নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০১৮
এই বাংলাদেশকে গড়েছেন যিনি, যার বজ্রকণ্ঠ আজও আমাদের হৃদয়ে ধ্বনিত হয়, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাকে আমরা যুগ যুগ ধরে বুকে ধারণ করি, যার অনন্ত চেষ্টা আর ভালোবাসায় আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম কতটুকু জানি। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর ঐতিহাসিক জীবনকে আমাদের সামনে তুলে ধরতে এসেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ।
অ্যাপে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তৃতা বিশ্লেষণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে যুগান্তকারী ভাষণগুলোর একটি। বাঙালির মুক্তির পথ তৈরিতে নির্মাণে অনন্য-দূরদর্শী ভাষণ এটি। এই ভাষণের অডিও ও রঙিন ভিভিও সংস্করণ মিলবে ‘৭ মার্চের বক্তৃতা বিশ্লেষণ’ অ্যাপে। অ্যাপটিতে ৭ মার্চের ভাষণকে ১২ ভাষায় অনুদিত করে প্রকাশিত ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ বইটির ই-বুকও পড়া যাবে । এছাড়া এতে জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে নির্বাচিত ২৬টি বাক্য নিয়ে তা বিশ্লেষণ পড়া যাকে।এসব বাক্য বিশ্লষণ করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুস্তফা নুরউল ইসলাম, খ্যাতিমান লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরী, প্রফেসর এমিরিটাস আনিসুজ্জামান, প্রফেসর মুনতাসির মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ডা. এস এ মালেক, সেলিনা হোসেন সহ মোট ২৬ জন প্রতিথযশা লেখক-চিন্তাবিদ।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mcc.bangabandhuspeech
অ্যাপে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী
২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তার কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী। যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। পরবর্তীতে এই লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশিত হয়। আপনার কাছে প্রিন্ট বইটা না থাকলেও অসুবিধা নেই। হাতে স্মার্টফোন থাকলেই কয়েক সেকেন্ডেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ইউটিউবে রয়েছে নানা ভিডিও। এছাড়া মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া পাতায় রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.melopixels.bangobondu
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড-জন্ম-মৃত্যু পর্যন্ত ইতিহাস
এটি একটি জনপ্রিয় অ্যাপ। এতে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মজীবন এবং মৃত্যু পর্যন্ত বিষয়ের উল্লেখ আছে। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন অংশে বিষয়গুলোর উল্লেখ আছে। বিষয়গুলো হলো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড, শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড: রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী ছিল?, ১৫ই আগস্ট যারা নিহত হয়েছিলেন, শেখ মুজিব সপরিবারে হত্যঅর পর ৩২ নং রোডের বাড়ীর ভেতরের দৃশ্য কেমন ছিল, যেভাবে দাফন করা হয় বঙ্গবন্ধুকে, বঙ্গবন্ধুর দাফন, জানাজা ও কবর: কেন তাঁর জানাজায় মাত্র ৩৫ জন উপস্থিত ছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী রাজনীতি, ইতিহাসের নৃশংসতম বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ঘাতক চক্রের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনির ফাঁসি, বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনি কোথায়, যেভাবে পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জেনেছিলেন শেখ হাসিনা- এসবের উল্লেখ আছে এই অ্যাপটিতে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mjmtapps.jatio_shokdibos
কারাগারের রোজনামচা
কারাগারের রোজনামচা শেখ মুজিবুর রহমানের রচিত একটি গ্রন্থ সংকলন। গ্রন্থটির নামকরণ করেন শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানা। শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্ম বার্ষিকীতে ২০১৭ সালে গ্রন্থটি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ঘটনাবহুল জেল-জীবনচিত্র এ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জেল-জীবন, জেল-যন্ত্রণা, কয়েদীদের অজানা কথা, অপরাধীদের কথা, কেন তারা এই অপরাধ জগতে পা দিয়েছিলো, তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দুঃখ-দুর্দশা, গণমাধ্যমের অবস্থা, শাসক গোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতন, ৬ দফার আবেগকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, বিশ্বাস ঘাতকতা, প্রকৃতি প্রেম, পিতৃ-মাতৃ ভক্তি, কারাগারে পাগলদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না মোট সাতটি ভাগে এই বই সাতটি ভাগে তুলে ধরা হয়েছে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.mpanacea.provonjon.karagarerrojnamcha
বঙ্গবন্ধু বায়োগ্রাফি
এটা পুরোপুরি ইংরেজিতে একটি অ্যাপ। এখানে মোট ১১টি অংশে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে সূচনা, ব্যক্তিজীবন, শিক্ষাজীবন, রাজনীতির আগের জীবন, তাঁর আগের বিভিন্ন পদক্ষেপ, স্বাধীনতা যুদ্ধ, যুদ্ধের পরে দেশে প্রত্যাবর্তণ এবং দেশ পুনর্গঠন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু, তাঁর বিভিন্ন ভাষণ এবং বক্তব্য আর ছবি দিয়ে অ্যাপটি সাজানো হয়েছে।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.softworks.bangabandhu.biography
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।