নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই একটি অংশ। কিন্তু মূলত আমরা যে কারণে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করি সেটা হলো সবার সঙ্গে, পুরো দুনিয়ার সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত রাখা। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সামাজিক মাধ্যমেই মিথ্যা তথ্য, ভুয়া ও মিথ্যা খবর প্রকাশ করে গুজব তৈরি হয়, যা এখন সারাবিশ্বেই বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর ঠিক এই সমস্যাগুলোর হাত থেকে নিরাপত্তার জন্য একটি প্লাটফরম নিয়ে এসেছে চীন। প্লাটফর্মটির মধ্যে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের তৈরি প্রতিবেদন যেমন ‘অনলাইনের গুজব’ এবং মিথ্যা রিপোর্টগুলো খুঁজে বের করবে। পরে সেই কনটেন্টগুলো একদম নীচের দিকে পাঠিয়ে দেবে।
গত বুধবার চীনে এর যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন সংবাদ বা তথ্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়ানো গুজবের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এই মাধ্যমগুলোতে যারা রাজনীতি, দেশের আরোপিত বিভিন্ন বিষয়ের সেন্সরশিপ নিয়ে কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ছাড়াও ‘পিয়ো’ নামের ওই প্লাটফফর্মের জন্য রয়েছে মোবাইল অ্যাপ, সামাজিক মাধ্যম উইবো এবং উইচ্যাট অ্যাকাউন্ট। এগুলোর মাধ্যমে লগইন করা যাবে।
গুজব প্রতিরোধে পিয়ো একেবারে ‘সত্য ও প্রকৃত’ খবর প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এজন্য বিভিন্ন রাজ্যে থাকা সংবাদপত্র, সম্প্রচার মাধ্যম, দলীয় ও সরকারি সংবাদ সংস্থা থেকে সেসব সংবাদ সংগ্রহ করে প্রচার ও প্রকাশ করবে।
গুজব ব্যক্তির অধিকার হরণ করে, গুজব সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করে। এই গুজবের কারণে শেয়ারবাজার ওঠানামা করে, ব্যবসাতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, গুজব বিপ্লবী শহীদদের নিয়েও অপমানজনক কথা ছড়ানো হয় বলে একটি প্রোমো ভিডিওতে দেখিয়েছে পিয়ো ওয়েবসাইট।
অফিসিয়াল তথ্য দেখাচ্ছে, দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান গত বছর অন্তত ৬৭ লাখ ভুয়া ও মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হয়েছিল। আর এর বেশিরভাগই করা হয়েছে উইবো, টেনসেন্ট, উইচ্যাট, বাইদু এবং আলীবাবার মাধ্যমে। চীনের আইনানুযায়ী গুজব ছড়ানোর কাজে কেউ জড়িত থাকলে তার ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকি এসব গুজব কেউ যদি বেশি শেয়ার করলে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। কিছুদিন আগে বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এমন এআই নির্ভর পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। হয়তো ভবিষ্যতে পুরো বিশ্বেই এই প্লাটফর্মের সুবিধা দেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।