ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিকল্প কেজরিওয়াল না মমতা?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১১ মার্চ, ২০২২


Thumbnail মোদির বিকল্প কেজরিওয়াল না মমতা?

ভারতের পাঁচ বিধানসভার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিজেপি চারটিতেই বিজয়ী হয়েছে। আর অন্যদিকে পাঞ্জাবে আম-আদমি পার্টি বিজয়ী হয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের রাজনীতিতে একটা নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের আগে কৃষক বিদ্রোহ, নরেন্দ্র মোদির ক্ষমা চাওয়া, করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতা ইত্যাদি নানা ইস্যু নিয়ে মনে করা হচ্ছিল যে নরেন্দ্র মোদীর যুগ বোধহয় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পাঁচ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, নরেন্দ্র মোদি এখনো ভারতে জনপ্রিয়। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর এবং গোয়ায় বিরোধী দলকে পাত্তাই দেয়নি বিজেপি। অন্যদিকে পাঞ্জাবের এবার আম-আদমি পার্টি এককভাবে নির্বাচন করেছে। আম-আদমি পার্টি কংগ্রেস এবং বিজেপির বাইরে একটি রাজনৈতিক দল যারা দিল্লি বিজয়ের পর এবার পাঞ্জাবে বিজয় কেতন উড়ালো। তবে এই নির্বাচন একটি নতুন ধরনের রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি করেছে। 

পশ্চিমবাংলার নির্বাচনের পরে মনে করা হয়েছিল যে, মমতা ব্যানার্জি বোধহয় ভারতে নরেন্দ্র মোদির বিকল্প নেতা এবং নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন একমাত্র তৃণমূলের এই নেতাই। কিন্তু সর্বশেষ বিজেপির পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের পর মনে করা হচ্ছে যে, আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও হতে পারেন নরেন্দ্র মোদির বিকল্প এবং আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস নয় বরং বিকল্প রাজনৈতিক দলের জোট হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে আম আদমি পার্টি, তৃণমূলের মতো রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিত শক্তি। আর সেক্ষেত্রে পাঞ্জাব বিজয়ের মধ্য দিয়ে কেজরিওয়াল নরেন্দ্র মোদির বিকল্প হওয়ার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেলেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আম আদমি পার্টি টানা তিনবার দিল্লির মসনদ জয় করেছেন এবং এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি দিল্লীতে একটি নতুন ধরনের ব্যবস্থাপনা দাড় করিয়েছেন যেটিকে জনবান্ধব বলা হয় এবং দিল্লির জনগণ কেজরিওয়ালের শাসনে অত্যন্ত খুশি, তারা এটিকে দিল্লি মডেল বলছেন। দিল্লিতে কেজরিওয়াল স্কুল-কলেজের উন্নতি ঘটিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন, বিদ্যুৎ এবং পানির বিলে সাধারণ মানুষকে অনেক সাশ্রয়ী মূল্য দিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন করেছে, নানাভাবে সরকারি পরিষেবা বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেওয়া ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সরকারি অফিস-আদালতে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে দিল্লি মডেল এখন জনপ্রিয়। আর সেই ধারায় তিনি এবার পাঞ্জাবি কি করেন সেটি দেখার বিষয়। 

আমরা যদি নরেন্দ্র মোদির উত্থানের পর্ব বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব যে, নরেন্দ্র মোদির গুজরাট মডেল দিয়েই সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল কি সেই পথেই যাচ্ছেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়। আর অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রিক নেতা হিসেবেই নিজেকে পছন্দ করছেন এবং সেখানেই তিনি থাকতে চাচ্ছেন। তিনি তার রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিস্তৃতি বাড়াচ্ছেন না। তবে একটি বিষয় পাঁচটি রাজ্যর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়েছে তা হলো যে, কংগ্রেস এখন আর বিজেপির বিকল্প নয়। বিজেপি হটাতে গেলে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক ঐক্য দকার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেই ঐক্যের নেতা কে হবেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল নাকি মমতা ব্যানার্জি।

ভারত   মোদি   কেজরিওয়াল   মমতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২১ মে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে ইউরোপের চার দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আয়ারল্যান্ড, স্পেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য অন্তত চারটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিই নিউজের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে আরটিই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে যৌথভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ডাবলিন ও মাদ্রিদ এবং স্লোভেনিয়া ও মাল্টার মধ্যে যোগাযোগ তীব্র হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের এসব দেশ আগামী ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিষয়ে অনুষ্ঠিতব্য ভোটের অপেক্ষায় রয়েছে। ওই দিন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য হিসাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৩৯টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করল আমেরিকা?

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমার একটি বড় চালান ইসরায়েলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে দেশটির প্রশাসন। গত সপ্তাহেই বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর কারণ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না।

এমনকি ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলকে ইন্ধন যোগানকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ই  এখন রাফায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মানবিকতার বুলি প্রকাশ করছেন।  

বুধবার (৯ মে) তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন, ইসরায়েলি যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। খবর রয়টার্সের  

এদিকে সিবিএস নিউজকে ইসরায়েলের বোমার চালান আটকে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওই চালানে কয়েক হাজার কেজি বোমা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে সিবিএস নিউজ জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযান চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন ছিল। বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানোর পরও তারা পাত্তা দেয়নি।

ইসরায়েল সব ধরনের অনুরোধ ও আহ্বান উপেক্ষা করে রাফায় বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ইসরায়েলের অগ্রগতি নিশ্চিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চালানটি স্থগিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা ইসরায়েল পুরোপুরি পূরণ করেনি। ইসরায়েল রাফায় ওই বোমা ব্যবহারের করতে পারে বলে শঙ্কায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। 

তাহলে কি শুধুমাত্র নিজেদের কথা ভেবেই গাজাবাসীর প্রতি মানবিকতা দেখাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট? 

যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। আর কতদিন তারা এভাবে গাজাবাসির জন্য মানবিকতা দেখাবে তা নিয়েও এক ধরণের শঙ্কা থেকে যায়।


ইসরায়েল   বোমার চালান   স্থগিত   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের মহারাষ্ট্রে এক বছরে ২,৮৪১ কৃষকের আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট (আওরঙ্গাবাদ হাইকোর্ট) সম্প্রতি রাজ্যের কৃষকদের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে প্রতিবেদন তলব করেছিল। আদেশ মেনে সম্প্রতি তা জমা দিয়েছে হারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, বাস্তবে তা আরও বেশিও হতে পারে।

আত্মহত্যাকারীদের ৯৬ শতাংশই আর্থিক অনটন ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নিয়েছেন। বাকি ৪ শতাংশ আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যক্তিগত ও অন্যান্য কারণে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর হাজারো কৃষকের আত্মহত্যা প্রায় নিয়মিত ঘটনা মহারাষ্ট্রে। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের গোটা বছরে মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছিলেন ২ হাজার ৯৪২ জন কৃষক। তার আগের বছর ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ২ হাজার ৭৪৩ জন।

মহারাষ্ট্রকে বলা হয় ভারতের পেঁয়াজের রাজধানী। প্রতি বছর দেশটিতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়, তার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ আসে রাজ্যটির বিভিন্ন গ্রাম থেকে। পেঁয়াজ ছাড়া অন্যান্য ফসলও উৎপাদন করে মহারাষ্ট্র। কিন্তু রাজ্যের কৃষকদের বড় অংশই দরিদ্র এবং কৃষকদের আত্মহত্যা করার প্রবণতাও এই রাজ্যে বেশি। রাজ্যের কৃষক নেতা কিশোর তিওয়ারি এজন্য রাজ্য সরকারকে সরাসরি দায়ী করেছেন।

কিশোর তিওয়ারি বলেন  ‘মহারাষ্ট্রের কোনো রাজ্য সরকার আজ পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে কৃষকদের কল্যাণে কোনো পরিকল্পনা নেয়নি, বা নিলেও খুবই অদক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। ২ বছর আগে কৃষকদের ওপর ঋণের বোঝা কমাতে বিশেষ অর্থনৈতিক কর্মসূচি লোন ওয়েইভার স্কিম নিয়েছিল সরকার; কিন্তু সেই প্রকল্পে অনেক কৃষকের নাম নথিভুক্ত করা হয়নি। ফলে রাজ্যের বহু কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না।’


ভারত   কৃষক   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই খবর জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী রাফা সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সে সঙ্গে শহরটিতে বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে দুঃখিত হয়েছেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাফা শহরে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। ইসরায়েলের ট্যাংক বহর ফিলিস্তিনের সীমান্ত নগরী রাফাতে প্রবেশ করেছে যা খুবই উদ্বেগজনক। 

পুতিনের বার্তা গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়া এই অনুপ্রবেশকে আগ্রাসন এবং ১০ লাখেরও বেশি নাগরিকের এলাকায় একটি অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিভিন্ন ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, রাফা শহরে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মতো যে কোন হুমকিকে আগ্রাসন হিসাবে বিবেচনা করবে মস্কো।



ইসরায়েল   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে গত ৬৫ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠী কমেছে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে বেড়েছে সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের সংখ্যা। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। 

১৯৫০ সালে ভারতে মুসলিম ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যার ১৪.১৫ শতাংশ মুসলিম। শিখ জনসংখ্যা ১.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৮৫। বৃদ্ধির হার ৬.৫৮ শতাংশ। এছাড়া খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে খ্রিষ্টান জনসংখ্যার হার ২.২৪ থেকে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে। 

অন্যদিকে ১৯৫০ সালে ভারতের নাগরিক ছিলেন ৮৪ শতাংশ হিন্দু। পরের ৬৫ বছরে এই চিত্রটা পালটে গেছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ কমেছে হিন্দুর সংখ্যা। 

এই সমীক্ষাতে দেখা গেছে, মিয়ানমারেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে, এছাড়া হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে নেপালে। ১৬৭টি দেশের সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল। 

এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ভারতে ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই রিপোর্ট প্রমাণ করছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবলমাত্র সুরক্ষিতই নয় বরং সংখ্যার হারে ক্রমবর্ধমান। 

এদিকে, ভারতেরে উল্টো চিত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। এই দুই দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা (হিন্দু) বেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ হিন্দু নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এই ৬৫ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ০.২৯ শতাংশ।


ভারত   মুসলিম   হিন্দু   সংখ্যালঘু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন