ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মেধাকে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। মেধাশ্রম দিয়ে নিজেদের তৈরি হতে হবে এবং বিশ্ব জয় করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।’
শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ১৩তম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার হাত ধরে ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ধারা শুরু করেছিলেন। ৭২ থেকে ৭৫-এর মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, ৯৭ থেকে ২০০১ এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে রূপান্তর ঘটিয়েছেন- তার একটি পরিসংখ্যান দিয়ে ডাক ও টেলিয়োগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ লাখ। অথচ আজকের এই দিনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটিতে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আমরা ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতাম ৮ জিবিপিএস এবং এখন ২০২৩ সালের এই দিনে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছি ৪ হাজার ১৪০ জিবিপিএস।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ মোবাইল ফোন উৎপাদন করছি আমরা। বাংলাদেশের উৎপাদিত মোবাইল ফোন আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বে এখন রপ্তানী হচ্ছে। আশার কথা হচ্ছে, আমাদের দেশ ব্যান্ডউইথ এখন ভারতে রপ্তানী করছে। পার্শবর্তী কয়েকটি দেশ আমাদের ব্যান্ডউইথ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আমরা তথ্য প্রযুক্তিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেব। মানুষের সভ্যতা তৈরি করতে হলে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তাদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।’
তিনি ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জনদুর্ভোগকে জনশক্তিতে পরিণত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রটা তোমাদেরকেই এগিয়ে নিতে হবে। আর আমি মনে করি যারা আমার সামনে বসে আছে তারা বাংলার ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মেধাবী প্রজন্ম। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’
এ সময় তিনি ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ড. জাফর ইকবাল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করে বলেন, ছোটবেলায় আমি পুরস্কার পাইনি। তবে বড় হয়ে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করছি। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে বেশি বেশি বই পড়ার পরামর্শ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পদার্থ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুলতানা সাফী বলেন, প্রতিযোগিতা করে বিজয় অর্জন করা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। তবে কেউ হাল ছাড়বে না। প্রাণপণে চেষ্টা চালাতে হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করার।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড কমিটি কর্তৃক বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট ও স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটি অসামান্য মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদেরকে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আয়োজিত অলিম্পিয়াডগুলোতে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক, সাইন্সফিকশন লেখক অধ্যাপক ড. মো. জাফর ইকবাল, ন্যাশনাল অলিম্পিয়াডের অন্যতম ফাউন্ডার অধ্যাপক মুহাম্মদ কায়কোবাদ। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুলতানা সফি, পদার্থবিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডিএমডি এহতাসিমুল হক খান প্রমুখ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক জনাব মোস্তাফা জব্বার
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।