নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট চালু করলেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জোয়ান ওয়াগনার। বৃহস্পতিবার ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জানা যায়, এটি দূতাবাসের ইংরেজি ওয়েবসাইটটির অনেকটাই অনুরূপ। বাংলা ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব বাংলা ভাষাভাষীর জন্য নানা ধরনের বিষয়বস্তু পরিবেশন করবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা জানায়, ওয়েবসাইটটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ক্রমপ্রসারমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, ভ্রমণ ভিসা, সংস্ককৃতিগত, শিক্ষাগত ও পেশাগত এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিসহ অনেক কিছু সম্পর্কে তথ্য জোগাবে।
দূতাবাসকে বাংলাদেশিদের সঙ্গে আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে সহায়তা করবে এই ওয়েবসাইট, জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলা ও ইংরেজি উভয় ওয়েবসাইটই নিয়মিত আপডেট করা হবে যাতে দুই ভাষার মানুষের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ভিসা এবং শিক্ষাগত ও পেশাগত এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিসহ অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া নিশ্চিত হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, মিডিয়া নোট, প্রেস বিবৃতি, সংবাদবিষয়ক অনুষ্ঠান, নিরাপত্তা ও জরুরি বার্তা, বক্তৃতা, মিডিয়া সাক্ষাৎকার এবং অন্যান্য বার্তা ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষায়ই পোস্ট করা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
বাংলা ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিডিএ ওয়াগনার বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলাদেশে এবং বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই জাতিসংঘকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রবর্তনে উৎসাহিত করে। অতীতে সংঘটিত এই ঐতিহাসিক বাংলা ভাষা আন্দোলনকে শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এর নতুন বাংলা ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা আমার জন্য সম্মান এবং আনন্দের।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাংলা ঢাকার ওয়েবসাইটটি দেখতে www.bd.usembassy.gov/bn এবং ইংরেজি ওয়েবসাইটটি দেখতে www.bd.usembassy.gov ঠিকানায় ঘুরে আসতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।