ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোথায় কিভাবে উদযাপন করা হয় বড়দিন

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail কোথায় কিভাবে উদযাপন করা হয় বড়দিন

ডিসেম্বর মাস মানেই খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের জন্য আনন্দের দিন। মুসলিমদের যেমন বছর ঘুরে আসে ঈদ, ঠিক তেমনি খ্রিস্টানদের জন্য ২৫ ডিসেম্বর মানে ঈদ। ঈদ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা বড়দিন খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠান এমনটা নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। প্রতিটা উৎসবেই সকল ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে উদযাপন করে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্নভাবে উদযাপন করে।
 
আমাদের দেশে বড়দিন 

আমাদের দেশে প্রথম বড়দিন পালন করা সেটা অনেক বছর আগের কথা, সেটা বলা যায় ১৬৬৭ সাল। আমাদের দেশে খ্রিস্টানদের সংখ্যা শতাংশে  হিসেব করলে দেখা যায়  ০.০৪% । কিন্তু সংখ্যায় কম হলেও সকলেই মেতে উঠে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনে। বিভিন্ন আলোকসজ্জায় সেজে উঠে বড় বড় হোটেল গুলো এবং এর পাশাপাশি ব্যবস্থা করা থাকে বিশেষ আয়োজনের।  সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। এসব কিছুর মাঝে একটা বাঙালিয়ানার ছাপ থেকে যায় । কারণ অন্যান্য দেশে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয় পাইন গাছ দিয়ে কিন্তু আমাদের দেশে ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে ব্যাবহার করা হয় ঝাউ গাছ। আবার ক্রিসমাসের কেকে পাশাপাশি থাকে বাঙালিয়ানা খাবার, পিঠা-পুলি। তার মধ্যে থাকে ভাটিয়ালী গান, কীর্তন, এমনকি রবীন্দ্রসঙ্গীতও গাওয়া হয়।

ভারতে বড়দিন 

ভারতেও খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের মানুষ কম। সেখানে বলা যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ বেশি , তবে মুসলিমও আছে । এখানে বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের মানুষ একসাথে থাকা সত্বেও কিন্তু খুব ঘটা করেই পালন করা হয় , অনেকটাই আমাদের মত। কিন্তু একটা পার্থক্য হলো ভারতে ক্রিসমাস ট্রি আমাদের মত ঝাউ গাছ দিয়ে সাজায় না, ভারতে ক্রিসমাস ট্রি সাজায় আম বা কলা গাছ দিয়ে । আবার দক্ষিণ ভারতে, তামিলনাড়ু কেরালা- কর্ণাটক- অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষেরা ঘরের ছাদে ছোট ছোট মাটির প্রদীপ জ্বালায়। তবে শহুরে খ্রিস্টানরা আবার পশ্চিমাদের মতোই, মানে ইউরোপ-আমেরিকানদের মতোই বড়দিন উদযাপন করে।

নাইজেরিয়ার বড়দিন

নাইজেরিয়ায় বড়দিন উদযাপন করা হয় অনেকটা আমাদের দেশের ঈদ উদযাপন করার মত করে। বড়দিনের ছুটি পেলেই শহর ছেড়ে মানুষগুলো গ্রামের দিকে ছুটতে থাকে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় শহর। আর লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে কেনাকাটার দোকানগুলোতে। মজার ব্যাপার যেটা সেটা হলো ওরা বড়দিনে কেক বানানোতে প্রাধান্য দেয় কম। ওরা রান্না করে নানা প্রকারের মাংস, সুস্বাদু সব মাংস।
আর এই মাংসের তরকারিগুলোর আবার গালভরা সব নামও আছে-- জুলোফ রাইস, টুয়ো, ফুফু। সঙ্গে থাকে নানা রকমের পানীয়।

ইতালিতে বড়দিন

ইতালিতে বড়দিন উদযাপন করা শুরু হয় সেই ৮ ডিসেম্বর থেকে। সেদিনই ওখানকার সবাই ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করে। সঙ্গে সঙ্গে তারা যিশুর জন্মের সময়ের ছবি ফুটিয়ে তুলতে মা মেরি, জোসেফ, যিশু, একটি গাধা ও একটি হাঁসও তৈরি করে; এই মূর্তিগুলোকে বলে প্রিসেপে। 
ইতালিতে বড়দিনের উৎসব শুরু হয় ৮ ডিসেম্বর এবং শেষ হয় ৬ জানুয়ারি। সেদিন ওরা সব প্রিসেপে আর ক্রিসমাস ট্রি তুলে ফেলে। এরমধ্যে ওরা ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের পাশাপাশি ২৬ ডিসেম্বর সেইন্ট স্টিফেন’স ডে’ও পালন করে। এছাড়াও ইতালির উত্তরাংশে, বিশেষত সিসিলিতে আরেকটা দিন পালিত হয়। সেইন্ট লুসি’স ডে। ১৩ ডিসেম্বর এই দিনটি পালিত হয়। 
ইতালিতে বড়দিনের আরেকটা মজা আছে। ওখানকার বাচ্চারা বড়দিনে রাখাল সেজে পাইপ বাজিয়ে বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বড়দিনের গান গায় আর ছড়া কাটে। বিনিময়ে সব বাড়ি থেকে তাদেরকে টাকা দেওয়া হয়। আর সেই টাকা দিয়ে ওরা বড়দিনের উপহার কেনে।

অস্ট্রেলিয়ান বড়দিন

অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিসমাস যখন আসে, তখন ওদের গ্রীষ্মকাল। তারপরও তারা জাঁকজমক ভাবেই উদযাপন করে বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মটা ওদের মধ্যে গেছে ইউরোপ-আমেরিকা থেকেই। তাই ওরা ইউরোপ-আমেরিকানদের মতো করেই বড়দিন পালন করে। আর ওখানকার আদিবাসীরা তো ওদের নিজেদের মিষ্টি-মিষ্টি ধর্মই পালন করে। তবে ওদের খাবার-দাবারের মধ্যে একটা বিশেষ পুডিং থাকে। সেই পুডিংয়ের মজা

 তার ভেতরে এক টুকরো সোনা থাকে। সেই সোনার টুকরোটা যার ভাগ্যে পড়ে, ধরে নেওয়া হয়, তার ভাগ্য খুবই ভালো। 
ওদের সাহিত্যিকরা আবার সান্তাকে মাঝেমাঝেই ওদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিয়ে দেন, সান্তার মাথায় চাপিয়ে দেন ঐতিহ্যবাহী ‘আকুব্রা’ হ্যাট। আর সেই ঐতিহ্যবাহী সান্তার স্লেজ গাড়িটি তখন টানে অস্ট্রেলিয়ার প্রতীক পেটে-থলে-ওয়ালা অদ্ভুত প্রাণী ‘ক্যাঙ্গারু’!

ওদের দেশে ক্রিসমাসের দিন কিন্তু দু’টি বড় বড় খেলাও অনুষ্ঠিত হয়। ডিসেম্বরের ২৫-২৬ তারিখকে ওরা বলে বক্সিং ডে, আর সেদিন কোনো না কোনো টেস্ট ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া খেলে প্রতি বছরই।

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীদের মধ্যেও খ্রিস্টান রয়েছে। আর ওরা ক্রিসমাসের আগে আগেই ক্রিসমাসের আগমনী বার্তা সবাইকে জানিয়ে দিতে অ্যাডিলেডে একটা বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করে। লোক হয় প্রায় ৪ লাখ! 

আবার মেলবোর্নে ‘ক্যারোলস বাই ক্যান্ডললাইট’ নামে একটা মিউজিক্যাল শো হয়, অনেকটা কনসার্টই বলা যায়। বড়দিনের রাতে ‘সিডনি মেয়র মিউজিক বল’-এ অনুষ্ঠিত এই কনসার্টটি এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে গেছে, তাই টিভিতে এই কনসার্টটি না দেখলে অনেকের ক্রিসমাস-ই পালন হয় না!

ব্রাজিল

অস্ট্রেলিয়ার মত ব্রাজিলেও ক্রিসমাসের সময় গ্রীষ্মকাল। তাই বলে কি আর ক্রিসমাসের আনন্দ থেমে থাকে, ক্রিসমাস বলে কথা! সব জায়গাতেই ইউরোপ-আমেরিকার মতো সাজসাজ রব পড়ে যায়। বিশেষ করে সাও পাওলো, রিও ডি জেনিরোর মতো বড় বড় শহরগুলো তো পুরোই সেজেগুজে বড়দিন পালন করে। এমনকি তুষার পড়ে না বলে ওরা অনেক সময় ক্রিসমাস ট্রি’র উপরে তুলো দিয়ে বরফের মতো বানিয়ে রাখে! 

