ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয় বেড়েছে

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ৩১ মার্চ, ২০২২


Thumbnail বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয় বেড়েছে

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা উভয় বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় পৌনে ১৬ লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, জার্মানি ও ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৮ কোটি ৬৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ লাখ ৬১ হাজার।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ১৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড়শো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৩৯৬ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার ১১২ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫২৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫ হাজার ৮৫৫ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৩২২ জন এবং মারা গেছেন ৬২৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৬ হাজার ৩৬৮ জন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

করোনা   বিশ্বজুড়ে  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৯:৩৯ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। মঙ্গলবার (২১ মে) এ মন্তব্য করেন সের্গেই লাভরভ। খবর রয়টার্সের।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অভ্যন্তরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে। 

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তৈরি উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ ইরানে সরবরাহের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

রাইসি যে হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল ২১২ মডেলের। গত শতকের সত্তরের দশকে ইরান এই মডেলের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার কেনে। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শাহের পতন ঘটার পরও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আসছে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্র ও বড় বড় কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের পক্ষে তাদের এসব উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ পাওয়া বা হালনাগাদ করা কঠিন হয়ে উঠে।

গত রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।

সোমবার বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরার রাষ্ট্রীয় টিভি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক মৃত্যুতে একদিকে যখন শোকের ছায়ায় ভাসছে বিশ্বের একাংশ অন্যদিকে উল্লাসেও ফেটে পড়েছে আরেক অংশ। যেখানে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনগণ, ইসরায়েল-আমেরিকাবিরোধীরা রাইসির মৃত্যুতে অনেকটাই হতভম্ব সেখানে খোদ ইরানে রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতেছে ইরানিদের একাংশ।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে একসময় রাইসি নৃশংসতা চালিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে দেশটির হাজার হাজার কারাবন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে যারা আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মিনু মাজিদির মেয়েরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যারা হতাহত হন তাদের মধ্যে একজন মিনু মাজিদি (৬২)। রাইসির মৃত্যুতে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

তাদের উদযাপনের পরেই দুই ইরানি নারী মারসেদেহ শাহিনকার ও সিমা মোরাদবেগি, নেচে এবং হাসি দিয়ে রাইসির মৃত্যুর সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাইসির মৃত্যু ঘিরে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপনের বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব ভিডিও- এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনেই অনেকে উদযাপন শুরু করে। এ নিয়ে তেহরানের এক বাসিন্দা তাদের কাছে ভিডিও পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসুন রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সুসংবাদ উদযাপন করি। এ ছাড়া আরও অনেক ভিডিওতে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে অনেককে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

এক ব্যবহারী এক্সে লিখেছেন, আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একমাত্র দুর্ঘটনা যেখানে কেউ বেঁচে গেলে মানুষ চিন্তায় পড়বেন। হ্যাপি ওয়ার্ল্ড হেলিকপ্টার ডে। অন্যদিকে রাইসির বিমান দুর্ঘটনার খবরে লন্ডনে ইরানি প্রবাসীরাও উল্লাস প্রকাশ করেছেন।

ইরানি প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এবার তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।

এতে বলা হয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী আসমা বিশেষ চিকিৎসা প্রোটোকলের মধ্য দিয়ে যাবেন; যার জন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর ফলে তিনি সরকারি কিংবা জনসংশ্লিষ্ট কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

এর আগে, ২০১৯ সালের আগস্টে সিরিয়ার এই ফার্স্ট লেডি বলেছিলেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ব্রেস্ট ক্যানসার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন তা শনাক্ত করায় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত সাবেক এই ব্যাংকার বিভিন্ন ধরনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। দেশটিতে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা বাড়ালেও দেশটিতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

সিরিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরিয়া ট্রাস্ট ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালনা করেন আসমা আল-আসাদ। তার এই প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে সিরিয়াজুড়ে অনেক দাতব্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে অন্যান্য সংস্থা।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছর প্রথমবারের মতো স্বামী বাশার আল-আসাদের সাথে বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান আসমা আল-আসাদ। ওই সফরে তিনি আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


লিউকেমিয়া   সিরিয়া   ফার্স্ট লেডি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ঢল তাবরিজে

প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে তাবরিজে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

উল্লেখ্য, রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ বাকিরাও নিহত হয়েছেন।


ইব্রাহিম রাইসি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েও পায়নি ইরান

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর তাদের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছে।

তবে 'কোনও কারণে' ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সেই সহায়তা করতে পারেনি। মঙ্গলবার (২১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলছেন না। তবে ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে তারা সেটা দিতে পারেননি।

ম্যাথু মিলার ইঙ্গিত দেন, রবিবার দুপুরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চেয়েছিল ইরান। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি উদ্ধার করে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় আনুষ্ঠানিক শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন বলেছে, রাইসির হাতে 'রক্ত' লেগে আছে। 

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।

ম্যাথু মিলার শুধু বলেন, রবিবার কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বলে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, ইরান এখন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় ইরানের জনগণ ও তাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আবার তার সমর্থন জানাচ্ছে।

মার্কিন প্রশাসন বলেছে, এটি একটি রেওয়াজমাফিক শোকবার্তা। এটি রাইসির প্রতি কোনো রকম সমর্থন প্রকাশ করছে না। রাইসি সেই ব্যক্তি, যিনি বিচারক থাকাকালে গণহারে রাজবন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কর্তৃপক্ষ নারীদের গণ–আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করেছে।

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।


যুক্তরাষ্ট্র   ইরান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন