ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শ্রীলঙ্কা জুড়ে রাজপক্ষে পরিবারকে রাজনীতি থেকে হটানোর দাবি

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ১১ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail শ্রীলঙ্কা জুড়ে রাজপক্ষে পরিবারকে রাজনীতি থেকে হটানোর দাবি

মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে কমতে থাকায় স্বাধীনতার পর এখন সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে রীতিমতো লড়াই চালাচ্ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতির সঙ্গে যোগ হয়েছে, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট। তেল–গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। দিনের বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং চলতে থাকায় অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি সঠিকভাবে সামাল দিতে না পারায় শ্রীলঙ্কা জুড়ে শুরু হয়েছে গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে হটানোর জোর আন্দোলন। সেই সাথে পুরো রাজপক্ষ পরিবারকেই রাজনীতি থেকে সরিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের ক্ষমতায় বসানোর জোর দাবি উঠেছে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে। 

এছাড়া শ্রীলঙ্কাজুড়ে চলমান সংকট নিরসনে এখন দেশটির মানুষ আর এ পরিবারের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। আর তাই তো দাবি আদায়ে তীব্র গরম আর রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানী কলম্বোতে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তারা। রাজপক্ষে পরিবারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর পেছনে সাধারণ মানুষ যে কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তার মাঝে অন্যতম হল, ক্ষমতাসীন পরিবারটি ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার জনগণ মনে করছে, রাজপক্ষ পরিবারের স্বেচ্ছাচার দুর্নীতির জন্যই দেশের এই বেহাল দশা। 

শনিবার (০৯ এপ্রিল) কলম্বোর জনপ্রিয় গলে ফেস গ্রিন পার্কে ছাত্র, শিক্ষক, আইনজীবী, অভিনেতা ও স্থাপত্যবিদেরা এক বিক্ষোভে শামিল হন। এ সময় তাঁদের কণ্ঠে ছিলো, ‘বাড়ি যাও গোতা’, ‘বাড়ি যাও পাগল গোতা’ (ম্যাডম্যান গোতা)। খবর আল জাজিরা। 

বিক্ষোভকারীরা দেশের জাতীয় পতাকা নেড়ে নানা স্লোগান দেন। এ সময় সিংহলী ও ইংরেজি ভাষায় লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায় তাঁদের হাতে। তাতে দুর্নীতিবাজ ‘মন্ত্রী চাই না’, ‘রাজপক্ষে পরিবারের হাত থেকে শ্রীলঙ্কাকে রক্ষা কর’—এ রকম নানা স্লোগান লেখা ছিল।

শনিবারের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের একজন বুদ্ধি করুণাত্নে। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মরত এই যুবক বলছিলেন, ‘বিষয়টি (দেশের অর্থনৈতিক সংকট) এখন জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিক্ষোভের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে করুণাত্নে বলেন, এই প্রথমবারের মতো ভেদাভেদ ভুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজকর্মীরা একত্রে কোনো বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ও বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যোগ্য ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান তাঁরা।

শেন স্টিলম্যান নামের এক যুবক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘যেখানে মানুষ না খেয়ে থাকছে, সেখানে রাজাপক্ষে পরিবার ও তাদের সহযোগীরা আয়েশি জীবন যাপন করছে। এসব অন্যায় সহ্য করতে না পেরে আমি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি।’

থারিন্দু জয়াবর্ধনে নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘রাজাপক্ষে পরিবার ১,৮০০ কোটি ডলারের মালিক, এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এই সংখ্যা দেশের বৈদেশিক ঋণের প্রায় তিন গুণ।’

বিক্ষোভকারীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আল-জাজিরা রাজাপক্ষে পরিবারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

২০১৯ সালে গোতাবায়া রাজাপক্ষে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এক বছরের কম সময়ে পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তাঁর দল। জয়ের পর বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসান তিনি। অপরদিকে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেন।

শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদই নয়; রাজপক্ষে পরিবারের সদস্যদের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ অর্থ, কৃষি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের নজিরবিহীন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।

তবে শ্রীলঙ্কার অনেকে এখনো মনে করছেন, গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজপক্ষে দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ২০১৯ সালে ইস্টার সানডেতে বোমা হামলার উদাহরণ দিয়েছেন। হামলায় প্রায় আড়াই শ মানুষ নিহত হন। এ ঘটনার পর সরকার সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর আগে, ২০০৯ সালে তামিল টাইগারদের সঙ্গে চলা দীর্ঘ ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের ইতি টানতে সক্ষম হন সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা। তখন গোতাবায়া ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন। বড় ভাইয়ের পাশে থেকে তামিল বিদ্রোহীদের দমনে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।

কিন্তু ২০১৯ সালে রাজাপক্ষে পরিবার নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় দেশের নানা বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে—বলছিলেন একজন বিক্ষোভকারী। তাঁর কথায় সায় দিয়ে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতাই নেই গোতাবায়ার। দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান নেই তাঁর।’

শুধু বৈদেশিক রিজার্ভের অপ্রতুলতাই নয়। বিক্ষোভকারীরা দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করছেন। রিজার্ভ সংকট দেখা দেওয়ায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছে সাহায্য চাওয়া নিয়েও সরকার গড়িমসি করেছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। অপরদিকে গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত পর্যটনে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।

শিক্ষাদীক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন লেখক বুদ্ধদসা গালাপাথি। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর গোতাবায়া কী করেছেন? কিছুই করেননি। এ জন্য দেশের দায়িত্ব পালনে আমরা রাজাপক্ষেকে আর দেখতে চাই না। এমনকি এই পরিবারেরও কাউকে দেখতে চাই না আমরা।’

সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে গোতাবায়ার উদাসীনতা আরও ক্ষুব্ধ করেছে বিক্ষোভকারীদের । গত মার্চে সাধারণ মানুষ যখন প্রথম রাস্তায় নামেন, তখন সরকারের অনেক কর্তাব্যক্তিই তাঁদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেন। আবার অনেক সরকারি কর্মকর্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়া সংকট ঘনীভূত হয়।

শ্রীলঙ্কায় মার্চে তেল–গ্যাস, জ্বালানি, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার স্বাভাবিক সরবরাহ শুরুর দাবিতে সূত্রপাত হয় আন্দোলনের। অবস্থা বেগতিক দেখে একপর্যায়ে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। কিন্তু তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়ে তাঁকে।

শ্রীলঙ্কা   রাজাপক্ষে   দুর্নীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন