ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের নতুন যন্ত্র ধরে ফেলবে আপনার মিথ্যা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ইসরায়েলের নতুন যন্ত্র ধরে ফেলবে আপনার মিথ্যা

ইসরাইলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক অধ্যাপক হানেইন এবং তার সহযোগী অধ্যাপক দিনো লেভি। তারা লাই ডিটেকশন অর্থাৎ মিথ্যা শনাক্তকরণের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। 

সেই দলের অধ্যাপক ইয়েল বলেছেন, ‘‘চোখ বন্ধ করুন, খুলুন, পিটপিট করুন, হাসুন। এবার রিল্যাক্স করুন, একটু পরই আমরা বুঝতে পারবো আপনি একজন ভালো মিথ্যেবাদী না খারাপ।’ 

গবেষক দলের প্রধান বলছেন, মিথ্যাবাদী আছে দু’রকম । এক দল আছেন মিথ্যা বলার সময় নিজের অজান্তেই যাদের চোখের ওপরের ভ্রু নড়াচড়া করতে থাকে । আরেক দল আছেন, মিথ্যা বলার সময় যাদের ঠোঁটের খুব সামান্য একটা নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না - যে সময় তাদের ঠোঁট তাদের গাল স্পর্শ করে।

অধ্যাপক হানেইন বলছেন, তারা যে সফটওয়্যার এবং এ্যালগরিদম তৈরি করেছেন তা ৭৩% মিথ্যা শনাক্ত করতে পারে এবং এখন তারা কাজ করছেন এ পদ্ধতিকে আরো উন্নত করার জন্য। ‘আপনি যখন মিথ্যে বলছেন এবং তা লুকানোর চেষ্টা করছেন, তখন আপনি চেষ্টা করেন যাতে আপনার শরীরে কোন প্রতিক্রিয়া না হয়।’ ‘কিন্তু এই প্রযুক্তির হাত থেকে একটা মিথ্যাকে গোপন রাখা খুবই, খুবই কঠিন’ - যোগ করলেন অধ্যাপক লেভি।

মিথ্যা ধরার নানা কায়দা প্রাচীন যুগেও ছিল

সম্ভবত: কারও মিথ্যা ধরার চেষ্টার ইতিহাস মানুষের মিথ্যা বলার মতই পুরনো। এই প্রয়াসের সবচেয়ে পুরনো দৃষ্টান্তগুলোর একটি পাওয়া যায় চীনে প্রায় ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। পদ্ধতিটি হলো, কেউ মিথ্যা বলেছে কিনা তা ধরার জন্য তার মুখ ভর্তি করে শুকনো চাল ঢুকিয়ে দেয়া হতো। কিছুক্ষণ পরে সেই চালের দানাগুলো পরীক্ষা করা হতো। যদি দেখা যেতো যে চালগুলো শুকনো রয়ে গেছে - তাহলে ধরে নেয়া হতো যে সে মিথ্যা বলেছে।

এ পেছনের তত্ত্বটা হলো - কেউ যদি সত্যি মিথ্যা বলে থাকে তাহলে ধরা পড়ার ভয়-উৎকণ্ঠায় তার মুখের ভেতরটা শুকিয়ে যাবে - যা বোঝা যাবে শুকনো চাল থেকে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আবিষ্কৃত হয় প্রথম মিথ্যা ধরার যন্ত্র বা লাই-ডিটেকটর মেশিন। একে বলা হয় পলিগ্রাফ। সবচেয়ে পরিচিত যন্ত্রটি হচ্ছে ‘এ্যানালগ পলিগ্রাফ’ - যাতে তিন-চারটি কালি-ভরা সূঁচ থাকে যা একটি চলন্ত কাগজের ওপর দাগ-কাটতে থাকে।

অন্য প্রান্তে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির হাতের আঙুল, বাহু ও শরীরে লাগানো থাকে সেন্সর। তাকে অনেকগুলো প্রশ্নের জবাব দিতে হয় এবং সেই সময় তার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কত এবং তার ঘাম হচ্ছে কিনা - এগুলো মাপা হয়। তবে এসব মেশিন কতটা নির্ভুল এবং একে ফাঁকি দেয়া সম্ভব কিনা - এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বেগ আছে। সেকারণেই সারা বিশ্বের গবেষক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে আরো উচ্চ প্রযুক্তির পলিগ্রাফ তৈরির জন্য।

নেদারল্যান্ডসের রটারডাম শহরের ইরাসমুস বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. সেবাস্টিয়ান স্পিয়ার এবং তার দল ব্যবহার করছেন একটি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) মেশিন । কেউ মিথ্যা বলছে কিনা বা প্রতারণা করছে সেটা এই যন্ত্র দিয়ে ধরাটাই ছিল উদ্দেশ্য। তারা যেটা করছেন তা হলো - একজন লোক যখন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, তখন তার মস্তিষ্কের স্ক্যান করা হলে তাতে রঙের কোন পরিবর্তন ধরা পড়ে কিনা।

‘কেউ যখন সততার পরিচয় দিচ্ছে তা প্রতারণা করছে - তখন মস্তিষ্কের কোন বিশেষ এলাকা বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে - কিনা - মূলত সেটাই আমরা দেখি।’

ইতোমধ্যেই নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের কনভেরাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান আইডিটেক্ট নামে একটি উচ্চ-প্রযুক্তির পদ্ধতি বের করেছে - যা ইতোমধ্যেই অনেকে ব্যবহার করছেন। এটা মিথ্যা ধরার জন্য চোখের অনৈচ্ছিক নড়াচড়াকে ধরতে পারে।

এতে একজন ব্যক্তিকে এমন কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয় - যার উত্তর ‘সত্য বা মিথ্যা’ অথবা ‘হ্যাঁ বা না’ দিয়ে দেয়া যায়। তারা যখন এই জবাবগুলো দিচ্ছেন তখন একটি সফটওয়্যার তাদের চোথের নড়াচড়ার ওপর নজর রাথে, এবং তাদের জবাবগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে। এর পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই ফলাফল ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশ সঠিক।

কনভেরাস বলছে, তাদের এই আইডিটেক্ট এখন ৫০টি দেশে ৬০০-রও বেশি গ্রাহক ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫টি এবং সারা বিশ্বের শতাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এটি ব্যবহার করছে। কনভেরাসের প্রধান নির্বাহী টড মিকেলসন বলছেন, এই পরীক্ষাটিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষ নানা কাজে ব্যবহার করছে।

‘যেমন, অনেক আগে ঘটে গেছে এমন অপরাধ, অতীত বা বর্তমানে মাদক সেবন, কারো বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে পদক্ষেপ নেয়া হয়ে থাকলে তা গোপন রাখা হয়েছে কিনা, চাকরির আবেদনে মিথ্যে বলা, বা সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগাযোগ - এরকম নানা ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে’ - বলেন তিনি।

অন্যদিকে পুলিশের গোয়েন্দারাও কোন অপরাধের ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে পারে।

আইনি বৈধতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ

অবশ্য এ ক্ষেত্রে আইনের প্রশ্নটি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। লাই ডিটেক্টরের বৈধতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের আইন বিভিন্ন রকম। যুক্তরাজ্যে যৌন অপরাধ এবং পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে পলিগ্রাফকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিন্তু এর ফলাফলকে ফৌজদারি মামলায় ব্যবহার করা যাবে কিনা - সে প্রশ্নে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের নিয়ম আলাদা। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যে নিয়োগদাতারাও তাদের স্টাফদের ক্ষেত্রে লাই ডিটেকটর পরীক্ষার প্রস্তাব দিতে পারেন, তবে তা বাধ্যতামূলক হতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্রেও লাই ডিটেকটর সংক্রান্ত আইন একে অঙ্গরাজ্যে একেক রকম। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজ্য-স্তরের ফৌজদারি মামলায় উভয় পক্ষ রাজি হলে লাই ডিটেকশন পরীক্ষা তথ্যপ্রমাণ গ্রহণযোগ্য। কিন্তু নিউইয়র্ক রাজ্যে এটি কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশও কোন সন্দেহভাজন বা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে এই টেস্ট নিতে বাধ্য করতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল আইনে কোন প্রতিষ্ঠানই চাকরির আবেদনকে লাই ডিটেকটর পরীক্ষা করাতে পারে না। সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার বার্জেস সতর্ক করে দিচ্ছেন - কোন গুপ্তচর বা অপরাধীর দোষ প্রমাণের অবিসংবাদিত উপায় হিসেবে লাই ডিটেকটরকে দেখা ঠিক হবে না।

‘কোন একটা তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের সময় একে একটা উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয় - মিথ্যাবাদী, দুশ্চরিত্র, প্রতারক বা অতিরঞ্জনকারীরা সত্য বলছে কিন তা বের করার জন্য।’ বার্জেস এখন এখন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলছেন, এসব যন্ত্র সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়।

তিনি বলেন, তিনি নিজেই একবার ১৯৯০ এর দশকে লাই ডিটেকটরের একটি ভুল ফলাফলের জন্য একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, মিথ্যা ধরার জন্য যতই আরো উন্নত প্রযুক্তি আসুক, এ ব্যাপারে নৈতিক প্রশ্নগুলো এখনও রয়েই গেছে।

তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করেন, এক সময় এ ক্ষেত্রে ভিডিও ক্যামেরার জায়গা নেবে ইলেকট্রোড। তারা বলছেন, একসময় এমন সফটওয়্যার আসবে যার ফলে দূর থেকে বা এমনকি ইন্টারনেটে লিংকেও একজন মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করা যাবে - তার মুখের পেশীর নড়াচড়া থেকে।

অধ্যাপক লেভি বলছেন, ‘ব্যাংকে, বিমান বন্দরে, অনলাইনে চাকরির ইন্টারভিউ বা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, শক্তিশালী ক্যামেরা থাকবে যা মুখমণ্ডলের পেশীর নড়াচড়া দেখেই ধরা যাবে কোনটি সত্য বক্তব্য এবং কোনটি মিথ্যা।’

আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে চেয়েছিলাম - আমি পাশ করেছি কিনা। দুই অধ্যাপক বলেন, ‘আপনি মিথ্যেবাদী হিসেবে খুব ভালো নন’। সূত্র: বিবিসিবাংলা


ইসরায়েল   মাদক   শৃঙ্খলাভঙ্গ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুইজ্জুর দাবির মুখে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার ভারতের

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দাবির মুখে দেশটি থেকে ভারতের সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লি। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মালদ্বীপ সরকার ভারতকে শুক্রবারের (১০ মে) মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সামরিক সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। এর আগে, সোমবার (৬ মে) রাতে অর্ধেকের বেশি সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। দেশটিতে অবস্থান করছিল ৮০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা।

গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বড় জয় পান মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলে মুইজ্জু সরকার। ক্ষমতায় এসেই নয়াদিল্লিকে দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেয়ার বার্তা দেন তিনি। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে দেশটি।

মোহাম্মদ মুইজ্জু   নয়াদিল্লি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভোটের আগে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি (মদ) নীতি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আগামী ১ জুন পর্যন্ত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে এ জামিন দিয়েছেন। 

জামিন আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১ জুন লোকসভা ভোটের পর ২ জুন তাকে ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

শীর্ষ আদালত বলেছে, আগামী দুই জুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে তার জামিন আদেশের বিস্তারিত শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।

গত ২১ মার্চ আবগারি নীতি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তখন থেকে তিনি তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন।

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে নিজের গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন কেজরিওয়াল। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপি এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

তবে লোকসভার আরো চার ধাপ নির্বাচন বাকি থাকায় কেজরিওয়ালের জামিন এবং প্রচারে অংশ নেওয়ার শুরুর অপেক্ষায় দিল্লির রাজনীতিতে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের ভোটে কেজরিওয়ালকে প্রচারে নামতে দেওয়ার জন্য জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করা হয়। তবে আদালত সেই আবেদনের জরুরি শুনানিতে রাজি না হয়ে দুই সপ্তাহ পর তারিখ ধার্য করেছে।

আর এরি মধ্যে শুরু হয়ে যায় ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয় দফার ভোট হয়ে গেছে। অবশ্য জামিনের পাওয়ায় আরো চর দফা ভোটের প্রচারে নামতে পারবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে আদালতে দেওয়া পিটিশনের বিরোধিতা করে ইডি। সংস্থাটি আদালতে জানায়, নির্বাচনে প্রচার করতে পারা মৌলিক, সাংবিধানিক এমনকি আইনি কোনো অধিকারের মধ্যে পড়ে না।

বৃহস্পতিবারও ইডির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার শুনানি বিরোধিতা করে বলা হয়, যে কোনো ধরনের ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়া হলে তা ‘আইনের শাসন ও সমতার’ প্রতি হুমকি সৃষ্টি করবে।

কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করা হলে আদালত তাকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলো।

ওই সময় ইডির হাতে গ্রেপ্তারি ও নিম্ন আদালত থেকে হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে তিহার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় নির্বাচনে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ রাশিয়ার

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিল ওয়াশিংটন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না। এমনকি আমরা পৃথিবীর কোনো নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করি না।

এর আগে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে মস্কো।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মার্কিন অভিযোগকে দেশ ও রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। 


ভারতীয়   নির্বাচন   মার্কিন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।

মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।

এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন। মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।

 


রাশিয়া   প্রধানমন্ত্রী   মিখাইল মিশুস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রকে চোখ রাঙিয়ে যা বললেন নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই লড়বে। 

এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে... আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে) নখ দিয়েই লড়াই করবো।’

এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।

তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন, বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো। তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা ইসরায়েলিদের নখের আছে!


যুক্তরাষ্ট্র   নেতানিয়াহু   ইসরায়ল   গাজা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন