ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমেছে মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় সারে ১৭ লাখ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১২ মার্চ, ২০২২


Thumbnail কমেছে মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় সারে ১৭ লাখ

বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত কিছুটা কমেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৬ হাজারমানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় সারে ১৭ লাখে।

গত ২৪ ঘন্টায় সারাবিশ্বে আরও পাঁচ হাজার ৯৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৫ জন।

শনিবার (১২ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু এবং শনাক্তের সংখ্যা কমেছে।
 
এইদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন এক হাজার ২২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৪ জন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬০ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৯৩ হাজার ৪৪ জনে।

অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৭৬ জন। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ২২৯ জন। এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৬২৬ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন নয় হাজার ৮৭৫ জন।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৮ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ২০০ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন চার কোটি ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬১ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৮৩৩ জন।
 
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় ৬৭৪ জন, তুরস্কে ১২৩ জন, ইতালিতে ১৫৬ জন, স্পেনে ৫৮ জন, ইরানে ১৩৯ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ২৯০ জন, পোল্যান্ডে ১২১ জন, মেক্সিকোতে ১৯৭ জন, জাপানে ২১১ জন, ভিয়েতনামে ৭১ জন, মালয়েশিয়াতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব করোনাভাইরাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোট সরকার গড়লে সমর্থন দেবে মমতার তৃণমূল

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোটইন্ডিয়া দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে। এমন দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই ঘোষণা দেন মমতা। 

দিল্লিতেইন্ডিয়াজোট সরকার গঠন করলে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব ধরনের সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেবো, যাতে আমার মা-বোনদের কোনো অসুবিধা না হয়। ১০০ দিনের কাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।

তবে পশ্চিমবঙ্গে কোন ধরনের ইন্ডিয়া জোট নেই সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরবেন না। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে জোটে নেই। ওরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। ওরা বিজেপিকে সাহায্য করে।

এদিনের নির্বাচনী সভায় মমতারজোটের বাইরে থেকে সমর্থননিয়েই রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অতীতে সিপিআইএমসহ বাম দলগুলোকে এধরনের ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল।

১৯৮৮ সালে কেন্দ্রে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গঠন করে, তখন বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন মমতা। যদিও এরপরে বিভিন্ন সময় কখনো বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়, আবার কখনো মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রথম চার দফার ভোটে এরই মধ্যে ৩৭৯ আসনের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম শেষ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুন। ভোটগণনা আগামী জুন।


দিল্লি   ইন্ডিয়া জোট   সরকার   মমতা   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার একটি সরকারি বৈঠক শেষে ফেরার পথে তিনি তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। স্লোভাক গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর।

হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দিল জর্ডান

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। 

বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল।

জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।

জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।


ইরান   অস্ত্র   চোরাচালান   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সব সফর স্থগিত করলেন জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের খারকিভে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনারা। এরপর সেখান দিয়ে একের পর এক অঞ্চল দখল করে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে তারা।

এরমধ্যেই নিজের সব আন্তর্জাতিক সফর স্থগিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

বুধবার (১৫ মে) তার দপ্তর থেকে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'আগামী কয়েকদিনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অন্যান্যদের যেসব আন্তর্জাতিক সফর ছিল সেগুলো স্থগিত এবং সফরগুলোর সময় পুনরায় নির্ধারিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কায়রাইলো বুদানোভ সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, খারকিভের সম্মুখভাগের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়েছে। এরপরই জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে খারকিভের রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সেনারা তীব্র হামলার মুখে পড়েছে এবং তাদের আরও সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেন সাধারণত সেনাদের প্রত্যাহার করার সরাসরি ঘোষণা দেয় না। এর বদলে তারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে 'সেনাদের সুবিধাজনক স্থানে' নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

সেনাবাহিনীর এ মুখপাত্র আরও বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন রুশ সেনাদের তারা শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছেন না।

এদিকে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান খারকিভের ভোভচানস্ক এবং লুকিয়ান্তসি থেকে সব মানুষকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার এমন আহ্বানের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সেদিকটায় তড়িৎ গতিতে এগিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনারা।

রুশ বাহিনী খারকিভে কী লক্ষ্য নিয়ে প্রবেশ করছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন তারা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চান। যেন ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতর কোনো ধরনের হামলা না চালাতে পারে।


সফর   স্থগিত   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০ বছর পর ক্ষমতা ছাড়ছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং। 

টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'।

বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।

১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে সিঙ্গাপুর। এরা সবাই দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিপল'স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সদস্য। প্রথমজন লি কিউয়ান ইয়িউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের স্থপতি। বর্তমান বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংয়ের পিতা লি কিউয়ান ইয়িউ টানা ২৫ বছর দেশটির সরকারপ্রধান ছিলেন। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম গোহ চোক তং।

৭২ বছর বয়সী লি সেইন লুং অবশ্য এখনই রাজনীতি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির পর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সদস্য থাকবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের সাংবাদিকদের শেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লি সেইন। সেই সাক্ষাৎকারে এত বছর ধরে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও অন্যদের চেয়ে বেশি গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টা করিনি; বরং চেষ্টা করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে চলতে।’

‘এবং আমি মনে করি, গত ২০ বছরে জাতিগতভাবে আমরা কিছু সাফল্য অর্জন করেছি। তবে এটা আমি স্বীকার করব যে, দুই পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমার কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল।’

১৯৮৪ সালে তরুণ বয়সে সাধারণ কর্মী হিসেবে পিএপিতে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার বাবা লি কিউয়ান ইয়িউ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে বাবা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও সে সময় দল থেকে তেমন কোনো আনুকূল্য পাননি তিনি। আর দশজন সাধারণ কর্মীর মতোই ছিলেন।

লি সেইনের উত্থান ঘটা শুরু হয় দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং’য়ের সময়। গোহ চোক তং’য়ের একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে নিজেকে দলের ভেতর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি এবং তার ধারবাহিকতাতেই ২০০৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন।

প্রথম দিকে অবশ্য লি সেইনকে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রায় সবই ছিল স্বজনপ্রীতিমূলক (নেপোটিজম)। বলা হতো, সিঙ্গাপুর লি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে আর সেই পরিবারের সংরক্ষক হলেন গোহ চোক তং।  

তবে পরবর্তী ২০ বছরে বহুবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্ব সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বহুমুখী এবং বিকশিত হয়েছে, একটি সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দেশটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র এবং ট্যুরিস্টদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে; মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া তার শাসনামলের ২০ বছরে কখনও মূল্যস্ফীতি বা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়নি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও নয়।

ভূরাজনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন লি সেইন। পরস্পরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দুই শক্তিমান দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি।

তবে অন্য সব রাজনীতিবিদের মতো লি সেইনও সমালোচনার ঊর্ধে নন। বিভিন্ন আইনী প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা সীমিত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। এ কারণেও তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল। মূলত তার শাসনামলেই ২০১১ এবং ২০২০ সালের ভোটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিল পিএপি।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড ল’ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও লি সেইনই আসলে সিঙ্গাপুরের জনগণের প্রকৃত নেতা। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।’


ক্ষমতা   সিঙ্গাপুর   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন