ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কে এই নিহত আইএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল-কুরাইশি?

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail কে এই নিহত আইএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল-কুরাইশি?

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর এক রাতভর অভিযানে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাইশি নিহত হয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইএসের এই নেতা সম্পর্কে কি জানা যায়?

তুরস্ক সীমান্তের কাছে আতমেহ এলাকায় একটি দোতলা বাড়িতে সপরিবারে লুকিয়ে ছিলেন আইএসের নেতা আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাইশি। বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন কমান্ডোরা হেলিকপ্টারে করে এসে বাড়িটির ওপর হামলা চালালে তিনি একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান - যাতে তিনি নিজে ও তার পরিবারসহ ১৩ জন নিহত হন।

এই হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল কয়েক মাস ধরে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন অভিযান পরিচালনার চূড়ান্ত নির্দেশ দেবার পর আক্রমণ শুরু হলে মি.বাইডেন হোয়াইট হাউসে বসে তা সরাসরি দেখছিলেন। আল-কুরাইশিকে বহুদিন ধরেই আইএসের ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। তাকে একজন রহস্যময় লোক বলে মনে করা হতো - যাকে প্রকাশ্যে প্রায় দেখাই যেতো না।

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর ভেতরে আল-কুরাইশিকে ডাকা হতো 'হাজী আবদুল্লাহ কারদাশ' বা 'হাজি আবদুল্লাহ' নামে। তাকে নিয়ে একটি তথ্যবহুল ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করেছেন বিবিসির আরবি বিভাগের ফেরাস কিলানি। তিনি ইরাকের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অনেকের সাথে কথা বলে আল-কুরাইশি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

আল-কুরাইশির জন্ম মসুলের অদূরে

আল-কুরাইশির জন্ম ১৯৭৬ সালে, ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের আল-মেহালাবিয়ায়। ইরাক সরকারের কাউন্টার-টেররিজম ইউনিটের নাম হচ্ছে ফ্যালকন ব্রিগেড। ইসলামিক স্টেটের ভেতরে নিজেদের গুপ্তচরদের ঢুকিয়ে দেবার কাজে এই ফ্যালকন ব্রিগেড ছিল সিদ্ধহস্ত।

এর ফলে ইসলামী উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের একজন এজেন্ট হচ্ছেন মেজর আহমেদ। এটা তার আসল নাম নয়, পরিচয় গোপন রাখার জন্য তাকে এই ছদ্মনাম দেয়া হয়েছে। ইসলামিক স্টেটের সবশেষ নেতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন এই মেজর আহমেদ। তিনি বলছিলেন হাজী আবদুল্লাহ বা আল-কুরাইশির আসল নাম আমির মোহাম্মদ সাঈদ আল-মওলা।

তিনি আরও বলেন, আমির মোহাম্মদ সাঈদ আল-মওলার জন্ম আল-মেহালাবিয়ায়, তার বাবা সেখানকার একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। তার ছিল দুই স্ত্রী, এবং ১৭টি সন্তান।

অল্প বয়সেই উগ্রপন্থায় দীক্ষা

বড় পরিবার ছিল তাদের, এবং স্থানীয় লোকেরা এখনো তাদের মনে রেখেছেন। কারণ তারা শিক্ষিত ছিল, লোকে তাদের সম্মান করতো। কিন্তু তা সত্ত্বেও আল-কুরাইশি স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর মাধ্যমে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হন। 

এই আল-মেহলাবিয়া, তাল আবতা এবং আল-হাজার এই তিনটি প্রত্যন্ত এলাকা মিলে একটা দ্বীপের মত তৈরি হছে। এখানেই ২০০৩ সালের মার্কিন অভিযানের পর ইরাকী আল-কায়দার জন্ম হয়েছিল। তাদের এখানে বেশ বড় সমর্থনও ছিল। ইসলামিক স্টেটের সামরিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক নেতাদের বেশির ভাগই এই এলাকাগুলো থেকে আসা - বিশেষ করে নিকটবর্তী তাল-আফার থেকে।

আল-কায়েদায় যোগদান

সাদ্দাম হোসেনের শাসনকালে আল-কুরাইশি কিছুকাল ইরাকের সেনাবাহিনীতে ছিলেন বলে জানা যায়। তা ছাড়া তিনি মসুলের বিশ্ববিদ্যালয়েও ইসলাম বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। মার্কিন-নেতৃত্বাধীন বাহিনী যখন ২০০৩ সালে ইরাকে অভিযান চালায় তখনই আল-কুরাইশি ছোট ছোট কিছু জিহাদি গোষ্ঠীর সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি এসব গোষ্ঠী ছেড়ে দিয়ে আল-কায়েদায় যোগ দেন।

মার্কিন অভিযানে ইরাকি শাসক সাদ্দাম হোসেন উৎখাত হবার কিছুকালের মধ্যেই দেশটিতে শুরু হয় ব্যাপক সহিংসতা। আর তখন হাজি আবদুল্লাহ - তার ধর্মীয় শিক্ষা এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত থাকার অভিজ্ঞতার কারণে - খুব তাড়াতাড়িই একজন নেতৃস্থানীয় সদস্যে পরিণত হন। একপর্যায়ে ২০০৮ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়, এবং আমেরিকানরা পুকা কারাগারে আটকে রাখে।

সেখানে মার্কিন সৈন্যরা কয়েক মাস ধরে আল-কুরাইশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা দাবি করে যে আল-কুরাইশি তাদেরকে আইএস সদস্যদের সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছিলেন - যদিও বিবিসির আরবি বিভাগের অনুসন্ধানী প্রতিবেদকরা নিজস্ব সূত্রে তা নিশ্চিত করতে পারেননি। দু’হাজার দশ সালের শুরুতে আল-কুরাইশিকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ইসলামিক স্টেটের প্রতিষ্ঠাতা নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির সাথে যোগ দেন।

আল-বাগদাদির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তিনি নিনেভেহ প্রদেশে আইএসএর একজন উর্ধতন কর্মকর্তায় পরিণত হন। এটা ছিল এমন এক সময় - যখন আমেরিকান সৈন্যদের একটা বড় অংশকেই ইরাক থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এর ফলে আইএস নিজেদের পুনর্গঠিত করার সুযোগ পায়। তখন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নূরী আল-মালিকি। তার সরকার জনপ্রিয় ছিল না, ফলে এসময় ইসলামিক স্টেটের সদস্য সংখ্যাও বাড়তে থাকে।



‘মেধাবী’ ছিলেন না হাজি আবদুল্লাহ

আইএসএর এক সিনিয়র নেতা- যিনি এখন ইরাকি গোয়েন্দা বিভাগের কারাগারে বন্দী - তিনি বিবিসির আরবি বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তার সাথে আল-কুরাইশি বা হাজি আবদুল্লাহর বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। এই নেতাটির নাম বিবিসির আরবি বিভাগ প্রকাশ করেনি, কারণ আইএসের নেতৃত্ব এখনো জানে না যে তিনি বন্দী আছেন।

কিছু কিছু বিষয়ে হাজি আবদুল্লাহ অত্যন্ত উগ্রপন্থী, এবং তিনি তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করেন না। এই বন্দী আইএস নেতা বলছিলেন, আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে হাজি আবদুল্লাহ ঠিক মেধাবী লোক নন, এবং আল-বাগদাদির মত বক্তৃতা দেবার ক্ষমতাও তার নেই। আল-বাগদাদি হাতে কোন কাগজ না রেখেই বক্তৃতা দিতে পারতেন কিন্তু হাজি আবদুল্লাহ এটা পারবে বলে আমার মনে হয় না।

আইএসের উচ্চাভিলাষ বাড়তে থাকার সাথে সাথে আল-কুরাইশি বিচার মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন। তার দায়িত্ব ছিল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা এবং লোকজনকে নিষ্ঠুর-বীভৎস পন্থায় শাস্তি দেয়ার কাজ তত্ত্বাবধান করা।

ইয়াজিদি মেয়েদের নিয়ে কী করা হবে

আইএস যখন ২০১৪ সালে সিঞ্জার শহরে ঢুকলো, তখন আল-কুরাইশির নিষ্ঠুরতা এবং তিনি যে কত প্রভাবশালী তা স্পষ্ট হলো। এখানে তারা ইয়াজিদি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। তবে ইয়াজিদি নারীদের নিয়ে কি করা হবে - এ প্রশ্নে আইএসের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিল।

ইসলামিক শরিয়া আইনকে তারা যেভাবে ব্যাখ্যা করে - সে অনুযায়ী তাদের কিছু নেতা চাইছিল - ইয়াজিদি মেয়েদের ক্রীতদাসীতে পরিণত করা হোক। সে সময় আবু বকর আল-বাগদাদির একজন সহচর ছিলেন সালেম আল-জুবুরি, যিনি এখন ইরাকের কারাগারে বন্দী।

তিনি বিবিসিকে বলেন, ইয়াজিদি নারীদের বন্দী করার ব্যাপারে একজন শেখ আবু আলি আল-আনবাবির মত ছিল, এটা নিষিদ্ধ করা হোক কারণ এর সুবিধার চাইতে অসুবিধা অনেক বেশি, আর শরিয়া আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা এখনো নতুন। কিন্তু শেখ আবদুল্লাহ ইয়াজিদি নারীদের ক্রীতদাসী করার ওপর জোর দেন।

তার বক্তব্য ছিল - এটা যখন ধর্মে বলা আছে তাই তা করতেই হবে, কারণ সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যই আইএস কাজ করছে। আইএসের দুটি কমিটি ছিল, একটি ইরাকে আরেকটি সিরিয়ায়। ইরাকি কমিটি ইয়াজিদি নারীদের ক্রীতদাসী করতে অস্বীকার করলো, কারণ তারা ইরাকি । তাদের নিজেদের স্ত্রী-পরিবারের ভয়ও তাদের ছিল। তা ছাড়া ইরাকিরা খ্রিস্টানদের ক্রীতদাসী করার ব্যাপারটাও গ্রহণ করেনি।

অন্যদিকে সিরিয়ার কমিটি ছিল আল-বাগদাদির অধিকতর ঘনিষ্ঠ, কারণ আল-বাগদাদি তখন রাক্কাতেই থাকতেন। তখন একটা আপোষরফা হলো। সেটা হচ্ছে এই রকম যে শুধু ইয়াজিদি নারীদের ক্রীতদাসী করা হবে, খ্রিস্টানদের নয়। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলে, আইএস সেসময় ৭০০০ নারী ও মেয়েশিশুকে ক্রীতদাসী।

তবে ইসলামিক স্টেট যখন বাগদাদ ও ইরবিলেও তাদের দখল কায়েম করার হুমকি দিল - তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাল্টা ব্যবস্থা নিতে শুরু করলো। তাদের সামরিক অভিযান ও বোমাবর্ষণে বেশ কিছু শীর্ষ আইএস নেতা নিহত হলো। এর ফলে আল-কুরাইশি নেতৃত্বের লাইনে আরো ওপরের দিকে উঠে এলেন।

তাকে হত্যার বেশ কিছু চেষ্টা ব্যর্থ হয়

আল-কুরাইশিকে হত্যার বেশ কিছু চেষ্টা হয়েছিল, তবে তার বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়। একটি আক্রমণে আহত হয়ে তিনি তার একটি পা হারান।

বন্দী আইএস সদস্য সালেম আল-জুবুরি বিবিসিকে জানিয়েছেন, সম্ভবতঃ একটি আমেরিকান ড্রোনের হামলায় আল-কুরাইশি আহত হন। হাসপাতালে তার একটি পা কেটে বাদ দেয়া হয়, এবং সেবার চার মাসেরও বেশি সময় তাকে চিকিৎসা নিতে হয়।

মসুলের পতন, আইএসের পতনের সূচনা

ক্রমাগত বিমান হামলার কারণে আইএস ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল। ব্যাপক যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে ইরাকের মসুল শহর থেকে আইএসকে উৎখাত করা হয়, এবং এখান থেকেই শুরু হয় আইএসের পতনের।

আল-বাগদাদি বুঝেছিলেন যে আইএস তার নিয়ন্ত্রিত ভূখন্ড হারাতে যাচ্ছে, সে কারণে তিনি ইসলামী খিলাফত ঘোষণার আগের যুগে আইএসকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার আদেশ তৈরি করছিলেন। এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে আল-বাগদাদি এবং আল-কুরাইশি সিরিয়ার আল-বুকামাল শহরে চলে আসেন। এখানেও তাদের ওপর একটি বিমান হামলা হয় - যা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তারা।

আল-কুরাইশির গায়ে বোমার টুকরোর আঘাত লাগে কিন্তু তার এক সহচর নিহত হয়। তখন হাজি আবদুল্লাহ একটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাফেরা করতেন - জানান সালেম আল জুবুরি। এরপর আল-কুরাইশিকে প্রথম হাসপাতালে এবং পরে ইদলিবে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

অব্যাহত হামলার ঝুঁকির মধ্যে আইএসের নেতারা শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নেয় সিরিয়ার ছোট শহর বাঘুজ-এ। এখানেই ২০১৯ সালে সমাপ্তি ঘটে ইসলামিক স্টেটের খিলাফতের। হাজার হাজার যোদ্ধা ও তাদের পরিবার আত্মসমর্পণ করে।

আল-বাগদাদি নিহত, নতুন আইএস নেতা আল-কুরাইশি

কয়েক মাস পর উত্তর সিরিয়ার ইদলিবে আল-বাগদাদি তার গোপন বাসভবনে অন্য কয়েকজন নেতার সাথে বৈঠক করছেন এমন একটি ভিডিও বেরোয়। আল-বাগদাদি ছাড়া ভিডিওতে অন্য নেতাদের মুখ আইএস নিজেই ঝাপসা করে দেয়। তবে মনে করা হয় যে উপস্থিত এই নেতাদের মধ্যে আল-কুরাইশি একজন।

এই সময়টায় তাকে সম্ভাব্য পরবর্তী নেতা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছিল। অবশেষে ২০১৯ সালে সেই অবধারিত ঘটনাটি ঘটে, আমেরিকানদের এক হামলায় আবু-বকর আল-বাগদাদি নিহত হন। এর ফলে হাজি আবদুল্লাহ ওরফে আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরাইশির আইএস নেতা হবার পথ খুলে যায়।



আমেরিকানরা কুরাইশির সন্ধান পায় গত বছর

ইদলিবের যে এলাকাটিতে আল-কুরাইশি তার পরিবার নিয়ে থাকতেন সেটি একটি দরিদ্র এলাকা, যেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দাই সিরিয়ার অন্য এলাকা থেকে গৃহযুদ্ধের কারণে পালিয়ে এসেছেন। জলপাইয়ের গাছে ঘেরা একটি অতিসাধারণ ভবনের চারতলায় থাকতেন আল-কুরাইশি ।

প্রায় ১১ মাস আগে এই বাড়িটির তিন তলায় ভাড়াটি হিসেবে থাকতে আসেন একজন ট্রাক চালক ও তার পরিবার। গত বছরের শেষ দিকে আমেরিকানরা গোপনসূত্রে খবর পায় যে আল-কুরাইশি এই বাড়িটির ওপর তলায় থাকছেন। বিবিসির বিশ্লেষক গর্ডন কোরেরা বলছেন, আইএস বা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই ড্রোন ব্যবহার করে।

শুধু মাত্র হাই-ভ্যালু লক্ষ্যবস্তুর ক্ষেত্রে, কাউকে জীবিত ধরতে চাইলে বা ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলেই মাটিতে কমান্ডো নামিয়ে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়ে থাকে - যেটা করা হয়েছিল ওসামা বিন লাদেন বা আল-বাগদাদির ক্ষেত্রে। কারণ এধরনের অভিযানে ঝুঁকি অনেক বেশি।

