নীতি সহায়তা প্রদান, অধিকতর দক্ষতা উন্নয়ন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় উদ্ভাবকদের একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলার মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সরকার আইসিটি শিল্পের জন্য দুটি ডিজিটাল অর্থনীতি হাব (কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।
এ লক্ষে আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে আইসিটি বিভাগের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের সাথে বেসিস ও বাক্কোর দুটি আলাদা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল ডিরেক্টর পঙ্কজ গুপ্তের উপস্থিতি ছিলেন। ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এবং বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগডেটা, ব্লকচেইন, থ্রিডি’র মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে। এজন্য ইডিজিই প্রকল্প থেকে এসব প্রযুক্তিতে ১ লক্ষ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার, যার লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ বিশ্বে বাংলাদেশকে বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে তুলে ধরা। উদ্ভাবন ও গবেষণার বিকাশে দেশের ১০টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র (আরআইসি) প্রতিষ্ঠা করছে। এসব আরআইসি থেকে অগ্রসর প্রযুক্তিনির্ভর নানা গবেষণা ও উদ্ভাবনের ফলে দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হবে, যারা বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির দক্ষতা ও নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল অর্থনীতি কেন্দ্রগুলোকে (হাব) গতিশীল উদ্ভাবন, জ্ঞান বিতরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষগুলো কাজ করবে। ডিজিটাল অর্থনীতির অংশীজনের জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি জ্ঞান ও সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক, ইডিজিই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল বারি তুষার, বিশ্বব্যাংকের রিজনাল ডিরেক্টর পঙ্কজ গুপ্ত।
পরে প্রতিমন্ত্রী ইডিজিই প্রকল্প থেকে প্রকাশিত এবং প্রকল্পের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট অজিত কুমার সরকার সম্পাদিত ‘টেক ইনসাইট’ শীর্ষক নিউজ লেটারের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আইসিটি শিল্প ডিজিটাল অর্থনীতি হাব সরকার
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।