ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

করোনায় যখন উঠছে পশ্চিমের বিধিনিষেধ, বাড়ছে এশিয়ায়

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail করোনায় যখন উঠছে পশ্চিমের বিধিনিষেধ, বাড়ছে এশিয়ায়

করোনা মহামারীর অতি সংক্রমণে যখন বিশ্ববাসীর জীবনযাত্রা একেবারের স্থবিরতা ভেতর দিয়ে পার হচ্ছে তখন আস্তে আস্তে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দেশে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ থেকে সরে আসছে। সেখানে যেনো ঠিক উলটো পথে হাঁটছে এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ। কোন কোন দেশ তো করোনার সূচনা লগ্নের চেয়েও বেশি কঠোর লকডাউন জারি করছে দেশে। 

এশিয়ার অনেক দেশ তাদের করোনার ভ্যাক্সিন কার্যক্রম আরো জোরালো করলেও তারা করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনের আগমনে দেশে লকডাউন থেকে শুরু করে জীবন যাত্রায় আরো কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে। 

করোনায় লকডাউন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজির অধ্যাপক চো সুং-ইল বলেন, ‘এশীয়রা স্বাধীনতার চেয়ে জীবনকে বেশি মূল্য দিয়ে থাকতে পারেন। এর কারণ হতে পারে স্বাধীনতার জন্য জীবন বিপন্ন করে গণ–অভ্যুত্থানের তরতাজা স্মৃতি হয়তো আমাদের নেই।’

অন্যদিকে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারি বিশেষজ্ঞ বেন কাউলিং বলেন, ‘আমি মনে করি, এশিয়ার দেশগুলোও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। তবে সম্ভবত বিশ্বের অপর অংশের তুলনায় বেশি সাবধানতার সঙ্গে। বিধিনিষেধ এ সাবধানতারই অংশ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং তারপর জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পদক্ষেপগুলো শিথিল করা হবে।’

চীনের মূল ভূখণ্ডে কর্তৃপক্ষ করোনা ঠেকাতে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতিতে কাজ করছে। এর ফলে সেখানে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ প্রায় বন্ধ হচ্ছে, আবার ঘন ঘন কঠোরতর বিধিনিষেধ ও বিধিনিষেধ দেওয়া হচ্ছে।

মহামারির এ দুই বছরে করোনা সংক্রমণে এখনই সবচেয়ে টালমাটাল হংকং। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে তারা স্কুল, বার ও শরীরচর্চাকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার পর রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়াও বন্ধ করা হয়েছে। ‘এশিয়ার বিশ্বনগরী’ হিসেবে পরিচিত চীননিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চল কঠোরতম কোয়ারেন্টিন ও সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন মহানগরীগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। অবশ্য এ কঠোর অবস্থান থেকে সামান্য সরে এসে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিন ২১ থেকে কমিয়ে ১৪ দিন করা হচ্ছে।
জাপানে দৈনিক করোনা শনাক্ত প্রায় ৮০ হাজারে পৌঁছেছে। অনাবাসী সবার জন্য জাপানের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। দেশটির ৪৭টি প্রিফেকচারের (প্রশাসনিক অঞ্চল) মধ্যে ৩৪টিতে বার ও রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

মহামারির পুরো সময়জুড়ে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ এড়িয়ে চলা দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। দেশটিতে একসঙ্গে ছয়জনের বেশি সমবেত হওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া রাত ৯টার পর বার, রেস্তোরাঁ ও শরীরচর্চাকেন্দ্র খোলা রাখায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো দেশটিতে ৬ ফেব্রুয়ারি বিধিনিষেধ নিয়ে নতুন ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। 

মহামারির মধ্যে বিশ্বের যে দেশগুলো সীমান্তে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ি আরোপ করেছে, সেগুলোর অন্যতম নিউজিল্যান্ড। দেশটি জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে ধাপে ধাপে সবার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত খোলার যে পরিকল্পনা করেছিল, তা ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ পিছিয়ে দিয়েছে ওমিক্রনের কারণে। এ সিদ্ধান্ত বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত নিউজিল্যান্ডের হাজারো নাগরিকের অসন্তোষ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

অপরদিকে ইউরোপে সর্বশেষ দেশ হিসেবে ডেনমার্ক গত বুধবার প্রায় সব ধরনের করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। যদিও এখনো দেশটিতে দিনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে চলতি মাসেই যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড অনেকটা একই পদক্ষেপ নিয়েছে। ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, সংক্রমণ বাড়লেও গুরুতর অসুস্থতা বাড়েনি। কোভিড-১৯–এর যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ৩০-৪০ শতাংশের অসুস্থতার অন্য কারণ রয়েছে। ফ্রান্সও আগামী সপ্তাহ থেকে হসপিটালিটি ভেন্যুগুলোতে বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে।

এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ এখনো এ সুযোগ না দিলেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অধিকাংশ দেশ পূর্ণ ডোজ টিকাগ্রহীতাদের জন্য কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণ চালু করছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিমান ভ্রমণ ৯৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে, যা অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।

টোকিওর টেম্পল ইউনিভার্সিটির এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক জেফরে কিংস্টোন আল–জাজিরাকে বলেন, বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাও কাজ করে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কঠোর সীমান্ত নীতির পেছনে তাঁর দুই পূর্বসূরির মহামারি মোকাবিলা নিয়ে ক্ষমতা হারানোর প্রভাব রয়েছে।

জেফরে কিংস্টোন বলেন, ‘এর জন্য জনগণকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে বিশেষত যেসব শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসতে চায় বা যেসব ব্যক্তি তাদের পরিবারের কাছে আসতে চায় তাদের জন্য। এটা অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর, পর্যটন খাতে আঘাত, স্বল্প পুঁজির রেস্তোরাঁ ও বার মালিকদের দেউলিয়া হওয়ার পথ তৈরি এবং পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা পথে বসার উপক্রম হয়। বৈশ্বিক মহামারি থেকে তা শেষের দশা আসবে, কিন্তু কখন তা কেউ জানে না।’

তবে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় করোনায় যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা পূর্ব এশিয়ায় না হওয়ায় ‘একটি মাত্রায় আত্মতুষ্টির’ কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন কিংস্টোন।


ইউরোপ   লকডাউন   এশিয়া   করোনা   টিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরবি ভাষার মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন-এ তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে ১৮ বছর মর্যাদাপূর্ণ সেবা প্রদান করার পর আমি এপ্রিল ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেছি’।

প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
 
দেশটির শিক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, তারিক হাবাশ, যিনি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন। 
  
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজা নীতি   মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচন: মোদির ম্যাজিক কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ ধাপে। আজ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল জানা যাবে। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। 

নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে তার সবগুলোতেই নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের ভোটপ্রাপ্তি সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ভোট প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি হলে ৪২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হলে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আসনের হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অবস্থান ৪১১ থেকে ৩৭৩ এর মধ্যে এবং ইন্ডিয়া জোট ১৫৫ থেকে ১০৫ এর মধ্যে উঠানামা করবে বলে বিভিন্ন জরিপের হিসেবে বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর অনেকেই ভারতের এই জরিপ শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

অনেকেই মনে করছেন যে, এই নির্বাচনে কতগুলি ইস্যু বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ভারতের মুসলমান ভোটারদেরকে একাট্টা করেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। আর এ কারণে এবার মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ট্রেন বন্ধ রেখে মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়াকে যে ক্ষমতাবান এবং উন্নয়নের রোল মডেলের নীতি নিয়ে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন সেটি এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নাজুক পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদি ম্যাজিককে ফিকে করে দিয়েছে। অনেকেই এই নির্বাচনে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

অনেকে মনে করছেন যে, ২০০৪ সালে ভারতের চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ম্যাজিক দেখিয়েছিল। সে সময় বিজেপির ইন্ডিয়ার সাইনিং স্লোগানের আড়ালে সকলে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের। কিন্তু সেই নির্বাচনে সকল জরিপকে মিথ্যে প্রমাণ করে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছিল। এবার নির্বাচনে তেমন কোন ফলাফল হবে কিনা তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, ভারতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটই বিজয়ী হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বে জোট যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট আশা করেছিল সে সংখ্যাগরিষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। তবে এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট বিজয়ী হলেও নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে যাকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   ইন্ডিয়া জোট   এনডিএ জোট   লোকসভা ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারত-ভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হল জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্ক জাকারবার্গকে টপকে তৃতীয় শীর্ষ ধনীর আসনে ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্ক জাকারবার্গ টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফলে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীর জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার শেয়ার বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে কমতে পারে এমন পূর্বাভাসের পর এ পতন হয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, মেটার শেয়ার পতনের ফলে মার্ক জাকারবার্গের সম্পত্তি কমে এখন ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সম্পদ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে এ দুই বিলিয়নিয়ার নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে যান। গত তিন মাসে টেসলার গাড়ি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো জাকারবার্গ মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।

এর আগে ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। গত বছরের তুলনায় এবার তার সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদমূল্য ১৯৪ বিলিয়ন ডলার।

১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গতবার সম্পদমূল্য ছিল ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।


মার্ক জাকারবার্গ   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন