নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৯
নিত্য নতুন প্রযুক্তিপণ্যের আধুনিক বিশ্বে প্রতিনিয়তই আসছে অত্যাশ্চর্য সব পণ্য সামগ্রী। কিন্তু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এখনও সেই চিরচেনা টেলিভিশনই রয়ে গেছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে স্মার্ট জীবনযাপনের অংশ হিসেবে টিভি দিনকে দিন হয়ে উঠছে আরও স্মার্ট এবং আধুনিক।
এলজি’র ওলেড টিভির বৈশিষ্ট্য কী?
ওলেড এর পুরো মানে দাড়ায় ‘অরগানিক লাইট ইমিটিং ডায়োড’। সাধারণ মানের টিভির মতো এলজি ওলেড টিভিতে কোন এলইডি ব্যাক লাইট ব্যাবহার করা হয় না। যার ফলে অন্যান্য টিভি অপেক্ষা ওলেড পারফেক্ট ব্ল্যাক এবং পারফেক্ট কালার তৈরি করতে পারে, যা অন্য কোনো টিভি পারে না।
এলজি’র টিভি প্রোডাক্ট ম্যানেজার আশিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এলজি ওলেড টিভি নিয়ে কাজ করছে। বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলো ওলেড টিভি নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে ২০১৭ থেকে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে যে, বেস্ট পিকচার কোয়ালিটির জন্য ওলেডের কোনো বিকল্প নেই। ওলেড টিভি নিয়ে কাজ শুরুর ক্ষেত্রে এলজি যেমন সবার প্রথম, তেমনি মানের দিক থেকেও এলজি’র ওলেড টিভিই সেরা।
আশিকুল ইসলাম আরও জানান, ওলেড টিভির যে প্যানেলটা সেটা এলজি’র প্রযুক্তি। বর্তমানে নামকরা অনেক ব্র্যান্ডই ওলেড টিভি তৈরি করছে। কিন্তু তারা প্যানেলটি নিচ্ছে এলজি থেকে। এজন্য দেখা যায় যে, এলজি’র প্যানেলের সঙ্গে তাদের টিভির কোয়ালিটি সেভাবে ম্যাচ করে না। এ কারণে ওলেড টিভি’র ক্ষেত্রে এলজি’ই বেস্ট।
বাজারে বেশিরভাগ ব্র্যান্ড পুরনো ব্যাকলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এই ব্যাকলাইট প্রযুক্তিতে কখনই নিখুঁত কালো রঙ পাওয়া যায় না। ফলে নিখুঁত ছবিও দেখা যায় না। এসব এলইডি টিভির ব্যাকলাইটটি কখনো বন্ধ হয় না। ফলে পারফেক্ট ব্ল্যাক এরা তৈরি করতে পারে না। কেবলমাত্র এলজি ওলেড ব্যাকলাইট ফ্রি এবং সেলফ লাইটিং পিক্সেলস প্রযুক্তিতে নিখুঁত কালো এবং নিখুঁত রঙের সাথে সেরা মানের ছবি দেয়। এছাড়াও এলজি ওলেড টিভি’তে আছে থিংককিউ এআই, যা ইন্টারনেট ছাড়া আপনার ভয়েস কমান্ড অনুযায়ী কাজ করবে।
আশিকুল ইসলাম জানালেন, এলজি ওলেডে রয়েছে ৪ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি। সবকিছু মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, টিভি’র ক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে এলজি’র শ্রেষ্ঠত্ব। এজন্য গত ৫ বছর ধরে এলজি হচ্ছে বাজারের সেরা ওলেড ব্র্যান্ড।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।