প্রতিযোগিতা না করে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনে বিশ্বনেতাদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিযোগিতার নয়, পারস্পারিক সহযোগিতার সময়।’
আমরা আত্মকেন্দ্রিক হতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে স্ব-নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত সম্ভাবনামীয় নেতাদের নিয়ে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের এলইএপি সম্মেলনের মূলমঞ্চে মিনিস্ট্রিরিয়াল সেশনে “তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এই আহ্বান জানান।
দুবাই ভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা এমকান করপোরেশন সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা ইসাক অ্যাপলবাউমের সঞ্চালনায় এ প্যানেলে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এইচই রুদিয়ানতারা এস. স্ট্যাট আলোচনায় অংগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের অনন্য শক্তি জনসম্পদ উল্লেখ করে পলক বলেন, বোস্টন কনসাল্টেন্ট গ্রুপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমাদের দেশে এখন ৩ কোটির মতো মধ্যম আয়ের ভোক্তা রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৫ কোটিতে উন্নীত হবে। কারণ ওই সময়ে মধ্যে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস কেনার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাই এই বাজার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রেরণা শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আর তিনি বিশ্বাস করেন সরকার নিজে ব্যবসা করবে না, ব্যবসায়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। পলক আমাদের তরুণরা এখন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হচ্ছে বলে জানান। এজন্য আমরা তাদের মেন্টরিং করছি। প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। এটা দেশে প্রথম এবং একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড যা বাংলাদেশ সরকার স্পন্সর করেছে যার মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। স্টার্টআপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগে ভাল সুফল পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে। যাদের অধিকাংশই পরিচালনা করছে তরুণরা। গত ১০ বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিদেশী উদ্যোগ তহবিলসহ ১৫ লক্ষ প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে৷
তিনি বলেন, বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রদানের কারণে বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব ব্যবসা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজার বিদেশি আইসিটি উদ্যোক্তাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে "আন্তর্জাতিক সংস্থা "ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন "(ডিসিও) এর ২য় সাধারণ অধিবেশনের সাত দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরবে রয়েছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
স্বনির্ভরতা অর্জন বিশ্বনেতা সৌদি আরব জোনায়েদ আহমদ পলক
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।