বিশ্লেষক অ্যালেক্স গোল্ডেনবার্গ বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও সার্চ ফলাফলে দেখানো বিভিন্ন প্রম্পটের হদিস বৃহস্পতিবার থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি ও তার সহকর্মীরা অগাস্টে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, আগের বছরের তুলনায় টুইটারে ‘নিজের ক্ষতি’ সম্পর্কিত শব্দের ব্যবহার বেড়েছে পাঁচ গুণ। বিশেষ করে, তুলনামূলক কম বয়সী ব্যবহারকারীর মধ্যে এই ধরনের কনটেন্ট দেখার ঝুঁকি বেশি থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
গোল্ডেনবার্গ বলেন, “এই সিদ্ধান্ত যদি নীতি পরিবর্তনের প্রতীক হয়, মানে এগুলোকে তারা আর গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না, তবে সেটি অসম্ভব বিপজ্জনক একটি বিষয় হবে।”
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।