আর সবচেয়ে মজা হয় কিউরিতিবা শহরে। সেখানে যাকে বলে ঘরবাড়ি সাজানোর প্রতিযোগিতাই হয়! ক্রিসমাসের দিন বিচারকরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাদের বাসা সবচেয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করেন।

ওরা কিন্তু সান্তা ক্লজকে ডাকে অন্য একটা নামে, পাপাই নোয়েল বলে। আবার ওদের খাবারের তালিকাতেও থাকে বিশেষ একটা খাবার। চকলেট আর কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে তৈরি এই বিশেষ খাবারটির নাম- ব্রিগেডেইরো। আবার ওদের উৎসবেও থাকে এক বিশেষ অংশ; ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২ টা বাজলেই, মানে ২৫ ডিসেম্বর হওয়ার সাথে সাথে ওদের চার্চগুলোতে ‘মিসা দ্য গ্যালো’ উদযাপন করা হয়।

মেক্সিকান বড়দিন

মেক্সিকোতে ক্রিসমাস পালন হয় একটু অন্যভাবে। ওদের ক্রিসমাসের আরও একটা নাম আছে- লাস পোসেদাস। আবার ক্রিসমাসে ওরা এমন অনেক আচারই পালন করে, যেগুলো শুধু মেক্সিকোতেই দেখা যায়। এরকম আচারের সংখ্যা কম করে হলেও ৩০টি হবে! যেমন, প্রায় ৯ দিন ধরে শহরের মানুষেরা শহরের ঘরের দরজা থেকে দরজায় ঘুরে বেড়ায়। কারণ বেথলেহেমে আসার পর মা মেরি যিশুকে নিয়ে দিনের পর দিন এভাবে মানুষের ঘরের দরজা থেকে দরজায় ঘুরে বেড়িয়েছিল। কিন্তু কেউ তাঁকে আশ্রয় দেয়নি। সেই করুণ ঘটনা স্মরণ করেই তারা এই আচার পালন করে।

মেক্সিকানদের ক্রিসমাসের উৎসবও চলে অনেক দিন ধরে। শুরু হয় ১২ ডিসেম্বর ‘লা গুয়াদালুপানা’ নামের ভোজ দিয়ে। আর শেষ হয় ৬ জানুয়ারি, ‘এপিফানি’ নামের ভোজ দিয়ে। আর তারা বিশ্বাস করে, মাঝরাতে শিশুদের স্টকিং (মোজা) উপহারে ভরে দিয়ে যায় ৩ জ্ঞানী ব্যক্তি (থ্রি ওয়াইজ ম্যান)। যারা যিশুর জন্মের পরপরই তাঁর জন্য উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন।

রাশিয়ার ক্রিসমাস

রাশিয়াতে একটু ব্যতিক্রম। সব জায়গায়ই মোটামুটি ক্রিসমাস পালন করে ২৫ ডিসেম্বর আবার কিছু কিছু দেশে ডিসেম্বর মাসেরই অন্য কোন তারিখে কিন্তু রাশিয়াতে ক্রিসমাস পালন করা হয় ৬ জানুয়ারি। 

রাশিয়ার ক্রিসমাসের আরেকটা মজা আছে। ওখানে ক্রিসমাস আর নববর্ষ একসঙ্গে পালন করা হয়। আর তাই ওদের নববর্ষের উদযাপনেও দেখা যায় ঠিক মধ্যখানে একটা ক্রিসমাস ট্রি আছে। ওরা ক্রিসমাস ট্রি’কে ডাকে ইয়োল্কা নামে। আর ওরা ক্রিসমাস ট্রি হিসেবে পাইন গাছের বদলে বেশিরভাগ সময়েই ব্যবহার করে স্প্রাস গাছ। তবে এখন যেভাবে ক্রিসমাস পালন করে আগে এভাবে ক্রিসমাস পালন করতো না। ক্রিসমাসের এই পরিবর্তন আনেন পিটার দ্য গ্রেট। তিনি ১৭ শতকে ইউরোপে ঘুরতে এসে ক্রিসমাস উদযাপন করতে দেখে ভালো লাগে । এর পরেই তিনি রাশিয়াতেও সেগুলো প্রচলন করেন। তার ফলেই এসেছে ইয়োল্কা।

বড়দিন   উদযাপন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বেচ্ছামৃত্যুতে ব্যতিক্রমী আয়োজন নেদারল্যান্ডসের তরুণীর

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের তরুণী জোরায়া বিক। ২০২০ সালে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন ২৯ বছর বয়সী এ তরুণী। আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার মে মাসে তিনি অনুমতি পেয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন এ ডাচ তরুণী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন জোরায়া বিক। ছোটবেলা থেকেই দীর্ঘস্থায়ী হতাশা, উদ্বেগ, ট্রমা এবং ব্যক্তিত্বের অভাব বোধ করতেন তিনি। এমনকি তার অটিজম ধরা পড়েছে। যখন জোরায়া তার প্রেমিককে খুঁজে পান তখন ভেবেছিলেন তার প্রেমিক তাকে যে নিরাপদ পরিবেশ দিয়েছিল তা তাকে সুস্থ করে তুলবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তারপরও জোরায়া নিজের ক্ষতি করা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন।

এ ধরনের সমস্যার জন্য তিনি চিকিৎসা নেওয়া শুরু করলেও দীর্ঘমেয়াদি কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে একপর্যায়ে তিনি বাঁচার আশা হারিয়ে ফেলেন। তবে তার এক স্কুলের বন্ধুর আত্মহত্যা ও পরিবারের ওপর বিরূপ প্রভাব তাকে আত্মহত্যা করতে নিরুৎসাহিত করে। তারপরই স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য আবেদন করেন জোরায়া।

দীর্ঘ ও কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণের পর গত সপ্তাহে তার আবেদন গ্রহণ করা হয়। নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আইন রয়েছে। যেসব ব্যক্তি কঠিন রোগে ভুগছেন এবং সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই তারাই কেবল স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেতে পারেন।

এরই মধ্যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সকল প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে তাও জানিয়েছেন জোরায়া বিক। মৃত্যুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তার বাড়িতেই চিকিৎসক আসবেন। শুরুতে তাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি কোমাতে যাচ্ছেন। তারপর তাকে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধের ওষুধ দেওয়া হবে। বিষয়টি এমন হবে যে তিনি মনে করবেন তিনি ঘুমিয়ে পড়ছেন। এ সময় জোরায়ার সঙ্গে তার প্রেমিক উপস্থিত থাকবেন, তবে মৃত্যুর আগমুহূর্তে তার প্রেমিক চাইলে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন বলেও জানান জোরায়া।

জোরায়া জানান, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে তার ভয় লাগে। অপরদিকে পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তবে তিনি সব জেনে বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন।


স্বেচ্ছামৃত্যু   নেদারল্যান্ডস   তরুণী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি সত্য নয়: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে, এমন দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মূখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক জানতে চান-বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। এ বিষয়ে বিচার বিভাগকে বলা হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

এই দাবি কী সত্য?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা সমূহ আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ কমার কথা স্বীকার করেছেন ডোনাল্ড লু।

ঢাকায় আলোচনায় তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউসও র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে। তবে এটি আইনি বিষয়। এটি পুরোপুরি তাদের হাতেও নেই। ডোনাল্ড লু র‌্যাবের উন্নতির প্রশংসার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী অন্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।


র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১০ হাজারের অধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বড় রকমের দুঃসংবাদ দিয়েছে ইউরোপের এই দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে এবং এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশেরপেছনের দরজাহিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র শতাংশই সফল হয়েছে।

এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।


বাংলাদেশি   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশে ফিরেছেন যারা

প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বৈরশাসনের জন্য অনেক গণতন্ত্রকামী নেতাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে দীর্ঘ সময় তারা নির্বাসিত জীবনযাপন করেছে। সেইসব নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার জনগণ বা দেশের স্বার্থে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনও করেছে। তাদের মধ্যে বহুল আলোচিত- ইরানে ইসলামী বিপ্লবের সূচনাকারী আয়াতুল্লাহ খোমেনি, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কন্যা বেনজির ভুট্টো। মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সুচি এবং থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

আয়াতুল্লাহ খোমেনি 

১৯৭৮ সালে ইরানে যখন চরম অস্থিরতা এবং সহিংসতা শুরু হয়, আয়াতোল্লাহ খোমেনি তখন ইরাকে শিয়াদের পবিত্র নগরী নাজাফে কড়া পাহারায় নির্বাসিত জীবনে ছিলেন।

ইরাকে তখন সাদ্দাম হোসেনের শাসন। ইরানের শাহ আয়াতোল্লাহ খোমেনিকে ইরাক থেকে বহিষ্কারের জন্য সাদ্দাম হোসেনকে অনুরোধ করেন। বহিষ্কৃত আয়াতোল্লাহ ফ্রান্সে পাড়ি জমালেন এবং সেখান থেকে সহজে সারা পৃথিবীর উদ্দেশ্যে কথা বলার সুযোগ পেয়ে গেলেন। তার আপোষহীন এবং জোরালো সব বক্তব্যের কারণে দ্রুত তিনি সারা বিশ্বের নজর কাড়েন। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৯ সালে জানুয়ারিতে যখন শাহ দেশ ছাড়তে বাধ্য হন, আয়াতোল্লাহ দেশে ফেরার সুযোগ পান এবং ফিরেই রাজতন্ত্র উপড়ে ফেলেন। রাজতন্ত্র ধ্বংস হয়ে ইরানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো। মুসলিম বিশ্ব পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়লো এবং পশ্চিমা উদারপন্থার প্রধান চ্যালেঞ্জার হয়ে পড়লো আয়াতোল্লাহ খোমেনির নতুন ইরান।

নওয়াজ শরিফ

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধ ছিল দেশটির মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রধান নওয়াজ শরীফের। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছিলেন। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে নওয়াজকে সরকারি পদে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে জেলেও ছিলেন নওয়াজ শরীফ। তবে স্বাস্থ্যগত বিবেচনায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান। চিকিৎসার কারণে তিনি লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। চার বছরের স্বেচ্ছানির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের আগে গত বছর ২১ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন। এর আগে সৌদি আরবে দশ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নওয়াজ।

বেনজির ভুট্টো

বেনজির ভুট্টো। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর কন্যা। বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা, দাদা শাহ নাওয়াজ ভুট্টো ছিলেন বড় রাজনীতিবিদ। ১৯৮৮ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন বেনজীর ভুট্টো। কিন্তু ১৯৯০ সালে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের মাত্র দুই বছরের মাথায় তাকে অব্যাহতি দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গুলাম ইসহাক খান।

পরের বছর আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বেনজীর ভুট্টো। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে বেনজিরকে ফের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ। তিনি ও তার স্বামী জারদারীকে গ্রেপ্তার করে কারাদন্ড দেয়া হয়। তিনি ফের নির্বাসনে লন্ডনে পাড়ি জমান। ৮ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এর আমলে ২০০৭ সালের অক্টোবরে করাচি ফেরেন বেনজির ভুট্টো। বেনজির ভুট্টোর রাজনৈতিক জীবন ছিল উত্থান-পতনে ভরা। তাকে নির্বাসনে যেতে হয়েছিল দু'বার - যুক্তরাজ্যে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে । দু'বারই তিনি নির্বাসন থেকে পাকিস্তানে ফিরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

অং সান সু চি

২০২১ সালে রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন মিয়ানমারের তৎকালীন নেত্রী অং সান সু চি (৭৮)। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ কেলেঙ্কারি, আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর; যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এর আগে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় ১৯৮৮ সালে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে সবার নজর কাড়েন সচিব। ওই বছরই রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি আন্দোলনের কারণে সামরিক জান্তার বিরাগভাজন হয়ে পরের বছরই নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি হতে হয় তাকে। মানবাধিকারের বাতিঘর আর ক্ষমতাহীনদের জন্য নির্ভরতার অনন্য উদাহরণ। ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হন। সূচি বিশ্বে পরিচিতি পান গণতন্ত্রের রোল মডেল হিসেবে। ২০১০ সালে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও সক্রিয় হন। রাজনীতিতে অধিকার আদায়ের লড়াইকে সামনে রেখে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে তার রাজনৈতিক দল এনএলডি স্টেট কাউন্সিলর বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুরু হয় তার নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়। 

থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা

১৫ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফিরেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। গত বছর ১০ আগস্ট বিমানে করে তিনি দেশে আসেন। ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। তবে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর দুর্নীতির দায়ে সাজা এড়াতে ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান তিনি। এরপর থেকে তিনি দুবাইয়ে বসবাস করছেন।


গণআন্দোলন   নওয়াজ শরীফ   গণতন্ত্র   থাকসিন সিনাওয়াত্রা   বেনজির ভুট্টো   আয়াতুল্লাহ খোমেনি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা: কিম ইয়ো জং

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র বিনিময়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। তার বিবৃতিকে উদ্ধৃতি করে কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তাদের শত্রু দেশ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএসএ' এক প্রতিবেদনে বলা, হয়েছে উত্তর কোরিয়া তার জাতির স্বার্থে অস্ত্রের আধুনিকায়ন করছে এবং তা কোনো দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই মস্কো পিয়ংইয়ং অভিযোগ অস্বীকার করে আসছ। তবে গত বছর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরে পৌঁছেছে। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, ‘রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি তত্ত্ব একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।কিম ইয়ো জং বলেন, ‘সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রদর্শনকৃত রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র রপ্তানির জন্য ছিল না। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিহত করার জন্য।


রাশিয়া   কিম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন