ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনেও রয়েছে রুশ ধনকুবের আব্রামোভিচের গ্রহণযোগ্যতা

প্রকাশ: ০৯:০৪ এএম, ৩১ মার্চ, ২০২২


Thumbnail ইউক্রেনেও রয়েছে রুশ ধনকুবের আব্রামোভিচের গ্রহণযোগ্যতা

যুক্তরাজ্যের ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানা কিনে সারা বিশ্বে আলোচনার জন্ম দেন রাশিয়ার ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। চেলসি ফুটবল ক্লাব কিনে তাতে একেএকে তারকার মেলা বসানো, এরপর চ্যাম্পিয়নস লীগ জয় আব্রামোভিচকে ফুটবল বিশ্ব বিশেষ করে ইউরোপের মাঝে চরমভাবে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে আরো একটি কারণে আব্রামোভিচ সারা বিশ্বের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত আর তা হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা। তবে রুশ এই ধনাঢ্য ব্যক্তি নতুন করে আবার বিশ্ববাসীর কাছে আলোচনায় এসেছেন রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে চলমান যুদ্ধে সমঝোতাকারির ভূমিকায় থেকে। 

রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান শুরুর পর ইউরোপ ও আমেরিকান সরকার রুশ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টার্গেট করে একে একে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে। যেখানে রুশ বিলিয়নিয়ার বেশ চাপে পড়ে যান। পশ্চিমা সরকারগুলোর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে থাকে বড় বড় অনেক রুশ ধনী, জব্দ করা হয় তাদের সম্পত্তি। এর মাঝে নিজেকেও আবিষ্কার করেন আব্রামোভিচ। যুক্তরাজ্যতে নিজের এত জনপ্রিয়তা থাকার পরেও সেখানকার নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পারেননি এই রুশ ধনী। জব্দ করা হয়েছে তাঁর সম্পদও। 

তবে রুশ এই ধনীকে ঘিরে যে বিষয় নিয়ে এখন জোর গুঞ্জন চলছে তা হলো ইউক্রেন ও রাশিয়ার দু পক্ষের কাছেই তার গ্রহণযোগ্যতা। একজন রুশ হয়েও ইউক্রেনীয় সরকারের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানা ধোঁয়াশা তৈরি হলেও তাকে ঠিকি দেখা গেছে রুশ-ইউক্রেনের মাঝে সর্বশেষ আলোচনাতেও। 

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের সমঝোতা বৈঠকে দেখা যায় আব্রামোভিচকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার যাঁরা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাঁদের একজন আব্রামোভিচ। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন বোরিস ইয়েলৎসিন। তাঁর সঙ্গে সখ্য গড়ে ক্রেমলিনেও ব্যাপক প্রভাব তৈরি করেন আব্রামোভিচ।

বোরিস ইয়েলৎসিনের হাত ধরেই প্রথমে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও পরে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। তাঁকে যাঁরা সমর্থন দেন, তাঁদের একজন আব্রামোভিচ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের ক্ষমতায় বসার বছরেই রাশিয়ার চুকোৎকার অঞ্চলের গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালে গভর্নরের পদ ছাড়েন আব্রামোভিচ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আব্রামোভিচের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা গেনাদি গুদকভ। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমার সদস্য হিসেবে তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ এখন নির্বাসনে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আব্রামোভিচের একটি চমত্কার গুণ রয়েছে। ভবিষ্যতে কী ঘটছে, তা তিনি বুঝতে পারেন। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।’

আব্রামোভিচকে নিয়ে ইউক্রেনেরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া রাশিয়ার ধনকুবেরদের তালিকায় তাঁকে না রাখতে গত ২৩ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিশেষ অনুরোধ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আব্রামোভিচের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। 

শান্তি আলোচনায় আব্রামোভিচের উপস্থিতি নিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি জেলেনস্কির দপ্তর। তবে ইস্তাম্বুলে রাশিয়ার এই ধনকুবেরের উপস্থিতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দল সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টির এক রাজনীতিক অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি বিস্ময়কর। এ নিয়ে কী বলব, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনায় কেন আব্রামোভিচ অংশ নিলেন-এই প্রশ্নের জবাব রয়েছে ২০০৮ সালে চুকোৎকার অঞ্চলের গভর্নর হিসেবে মেয়াদ শেষের পর তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তে। এরপর ক্রেমলিনের বলয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন আব্রামোভিচ। এমনকি হাতেগোনা কয়েকজন ধনকুবের যাঁরা রাশিয়ায় থেকে সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ব্যবসা চালিয়ে যান, তাঁদের এড়িয়ে চলা শুরু করেন তিনি।

গেনাদি গুদকভ বলেন, ‘তিনি (আব্রামোভিচ) পুতিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এখন অতোটা গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট নেই। রাশিয়ার বাদবাকি ধনকুবেরদের সঙ্গে দূরত্ব গড়ে তুলেছেন। এসবের মধ্য দিয়ে দেশের বাইরে খ্যাতি অর্জন ও ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা করেছেন।’

এতো সবকিছুর পরও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পারেননি আব্রামোভিচ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন দুই পক্ষের কাছেই একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হয়েছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভভিত্তিক গবেষক অ্যালেস্কি কুশচ বলেন, ‘আব্রামোভিচ পশ্চিমা দেশগুলো ও রাশিয়ার অভিজাতদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে আছেন।’

অ্যালেস্কি কুশচ বলেন, রাশিয়ার অন্য ধনকুবেরদের হয় রাশিয়া বা ইউক্রেন, কোনো না কোনো পক্ষ অবিশ্বাস করে। সেখানে আব্রামোভিচ সব পক্ষের কাছেই পছন্দের ব্যক্তি।
জটিল সব পরিস্থিতিতে সঠিক পথ দেখনোর ক্ষেত্রে আব্রামোভিচের সক্ষমতার প্রশংসা করেছেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরাও। এমনই একজন আলেকসান্দার কোরঝাকভ। প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিনের নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান ছিলেন তিনি।

গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে আব্রামোভিচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন কোরঝাকভ। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের মধ্যে আব্রামোভিচ সব সময় সম্মান পেয়ে এসেছেন। তিনি সব সময় কথা রেখেছেন। আর কখনও কারোর সম্পদ মেরে দেননি।’

মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দক্ষতার পাশাপাশি দুঃখ-কষ্ট ও সফলতা মিলিয়ে আব্রামোভিচের একটি ব্যক্তিগত ইতিহাস রয়েছে। তাঁর নানা-নানি ছিলেন ইহুদি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁরা তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় পালিয়ে এসেছিলেন। আব্রামোভিচের বয়স তিন বছর হওয়ার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়।

কিশোর বয়সে আব্রামোভিচ মস্কোর রাস্তায় প্লাস্টিকের খেলনা ফেরি করতেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন হয়ে ওঠেন। এ সময় ইউক্রেনের ইহুদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও রুশ ভাষাভাষী ইহুদি পরিবার থেকে এসেছেন।
ইউক্রেনের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণার শিকারও হয়েছিলেন আব্রামোভিচ। সে ঘটনা আবার নিজ মুখে শুনিয়েছিলেন পুতিন। ২০১৪ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনের ধনকুবের ইহর কলোমোইস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন আব্রামোভিচ। কয়েক শ কোটি ডলারও দিয়েছিলেন। তবে সেই অর্থ পকেটে ভরেন কলোমোইস্কি।

এ নিয়ে পরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দুর্নীতি নিয়ে কাজ করা ইউক্রেনীয় সংস্থা অ্যান্টিকোর। সেখানে বলা হয়, কলোমোইস্কির সঙ্গে আব্রামোভিচের ওই চুক্তি হয় ২০০৭ সালে। ইউক্রেনের এই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচটি কারখানা কিনতে চুক্তিটি করা হয়েছিল।

ইহর কলোমোইস্কির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জেলেনস্কির। বেশ কয়েক বছর ধরে এই ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে থাকা টেলিভিশন চ্যানেলে কৌতুক অভিনেতা জেলেনস্কির অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। ইউক্রেনের বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় কলোমোইস্কির চেনাজানা গণমাধ্যমগুলোও জেলেনস্কির সমর্থনে কাজ করেছিল।

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ   রোমান আব্রামোভিচ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী। 

বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।

এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।

পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।


ক্ষেপণাস্ত্র   ভ্লাদিমির পুতিন   রাশিয়া   প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দেশ ভারত

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২২ সালে ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। যার ফলে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দেশটি। 

মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। এই প্রতিবেদন থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়কারী দেশ ছিল ভারত।  শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে- যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের রেমিট্যান্স আয় বছর বছর বেড়েই চলছে। ২০১০ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আয় ছিল ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই আয় দাঁড়ায় ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলারে।

২০২০ সালে আয় আরও বেড়ে হয় ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে দেশটির রেমিট্যান্স আয় ছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স গ্রহণে ২০২২ সালে বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ছিল ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে আরও বলা হয়, ভারতের এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১.৩ শতাংশ প্রবাসী।

এর ফলে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমিক সরবরাহকারী দেশ। দেশটির সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ভারত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ২৩.৪ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১৮ শতাংশ আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৬.৮ শতাংশ আসে যুক্তরাজ্য থেকে, চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.৭ শতাংশ আসে সিঙ্গাপুর থেকে এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.১ শতাংশ আসে সৌদি আরব থেকে। 


রেমিট্যান্স   ভারত   আইওএম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও তিন দেশে সৌদির ই-ভিসা পদ্ধতি চালু

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ডিসেম্বরে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করে সৌদি আরব। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশকে ই-ভিসার অন্তর্ভুক্ত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশিদের জন্য সৌদির এই ডিজিটাল ভিসা চালু হয় চলতি মাসের শুরুতে। এবার আরও ৩টি দেশকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের তিন দেশ বার্বাডোজ, বাহামাস ও গ্রেনাডাকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ৬৩ টি দেশকে ই-ভিসা সুবিধার আওতায় এনেছিল সৌদি আরব। ই-ভিসা সুবিধার আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকরা অনলাইনে সহজেই সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরের মতো প্রবেশপথগুলো থেকেই এই ভিসাসংক্রান্ত সব সুবিধা নিতে পারেন।

নতুন এই সুবিধা চালুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য সৌদি আরবের পর্যটক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপসাগরীয় জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরাও এই ই-ভিসা সেবা নিতে পারবেন। এই ভিসার আওতায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর বাসিন্দারা সৌদি আরবে পর্যটন, ওমরাহ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুবিধা পেয়ে আসছেন।

এর বাইরে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের যাত্রীদের জন্য ট্রানজিট ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব সরকার। এই ক্ষণকালীন ভিসার সাহায্যে এই সংস্থা দুটির যাত্রীরা চাইলে সৌদি আরবে ৯৬ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করতে পারবেন।


ই-ভিসা   সৌদি আরব   মধ্যপ্রাচ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলজিয়ামে শিশুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আরেক শিশু

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেলজিয়ামে ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ করেছে কয়েকজন ছেলে শিশু। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ বছর।

বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস টাইমস জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে জড়িত ছিল মোট ১০ শিশু। যাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। তারা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত তিনবার নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য মেয়ে শিশুটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটি চলার সময় শিশুটির এক ছেলে বন্ধুর বন্ধুরা তাকে লোভ দেখিয়ে বনের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তার একাধিক বন্ধু তাকে নির্যাতন করে। মেয়েটির ছেলে বন্ধুটি এতে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়ে শিশুটিকে দুইদিন সেখানে আটকে রাখা হয়। নির্যাতনকারী শিশুরা নিজেদের স্মার্টফোনে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করে।

বেলজিয়ামের অপর সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাড জানিয়েছে, ছেলে শিশুদের দলটির সবাই কম বা বেশি এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউই এই নির্যাতন থামানোর কথা বলেনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত শিশুরা অভিবাসীদের সন্তান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর চারজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।  

ওয়েস্ট ফ্লেমিসের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, সবচেয়ে কম বয়সী অভিযুক্তের বয়স ১১ বছর। যেহেতু অভিযুক্তরা খুবই কম বয়সী। তাই আমরা খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করছি না। তবে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এখন তদন্ত করা হবে অভিযুক্ত শিশুরা কতটা নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া আশপাশের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে।


বেলজিয়াম   শিশু   সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   শিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকিৎসার অভাবে গাজাবাসীর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চিকিৎসার অভাবে সাধারণ মানুষের ধীর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় আহতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় গাজার ভেতরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা।

এ ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আহত এবং অসুস্থরা ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করছেন। কারণ এখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই এবং তাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগও নেই। গাজার একমাত্র ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গেছে।'

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, 'ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং আহত ও অসুস্থদের বাঁচানোর জন্য, সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য এবং হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পৌঁছতে দেওয়ার জন্য আমরা একটি দ্রুত ও মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।'

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাধে। সাত মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ।


চিকিৎসা   গাজা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন