টেক ইনসাইড

প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়া যাবে দেড় ঘন্টায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

আকাশ ভ্রমণে মানুষের স্বপ্ন দিনকে দিন যেনো বড়ই হচ্ছে। মানুষ যেখানে ভ্রমণ করতে মহাকাশে পাড়ি জমাচ্ছে সেখানে সাধারণ বিমান সেবায় যদি দ্রুত গতি না আসে তবে সেটি সত্যিই বেমানান। একসময় যাত্রীবাহী বিমান পরিসেবার সবচেয়ে বড় নাম ছিলো কনকর্ড, ব্রিটেইন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ফ্ল্যাগ শিপ দ্রুত গতির উড়োজাহাজে চড়ে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পাড়ি দিতে সময় লাগতো তিন ঘণ্টা। কিন্তু এয়ারলাইনসগুলো তাতে সন্তুষ্ট নয়। তারা চাইছে হাইপারসনিক গতির উড়োজাহাজ। এ ধরনের একটি উড়োজাহাজে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পাড়ি দিতে দেড় ঘণ্টা লাগতে পারে। এই দুই শহরের দূরত্ব ৩ হাজার ৪৭০ মাইল। 

হাইপারসনিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে উড়োজাহাজের গতি দাঁড়ায় ম্যাক ৫। লন্ডন নিউইয়র্ক এর এই পথ পাড়ি দিতে সেখানে সাধারণ যাত্রীবাহী জেট বিমানে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হাইপারসনিক এই উড়োজাহাজ কি তৈরি করা করা যাবে এবং তাতে ভ্রমণ করা কি সম্ভব?

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাভিত্তিক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বা স্টার্টআপ হার্মিউসের লক্ষ্য হচ্ছে হাইপারসনিক উড়োজাহাজ তৈরি করা। তারা মনে করছে, শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে, এমন উড়োজাহাজ তৈরি করা সম্ভব। তারা নতুন ধরনের ইঞ্জিন নিয়ে ইতিমধ্যে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে। এই ইঞ্জিনের ম্যাক ৫ (ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি) পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এই ইঞ্জিনের নকশা করা হয়েছে ছোট ও মনুষ্যবিহীন উড়োজাহাজের জন্য।

হার্মিউস বর্তমানে মার্কিন বিমানবাহিনীর জন্য এ ধরনের ইঞ্জিন তৈরির কাজ করছে। তাদের দাবি, ইঞ্জিনের আকার বড় করা হলেই তা যাত্রীবাহী বিমান চালাতে সক্ষম হবে।

সিএনএন বলছে, এ ধরনের হাইপারসনিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের নাগাল পেতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে হার্মিউস আশা করছে, এই দশক শেষ হওয়ার আগেই তারা হাইপারসনিক উড়োজাহাজের পরীক্ষা শুরু করতে পারবে। তার জন্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে প্রযুক্তি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। হার্মিউস বাণিজ্যিকভাবে উড়োজাহাজ তৈরির পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছে।

শুরুতে বর্তমান এয়ারলাইনসগুলোকে ব্যবহৃত উড়োজাহাজের চেয়ে অনেক ছোট হবে হার্মিউসের উড়োজাহাজ। এমনকি তা ১০০ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম কনকর্ডের চেয়ে আকারে ছোট হবে। হার্মিউসের প্রধান নির্বাহী এ জে পিপলিকা বলেন, ‘উড়োজাহাজের আকার নির্ধারণ করার জন্য আমরা মূলত একটি বিমান সংস্থার জন্য ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করেছি। আমরা ব্যবসায়ী শ্রেণি এবং প্রথম শ্রেণির ভ্রমণকারীদের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এরপর আমরা গতি ও পরিচালনা ব্যয়ের বিষয়গুলোর মতো কিছু পরিমিতি নির্ধারণ করেছি। তা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি, এমন একটি উড়োজাহাজ প্রয়োজন, যাতে ২০ যাত্রীর একটি কেবিন থাকে।’

অর্থাৎ একটি উড়োজাহাজে কেবল একটি শ্রেণি থাকবে। পিপলিকা বলেন, ‘আমরা আশা করি, এটি আজকের ব্যবসায়িক শ্রেণির দামে লাভজনক হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পাঁচ গুণ দ্রুতগতিতে ওড়ার জন্য মানুষ কত টাকা দিতে প্রস্তুত হবে, তার হিসাব করা কঠিন।’

সিএনএন বলছে, প্লেনের পরিসীমা হবে প্রায় চার হাজার নটিক্যাল মাইল। এটি নিউইয়র্ক থেকে প্যারিসের মতো ট্রান্স অ্যাটলান্টিক পথের জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে টোকিওর মতো ট্রান্স প্যাসিফিক পথের জন্য এটি যথেষ্ট নয়। এ পথে বিরতির প্রয়োজন পড়বে।

যাত্রীবাহী ম্যাক ৫ উড়োজাহাজের গতি কেমন হবে, তা বুঝতে উড়োজাহাজের গতির রেকর্ডের দিকে নজর দেওয়া যায়। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতগতির উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের গতি উঠেছিল ম্যাক ৯ দশমিক ৬ (ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার ৮০০ মাইল)। নাসার এক্স-৪৩এ নামের একটি মনুষ্যহীন উড়োজাহাজে ওই গতি ওঠে। এ উড়োজাহাজের দৈর্ঘ্য ছিল ১২ ফুট।

তবে ওই ফ্লাইটের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। তবে ম্যাক ৫ গতি সবচেয়ে বেশিক্ষণ ধরে রেখেছিল বোয়িং এক্স-৫১ নামের একটি মনুষ্যবিহীন পরীক্ষামূলক উড়োজাহাজ। ২০১৩ সালে ওই উড়োজাহাজটি ম্যাক ৫ দশমিক ১ (ঘণ্টায় প্রায় ৩ হাজার ৪০০ মাইল) গতিতে তিন মিনিট উড়েছিল। দুটি উড়োজাহাজকেই বি-৫২ বোম্বার নামের একটি উড়োজাহাজ থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে ছাড়া হয়েছিল।

যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে গতির রেকর্ড হচ্ছে ম্যাক ৬ দশমিক ৭ (ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫২০ মাইল)। এক্স-১৫ নামের একটি উড়োজাহাজ এই গতি তুলতে সক্ষম হয়। এটি ছিল মূলত একট রকেট, যার সঙ্গে আসন বসানো ছিল। রকেট ছাড়া জেট ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে গতির রেকর্ড সর্বোচ্চ ম্যাক ৩ দশমিক ৩, যা ১৯৭৬ সালে একটি সামরিক গোয়েন্দা বিমান এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড তুলতে সক্ষম হয়েছিল।

কনকর্ডের ক্ষেত্রে দুটি যাত্রীবাহী সুপারসনিক উড়োজাহাজের একটি বাণিজ্যিকভাবে ওড়ার সময় ম্যাক ২ দশমিক ০৪ (ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৫০ মাইল) গতি তুলতে সক্ষম হয়।

হার্মিউসের প্রস্তাবিত উড়োজাহাজ প্রকল্প সফল হলে তা কনকর্ডের গতি সহজেই পেরিয়ে যাবে। এটি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম হবে।

তাই হার্মিউসের নির্মাতারা এখন ইঞ্জিনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। নতুন ধরনের ইঞ্জিন নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে। জেনারেল ইলেকট্রিকের তৈরি ফাইটার উড়োজাহাজের মডেলের ওপর ভিত্তি করে এ ইঞ্জিন তৈরির কাজ চলছে। এটি হবে প্রচলিত দুই ধরনের প্রযুক্তির হাইব্রিড মডেল। একটি হচ্ছে প্রচলিত এয়ারলাইনসগুলোর ব্যবহৃত টার্বোজেট ও সুপারসনিক গতির জন্য ব্যবহৃত র‌্যামজেট প্রযুক্তি। শুরুতে মার্কিন বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ছয় কোটি মার্কিন ডলারের হাইপারসনিক ড্রোন কোয়ার্টারহাউসে এটি ব্যবহৃত হবে।



মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু হলেও তা ধীরগতির। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটক এখনো বন্ধ আছে। মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়েও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মোবাইলের ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে বৈঠক করবেন। রোববার ও সোমবারের মধ্যে ফোর–জি চালুর চেষ্টা চলবে বলেও জানান তিনি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতের মধ্যে ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালুর ঘোষণা দেয় সরকার। তবে এ সংযোগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইন্টারনেটও অনেক ধীরগতির।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ইউটিউবসহ গুগলের সেবার ক্যাশ সার্ভারগুলো যেন আরও সক্রিয় করা হয়। পাশাপাশি ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার যেন বন্ধ রাখা হয়।


মোবাইল   ইন্টারনেট   সিদ্ধান্ত  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

ইন্টারনেট শাটডাউনে আইসিটি, ই-কমার্স ও ওটিটি প্লাটফর্মে স্থবিরতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভ ও সংঘাতের এক পর্যায়ে সরকার পুরোপুরি ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।

প্রথমে বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটের গতি ধীর করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার পর থেকে সারা দেশে একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট।

এর ফলে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যেসব ব্যবসা রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাদের কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা দেয়া হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর্থিকভাবে আপাতত এ কয়েক দিনের ক্ষতির হিসাব করা গেলেও দীর্ঘস্থায়ী যে ক্ষতি হতে যাচ্ছে সেটির প্রভাব মারাত্মক। কারণ বিদেশি ক্লায়েন্টরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পেলে অর্ডার বাতিল করে দেবে। একইসাথে নেতিবাচক রিভিউ দেবে যার কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সারের পরবর্তীতে নতুন ক্লায়েন্টের কাজ পেতে অসুবিধা হবে।

১. আইসিটিতে ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা: টানা পাঁচ দিন দেশজুড়ে ইন্টারনেট না থাকায় আইটি-আইসিটি খাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ক্ষতির ভয়াবহতা তুলে ধরে আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি বলছে, এতে চাকরি হারাতে পারে প্রায় ৩০ শতাংশ জনবল। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি। সময় বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন নেতারা এবং দেশের আইসিটি খাতের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

২. ই-কমার্সে ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা: অনলাইন ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ইকুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব ঘোষ রাহুল বুধবার বলেন, ‘আন্দোলনের এ কয়দিন আমাদের পরিসেবা বন্ধ ছিল। এখনো প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট নেই। ডিপ্লোম্যাটিক জোনসহ বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট আছে সেখানেও ইন্টারেনেটের গতি ধীর। আমার ধারণা, ই-কমার্সে গতি বা মোমেন্টাম আসতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন লাগবে।

এফ-কমার্স ডাউন, কেননা ফেসবুক তো পুরোপুরি নেই। ই-কমার্সের পাশাপাশি এফ-কমার্সেও স্থবিরতা আছে। বেশিরভাগ অর্ডার আসে ফেসবুক থেকে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। পেন্ডিং পার্সেলগুলো পাঠানো শুরু করেছি। ই-কমারর্সে প্রতিদিন ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। সে হিসাবে গত পাঁচদিনে আমাদের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

৩. ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ক্ষতি  কয়েক কোটি টাকা: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেশের বিনোদনে নতুন সংযোজন। প্রতিনিয়ত এর প্রসার ঘটেছে। এতে নানা ধরনের কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ পান দেশ-বিদেশের গ্রাহকেরা। ওটিটি পুরোপুরি নির্ভরশীল ইন্টারনেটের ওপর। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে টানা পাঁচ দিন দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এতে ক্ষতি হয় দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। গত মঙ্গলবার রাতে স্বল্প পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও ওটিটি মাধ্যমগুলোর কার্যক্রম চালু সম্ভব হয়নি।

ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি প্রতিষ্ঠার তিন বছর পেরিয়ে চারে পড়েছে। প্রতিবছর ১২টি করে ছবি মুক্তি দিয়েছে। এসেছে নতুন নতুন সিরিজও। প্রতিনিয়ত নতুন সাবস্ক্রাইবার তৈরি হয়েছে চরকির। ইন্টারনেট সেবা না থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি সাবস্ক্রাইবার কমার আশঙ্কা করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বললেন, ‘আমাদের ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। আমাদের প্রতিষ্ঠান চরকি প্রতি মাসে একটা বড় কনটেন্ট রিলিজ করে, হোক তা সিনেমা কিংবা সিরিজ। এই সময়ের মধ্যেও আমাদের একটা সিনেমা মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে তা পারিনি। সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে, ৫ থেকে ৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে, যেটা পুষিয়ে আনা কষ্টসাধ্য। সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।’

বঙ্গ থেকে জানানো হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার সেবাও দিয়ে থাকে। ইউটিউব আর ফেসবুক মিলিয়ে দুই শতাধিক পেজ ও চ্যানেলকেও সেবা দিয়ে থাকে বঙ্গ। ইন্টারনেট বন্ধ মানে তাদের সব ধরনের সেবা বন্ধ আছে। পুরোদমে ইন্টারনেট চালু না হলে তাদের কার্যক্রমও পুরোদমে চালু সম্ভব না। বঙ্গের কনটেন্ট সম্পর্কে মানুষকে জানানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট চালু না থাকলে এসব চলবে না। ওটিটি এবং ইন্টারনেটভিত্তিক অন্যান্য সব সেবা কার্যক্রম থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন ৪০-৫০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছে। 


ইন্টারনেট   শাটডাউন   আইসিটি   ই-কমার্স   ওটিটি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ফাইল

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

নতুন সব ফিচারের শীর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতি মাসেই নিয়ে আসে নতুন কিছু। এবারও নিয়ে এলো এক নতুন ফিচারের খবর! এবার ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে!

ওয়েবেটাইনফোর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফাইল শেয়ারের পদ্ধতি হবে আলাদা। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ‘নিয়ারবাই শেয়ারিং’ অপশন থাকবে। আইফোন এয়ারড্রপের মতোই এর সাহায্যে বড় ফাইল শেয়ার করা যাবে ইন্টারনেট ছাড়াই।  

তবে আইওএস ইউজারদের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ আলাদা নিয়ম চালু করছে। এক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফাইল শেয়ার করা যাবে। তবে দুই ধরণ নিয়েই এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। 

হোয়াটসঅ্যাপ বলছে,  হাই কোয়ালিটি ফটো, ভিডিও বা ডকুমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়। অনেক এলাকাতেই ইন্টারনেট সংযোগ খুব দুর্বল থাকে। সে ক্ষেত্রে এই ফিচার দারুণ উপকারি হবে।

এর আগে নিজ নিজ ভাষায় মেসেজ অনুবাদ করে দেওয়ার ফিচারের ঘোষণা দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচার কাজে লাগিয়ে যে কোন ভাষায় লেখা মেসেজকে নিজের পছন্দমতো ভাষায় পড়তে পারবেন ইউজাররা। অপশনটি অন করে দিলেই সব মেসেজই স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুবাদ করে দেবে এই ফিচার। 


হোয়াটসঅ্যাপ   ইন্টারনেট   ফাইল  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি সেবা বন্ধ

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ১৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের ফোর-জি সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু আছে। মোবাইল ইন্টারনেটের টু-জি সেবা চালু আছে। সংশ্লিষ্ট অপারেটর সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কথা জানা গেছে।

মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবহারকারীরা। প্রবেশ করা যাচ্ছে না ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে।

বিষয়ে জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। ফেসবুক মেসেঞ্জারেও প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে। কেউ আবার প্রবেশ করতে পারলেও ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা বা ছবি পোস্ট করতে পারছেন না। এমনকি অন্যদের পোস্টে ক্লিক করে বার্তা বা ছবি দেখতে পারছেন না তাঁরা। শুধু তা- নয়, ফেসবুকের হালনাগাদ পোস্ট খুঁজে পেতেও সমস্যা হচ্ছে অনেকের।


মোবাইল   ইন্টারনেট   ফোর   জি   সেবা   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

হৃদ্‌রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার হচ্ছে অ্যাপলের স্মার্ট ওয়াচ

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমান সময়ে নানা প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষ এখন সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। শিক্ষা, বিনোদন, সংস্কৃতি, আরামদায়ক জীবনের নানা খুঁটিনাটির সন্ধান থেকে শুরু করে এহেন বিষয় নেই যেখানে প্রযুক্তির ছোঁয়া নেই। সময় দেখার পাশাপাশি শখের বশে অনেকেই ‘অ্যাপল ওয়াচ’ স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করেন। আর এবারে অ্যাপলের তৈরি এই স্মার্ট ঘড়ি সময় দেখার পাশাপাশি হৃদ্‌রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাকাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এই ওয়াচ ব্যবহারকারীদের হৃৎস্পন্দনের তথ্যসহ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন তথ্য জানাতে পারায় চিকিৎসকেরাও এখন দূরে বাস করছেন এমন রোগীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার ক্ষেত্রেও অ্যাপল ওয়াচকে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন মেডিসিনের কার্ডিওলজিস্ট ও মেডিসিনের অধ্যাপক রড পাসম্যান জানিয়েছেন, অ্যাপল ওয়াচ স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি ব্যবহারকারীর হৃৎপিণ্ডের গতি পর্যবেক্ষণসহ অস্ত্রোপচারের পর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন তথ্যও জানতে সহায়তা করে। ফলে রোগীর দীর্ঘ মেয়াদের তথ্য জানার পাশাপাশি দূর থেকে হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অনেকে অ্যাপল ওয়াচ শুধু রোগনির্ণয়ের জন্যই নয়, অস্বাভাবিক শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে জানতেও ব্যবহার করছেন।

এ প্রসঙ্গে চিকিৎসার মানদণ্ডে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে রড পাসম্যান বলেন, ‘অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যায় না। তবে পরীক্ষার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করার জন্য এটি সহায়ক যন্ত্র হতে পারে। আমরা যেকোনো চিকিৎসা শুরু করার আগে সব সময় মেডিকেল গ্রেড নিশ্চিতকরণের বিষয়টি জানতে চাই। অ্যাপল ওয়াচ অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন শনাক্তের জন্য একটি চমৎকার ও সঠিক যন্ত্র। অ্যাপল ওয়াচ রিয়েল-টাইম মনিটরিং ও ডেটা সংগ্রহকে সহজ করার পাশাপাশি রোগীর সচেতনতাও বাড়িয়ে থাকে।’

এর আগে গত বছর অ্যাপল প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপল ওয়াচ-৯ বাজারে আনে। হালনাগাদ সংস্করণের স্মার্ট ঘড়িটিতে ব্যবহারকারীদের শারীরিক তথ্য জানার জন্য বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে। ফলে ঘড়িটি ব্যবহারকারীদের হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ বা নিম্ন হৃৎস্পন্দন ও অনিয়মিতভাবে ছন্দপতন (অ্যারিথমিয়াস) হচ্ছে কিনা সেটি শনাক্তেও ভূমিকা রাখে। আর এসব তথ্য নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারেন ব্যবহারকারীরা। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানার পাশাপাশি সেগুলোর রেকর্ড সংগ্রহও করে রাখা সম্ভব এই ওয়াচের মাধ্যমে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে


অ্যাপল   ঘড়ি   স্মার্ট ওয়াচ   হৃদরোগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন