গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না- বঙ্গবন্ধুর এই অমিয় বাণীই বাংলাদেশের আজকের এই উন্নয়নের সাফল্যগাঁথা। ৪র্থ শিল্পবিল্পবের এই সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি বিশাল অবদান রাখছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের বর্তমান রপ্তানি আয় প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালের মধ্যে সেটা ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারের উপযোগী করে মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ ডেভেলপার তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। চুয়েটের এই ধরনের ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মে মাঝে উদ্যোক্তা মনোভাব ছড়িয়ে দিতে চাই। দেশের অর্থনীতিতেও মোবাইল অ্যাপ ও গেইম ইন্ডাস্ট্রি অবদান রাখতে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
শনিবার (৪ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও গেইম শিল্পে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং এই খাতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপস প্রজেক্টের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মোবাইল অ্যাপ, গেইম এবং জব ফেস্টিভ্যাল-২০২৩’- বিষয়ক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী ও তরুণ নেতৃত্ব জনাব ফারাজ করিম চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের উপ-সচিব জনাব মোহাম্মদ মনির হোসেন, চুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোকাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আইসিটি বিভাগের মোবাইল গেইম ও অ্যাপস শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রভাষক মৌমিতা সেন শর্মা ও জনাব সাদমান সাকিব।
চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘মোবাইল অ্যাপস ও গেইম এখন বিশ্বব্যাপী একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম শিল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে ও মোবাইল অ্যাপস ও গেইম হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ খাত। সরকার এ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধা এবং সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটিয়ে মোবাইল অ্যাপস ও গেইম তৈরিতে এগিয়ে আসলে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব।’
সমাজকর্মী ও তরুণ নেতৃত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ওপর ভর করে আমাদের অর্থনীতি আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু যেসব দেশ রোবট বানিয়ে পুরো সিস্টেমকেই বদলে দিচ্ছে, যারা মানুষের ব্রেইনের বিকল্প তৈরিতে সক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে আমরা কতটুকু সক্ষম সেটাও ভাবতে হবে। বিগত এক দশকের আগের মোবাইল অ্যাপ ও গেইমিং ইন্ডাস্ট্রি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। প্রযুক্তি শেকড় এখন অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আমাদেরকেও সেই গতিতে আগাতে হবে। সেজন্য দেশের মেধাবীদের যদি দেশে রাখতে পারি তবে দেশের প্রকৃত উন্নতি হবে। আমাদের দেশের মেধা বিদেশিরা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাবে, সেটা কাম্য নয়।’
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ‘স্মার্ট ক্যারিয়ার উইথ অ্যাপ অ্যান্ড গেইম’, ‘দ্য রাইজ অব অ্যানিমেশন: অ্যাক্সপ্লোরিং দ্য ক্যারিয়ার’, ‘পিপল, ট্রেনিং অ্যান্ড টেকনোলজি’, ‘অ্যানিমেশন মুভি স্ক্রিনিং’ এবং ‘প্রেজেন্টেশন অন শর্ট লিস্টেড গেইম অ্যান্ড অ্যাপ’- শীর্ষক পৃথক পাঁচটি সেশন পরিচালিত হয়। উক্ত সেশনসমূহে বর্তমান বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ ও গেইম তৈরির লক্ষ্যে তরুণ প্রযুক্তিবিদ ও শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মোবাইল অ্যাপস এবং গেইম বিষয়ক দুই শতাধিক আইডিয়া নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখান থেকে বাছাইকৃত তিনটি আইডিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া জব ফেস্টিভ্যালে দেশের স্বনামধন্য ২০টি আইটি ও সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। যেখানে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপস, গেইম ও আইডিয়া নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় এক হাজার লোকের মিলনমেলা বসে।
চুয়েট মোবাইল অ্যাপ গেইম জব ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।