নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০১৭
ভবিষ্যতে প্রযুক্তিগত সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টেকনোলজি জায়ান্ট হুয়াওয়ে। শহরে টেকসই, নিরাপদ এবং উপযুক্ত শক্তির ব্যবহারযোগ্য স্মার্ট ভবন নির্মাণে ‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)’ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে হানিওয়েল ও হুয়াওয়ে।
বিশ্বব্যাপী শহুরে অবকাঠামোগত ভবন নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশাল পরিসরে স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। কমে যাবে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত খরচাদি, ফলে বাসস্থান হয়ে উঠবে অনেক বেশি বসবাসযোগ্য। এশিয়ার মতো ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে স্মার্ট সিটি নির্মাণে অভিনব প্রযুক্তি নিয়ে মূলত কাজ করবে হানিওয়েল। উল্লেখ্য, এ অঞ্চলে দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে শহর এলাকা।
সম্প্রতি চীনের সেনঝেনে ‘লঙ্গেং স্মার্ট সিটি’ নামের একটি প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করছে হানিওয়েল ও হুয়াওয়ে। উক্ত প্রকল্পে বিল্ডিং অটোমেশন সিস্টেম, নিরাপত্তা এবং আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা সরবরাহ ও পরিচালনা করছে হানিওয়েল। এছাড়া কানেক্টেড বিল্ডিং সল্যুশন, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট ড্যাশবোর্ড, অ্যালার্ম সিস্টেম, ওয়ার্ক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট এবং কুইক রেসপন্স ও প্রিভেন্টিভ মেইন্টেন্যান্স সিস্টেম সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রকল্পটিতে আইসিটি অবকাঠামো যেমন- ডাটা সেন্টার, সিকিউরিটি প্রটেকশন অ্যান্ড মনিটরিং, আইওটি গেটওয়ে এবং ক্লাউড সেবা দিচ্ছে হুয়াওয়ে।
এছাড়া, কানেক্টেড গাড়ি রূপান্তর, গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে সহায়তা করার লক্ষ্যে ইতালির মেটাসিস্টেম-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়েছে হুয়াওয়ে। মেটাসিস্টেম-এর কানেক্টেড কার ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশন প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে ওশেনকানেক্টেড আইওটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে ইউবিআই সল্যুশন দেবে হুয়াওয়ে।
হাইব্রিড ক্লাউড ব্যাকআপ সল্যুশন প্রদানের লক্ষ্যে কমভল্ট-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়েছে হুয়াওয়ে। কমভল্ট সফটওয়্যারের ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা নিশ্চিৎকরণসহ হুয়াওয়ে পাবলিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবে।
ডাটা ব্যাকআপ বা তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখিত সল্যুশন ব্যাপক হারে গ্রাহকের খরচ কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদা অনুযায়ী অন-ডিমান্ড স্টোরেজ সুবিধা পাবেন যাতে প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতে কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি না হয়। অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্লাউড প্ল্যাটফর্মটিতে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সহজেই পরিকল্পনা এবং বিনামূল্যে পরিচালনা সেবা পাওয়ার সুযোগ পাবে এন্টারপ্রাইজগুলো। সল্যুশনটি এনক্রিপ্টেড ট্রান্সমিশন এবং স্ট্যাটিক ডাটা এনক্রিপশন সমর্থন করে, ফলে এন্টারপ্রাইজগুলো সর্বোচ্চ নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।