তবে আল-কুরাইশির নেতৃত্বে আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় পুনরায় সংগঠিত হয়ে শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে - সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা থেকে এ আভাস যাচ্ছিল। এ প্রেক্ষাপটেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ আক্রমণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন, এবং অভিযান চলার সময় তিনি হোয়াইট হাউসে বসে তা সরাসরি দেখছিলেন।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, তারা খবর পান যে আল-কুরাইশি কখনো বাড়ি থেকে বেরোতেন না, তবে মাঝে মাঝে ছাদের ওপর গোসল করতেন। এই বাড়ি থেকে তার সংগঠনের সাথে যোগাযোগের জন্য তিনি কাজে লাগাতেন তার নিচের তলায় বসবাসরত ট্রাক ড্রাইভারকে। হেলিকপ্টারে আসা আমেরিকান বিশেষ বাহিনী বাড়িটিতে অভিযান চালায় রাত একটার দিকে।

প্রথমে মার্কিন সৈন্যরা লাউডস্পিকারে একজন দোভাষীর মাধ্যমে বাড়ির ভবনটির সবাইকে বের হয়ে আসতে বলে। দোতলার একটি পরিবার বেরিয়ে এলেও অন্যরা আসেনি। মার্কিন বাহিনী এর পর বাড়িটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে শুরু করে। এর কিছু পরই আল-কুরাইশি একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান - যাতে তিনি নিজে এবং তার পরিবারের অন্যরাও নিহত হন।

মার্কিন কমাণ্ডোরা এর পর ভবনটিতে ঢুকে পড়ে এবং আল-কুরাইশির বার্তাবাহক সেই ট্রাকচালক ও তার স্ত্রীও আক্রমণে নিহত হন। তবে তাদের চার ছেলেমেয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। সূত্র: বিবিসিবাংলা

আল কায়েদা   সিরিয়া   আইএসআই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পকে বিদ্রূপ করে যা বললেন বাইডেন

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্রুপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, 'তার ইচ্ছা, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই নিজের শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করুক।' 

করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত জিনিস (ব্লিচ, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল) ব্যবহার করা যেতে পারে। 

টিভিতে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প এই অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।   

ট্রাম্পের করা এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার (১০ মে) বাইডেন এই মন্তব্য করেন। 

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে শুক্রবার সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বাইডেন বলেন, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। জনগণকে বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেন বাইডেন।

নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন ও রিপাবলিক নেতা ট্রাম্পের মধ্যে ব্যাপক বাগযুদ্ধ চলছে। দু'জনই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বাইডেন বলেন, 'মনে আছে, তিনি (ট্রাম্প) বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো কাজটি হল আপনার হাতে ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা ব্লিচ প্রয়োগ করা। তিনি এমনটা বলেছিলেন। আর তিনি এমনটাই ভাবেন। আমার ইচ্ছা, তিনি নিজেই নিজের শরীরে এর কিছুটা প্রয়োগ করবেন।'


ডোনাল্ড ট্রাম্প   মার্কিন প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুর প্রেসিডেন্টের ভাই গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই চাপের মধ্যে রয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর আগে গত মার্চ মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর চাপের মধ্যে থাকা প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের ভাইকে দুর্নীতির নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ভাইয়ের নাম নিকানোর রোলুয়ার্তে এবং প্রসিকিউটররা বলছেন, নিকানোর ঘুষের বিনিময়ে আঞ্চলিক নেতা এবং মেয়রদের তহবিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার বোনের দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন।

যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন নিকানোর রোলুয়ার্তে।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের আইনজীবী মাতেও কাস্তানেদা-সহ আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পেরুর পুলিশ ‘রোলেক্সগেট’ নামে পরিচিত দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাড়িতে অভিযান চালানোর কয়েক সপ্তাহ পর এই পরোয়ানা জারি করা হলো।

গত মার্চ মাসের শেষের দিকে চালানো ওই অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ এক ডজনেরও বেশি রোলেক্স ঘড়ির সন্ধান করে। মূলত বিলাসবহুল এসব ঘড়ি নিজের কাছে আছে বলে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে ঘোষণা করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের বড় ভাই ৬৪ বছর বয়সী নিকানোর বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া প্রসিকিউটররা প্রেসিডেন্টের আইনজীবী মাতেও কাস্তানেদাকে বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। কাস্তানেদা প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেকে দুর্নীতির তদন্তে পরামর্শ দিচ্ছেন।

এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারিকে 'রোলেক্সগেট' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে।

এদিকে বোলুয়ার্তে ও কাস্তানেদা উভয়েরই গ্রেপ্তার এবং তাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযানের চিত্র স্থানীয় টেলিভিশনের ক্যামেরায় উঠে এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পেরুর বিচার বিভাগ বলেছে, তারা ১০ ​​দিনের জন্য নিকানোর বোলুয়ার্তে এবং অন্যান্যদের 'আটকে রাখার' নির্দেশ দিয়েছে।


পেরু   প্রেসিডেন্ট   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হজ যাত্রীদের পরিবহনে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সালেহ আল-জাসের জানিয়েছেন, হজ মৌসুমে যাত্রীদের পরিবহনে উড়ন্ত ট্যাক্সি এবং ড্রোন ব্যবহার করা হবে। আল আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমানে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা চলছে। এক্ষেত্রে হজ মৌসুমে অনেক প্রতিষ্ঠান আমাদের একাধিক পরিবহন সরবরাহ করতে চাচ্ছে।   

তিনি বলেন, আমরা হজ যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করতে চাই এবং এ বছর হজে হাজিদের জন্য উড়ন্ত ট্যাক্সি চালু করা আমাদের জন্য বড় একটি উদ্যোগ। 

এর আগে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স জানিয়েছিল, তারা উড়ন্ত ট্যাক্সির মাধ্যমে কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে হজ যাত্রীদের জেদ্দার বিমানবন্দর এবং মক্কার হোটেলগুলোতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থাটি ১০০টি উড়ন্ত ট্যাক্সি কেনার কথাও জানিয়েছিল।

এদিকে হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে সৌদি আরব। এবার হজ ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। 

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন। যদি কেউ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে তাহলে ভবিষ্যতে সে হজে অংশ নেয়ার অনুমতি না-ও পেতে পারেন। অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বের করেও দেয়া হতে পারে।

প্রতি বছর মাত্র একবারই মক্কার পবিত্র কাবা শরীফে হজ পালন করা হয়। এ বছর জিলক্বদ মাসের চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে হজ হতে পারে ১৪ জুন।


হজ   যাত্রী   উড়ন্ত ট্যাক্সি   ড্রোন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‌'এমভি আবদুল্লাহ' এখন বাংলাদেশের জলসীমানায়

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দশা থেকে মুক্তির ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভিড়তে যাচ্ছে এমভি আব্দুল্লাহ। 

কুতুবদিয়ায় পৌঁছানোর পর দুই দিন পণ্য খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দরের নোঙরে ভেড়ার কথা রয়েছে; সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।  

২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ এখন বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় প্রবেশ করেছে জানিয়েছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। ১৩ মে বিকাল নাগাদ আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাকি পণ্য খালাস করবে।

এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।

জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর রয়েছে।

জাহাজ চলচাল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিক এর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলঙ্কার কাছেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এর পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয় এটি। 


এমভি আবদুল্লাহ   বাংলাদেশ   জলসীমানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারে আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে তাদের এই আবেদন। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রাফা হলো মিসর সীমান্তে অবস্থিত গাজার সর্বদক্ষিণের শহর। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই শহরে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছেন। এত মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করলেও বারবার রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইসিজের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যামূলক। কারণ এসব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জাতি, ও গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানিতে গাজায় গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন আইসিজে।

আইসিজে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল— দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, তারা গাজায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করছে।


ইসরায়েল   আইসিজে   দক্ষিণ আফ্রিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন