ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রুশ বাহিনী যেভাবে ডোনবাস অঞ্চল ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২২


Thumbnail

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায থেকে পিছু হঁটার পর রাশিয়া তার সৈন্যদের কিয়েভ থেকে সরিয়ে ইউক্রেনের পূর্ব দিকে নিয়ে গেছে। তাদের মনোযোগের কেন্দ্র এখন পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ডোনেটস্ক, যা ডোনবাস নামে পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে এই যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের এই প্রাচীন শিল্পাঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করতে হবে। কিন্তু তার এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাকে কী করতে হবে এবং সেটা কি সম্ভব হবে?

রুশ সৈন্যরা মারিউপোল শহরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইতোমধ্যে মানবিক বিপর্যয়ের সূচনা করেছে। তবে তারা এখনও সেখানে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পরাজয় ঘটাতে পারেনি।

ইউক্রেনের সবচেয়ে সু-প্রশিক্ষিত বাহিনীগুলোকে ইতোমধ্যেই পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ গত আট বছর ধরে সেখানে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে।

এসব যুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও তারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।

ওই অঞ্চলে রাশিয়ার নতুন করে শক্তি জড়ো করার জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “আমাদের প্রত্যেক মিটার জমির জন্য আমরা লড়াই করব।”

ডোনবাস কোথায় এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ

প্রেসিডেন্ট পুতিন যখন ডোনবাসের কথা বলেন তখন তিনি ইউক্রেনের কয়লা এবং ইস্পাত-উৎপাদনকারী অঞ্চলের কথা উল্লেখ করেন। তিনি পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ দুটো অঞ্চল লুহানস্ক এবং ডোনেটস্ক-এর সমগ্র এলাকাকে বোঝান। এই এলাকা দক্ষিণের মারিউপোল বন্দর-শহর থেকে শুরু করে উত্তরে রুশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।

পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো মনে করে রাশিয়া এই অঞ্চল দখল করে নেওয়ার মাধ্যমে ডোনেটস্ক থেকে ক্রিমিয়া পর্যন্ত দক্ষিণ উপকূলে একটি স্থল করিডোর প্রতিষ্ঠার করতে চায়।



“মূল বিষয় হচ্ছে ক্রেমিলন এই অঞ্চলকে ইউক্রেনে রুশ-ভাষীদের অংশ বলে চিহ্নিত করেছে যার অর্থ এই অঞ্চল ইউক্রেনের চেয়েও অনেক বেশি রাশিয়া,” বলেন ব্রিটেনে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের স্যাম ক্র্যানি-ইভান্স।

এসব অঞ্চলে হয়তো রুশ-ভাষী লোকেরাই বসবাস করেন, কিন্তু তারা এখন আর রুশ-পন্থী নন।

“মারিউপোল একসময় ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে বেশি রুশ-পন্থী শহরগুলোর একটি এবং এটি এমন মাত্রায় ছিল যা আমার ধারণাতেও ছিল না,” বলেন পোল্যান্ডে অবস্থিত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আঞ্চলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোচান কনসাল্টিং এর প্রধান কনরাড মুজাইকা।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর রাশিয়া দাবি করছে যে তারা লুহানস্ক অঞ্চলের ৯৩% এবং ডোনেটস্কের ৫৪% এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

এখন এই পুরো অঞ্চলকে আয়ত্তে নিতে হলে রুশ প্রেসিডেন্টকে আরও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। এবং তিনি যদি একসময় বিজয় অর্জন করতেও সক্ষম হন, ওই অঞ্চল এত বৃহৎ যে সেখানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে না।

পুতিন কেন ডোনবাস নিয়ন্ত্রণে নিতে চান

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ তুলেছেন যে তারা পূর্বাঞ্চলে গণহত্যা পরিচালনা করছে, যদিও তার এই অভিযোগের পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।

যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন পূর্বদিকের এসব অঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ ছিল ইউক্রেনের হাতে। বাকি অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পরিচালনা করত যারা সেখানে আট বছর আগে শুরু হওয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক আগেভাগে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুটো এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

রাশিয়া যদি এই দুটো বৃহৎ অঞ্চল জয় করতে পারে, তাহলে প্রেসিডেন্ট পুতিন দেখাতে পারবেন যে এই যুদ্ধ থেকে তিনি কিছু একটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ডোনবাসকে রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করে নেওয়া। ২০১৪ সালে বিতর্কিত এক গণভোটের মাধ্যমে ক্রিইমিয়াকে তিনি ঠিক যেভাবে রাশিয়ার অংশ করে নিয়েছেন।

লুহানস্ককে রুশ সমর্থিত নেতা এরই মধ্যে ‘অদূর ভবিষ্যতে’ সেখানে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে কথা বলেছেন, যদিও রণক্ষেত্রে এখনই এরকম একটি ছলের আয়োজন করা অসম্ভব হবে।

পুতিনের কৌশল কী 

রাশিয়ার সৈন্যরা উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।

“নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই অঞ্চল অনেক বৃহৎ। এছাড়াও এর ভৌগলিক জটিলতাকেও ছোট করে দেখা যাবে না,” বলেন লন্ডনে কিংস কলেজে সংঘাত ও নিরাপত্তা বিষয়ক অধ্যাপক ট্রেসি জার্মান।

সাত সপ্তাহের যুদ্ধের পরেও রাশিয়া তাদের সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখল করতে পারেনি। কিন্তু তারা ইজিওম শহরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের জন্য এই শহরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

“আপনি যদি দেখেন ইজিওমে তারা যা করছে, এখান দিয়েই প্রধান মহাসড়কগুলো গেছে, যার অর্থ হচ্ছে তারা তাদের যুদ্ধ-সামগ্রী এসব রাস্তা ও রেলপথে নিয়ে আসবে,” বলেন অধ্যাপক জার্মান।

রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডোনবাসের বিস্তৃত এলাকা প্রথমবারের মতো দখল করে নেওয়ার পর থেকে রাশিয়ার নিকটবর্তী শহরগুলোতে কয়েক বছর ধরে যুদ্ধ চলছে।

রাশিয়ার এর পরের বড় টার্গেট হবে স্লোভিয়ান্সকের একটি সড়ক। এই শহরে সোয়া এক লাখ মানুষের বাস। রুশ-সমর্থিত বাহিনী ২০১৪ সালে শহরটি দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু পরে সেটি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দখলে চলে যায়।



রাশিয়ার আরও একটি বড় টার্গেট হবে দক্ষিণ দিকে ক্রামাটরস্ক শহর দখল করে নেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলছে, ইউক্রেন যদি স্লোভিয়ান্সক শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে, তাহলে দুটো অঞ্চল দখলে রাশিয়ার অভিযান ‘ব্যর্থ হতে পারে।’

লুহানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি শহরে রুশ সৈন্যরা পর্যায়ক্রমে আক্রমণ চালিয়েছে। তারা সেভেরোডোনেস্কের কাছে রুবিঝনি শহর দখল করে নেওয়ার দাবি করেছে। লিসিচান্সক ও পপাসনা শহরেও তারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।

ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার বলছে এসব শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে রাশিয়া পশ্চিম দিকে তাদের বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে যারা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইজিওম শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করছে।

রাশিয়াকে সড়কপথে তাদের রসদ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একই সাথে ইউক্রেনের সৈন্যরা যাতে পশ্চিম থেকে রেলপথ দিয়ে আসতে না পারে সেজন্যও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে হবে।

ইউক্রেনের সৈন্যদের চলাচল এবং ভারী যুদ্ধ-সামগ্রী বহনের জন্য জন্য সবচেয়ে উপযোগী পরিবহন হচ্ছে রেল। এছাড়াও বেসামরিক লোকজন সবচেয়ে দ্রুত এই পথেই যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যেতে পারে।

রুশ বাহিনী যদি এই রেল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাহলে এই পথ ধরে তাদের সৈন্যরা রসদসহ অগ্রসর হতে পারবে।

আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি হাইদাই মনে করেন, রাশিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে লুহান্সকের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে যাওয়ার পথে তাদের সামনে যতো প্রতিবন্ধকতা পড়বে সেগুলোকে ধ্বংস করা।

রুশ সৈন্যদের অগ্রসর হওয়ার আগেভাগে বেসামরিক লোকজন পূর্বাঞ্চলের অনেক শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

“নিজের বাড়িতে অবস্থান করে রুশ গোলাবর্ষণে পুড়ে মরার বিষয়ে লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে,” বলেন হাইদাই।

স্লোভিয়ান্সক শহর থেকে এখনও ট্রেন চলছে, তবে উত্তরের ইজিওম এবং দক্ষিণের মারিউপোল ও মেলিটোপল শহরের সঙ্গে ট্রেন-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্রামাটরস্ক থেকেও কোনও রেল চলছে না। ওই শহরের রেল স্টেশনে রকেট হামলায় অপেক্ষমাণ ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর সেখান থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

লুহানস্কে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘ভীতিকর’ উপস্থিতি

রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় জীবন কিছুটা হলেও শান্ত, যদিও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করছে যে ইউক্রেনের বাহিনী আবাসিক বাড়িঘরে গোলাবর্ষণ করে বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করছে।

ডোনেটস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে ৭২ জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় রাশিয়ার আক্রমণে এর চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে।

লুহানস্কে এক নারী বলেছেন যে শহরে তিনি প্রচুর রুশ সামরিক বহর দেখতে পেয়েছেন এবং সেখানে এখন ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে।

“আমি আতঙ্কিত। খুব ভীতিকর এক অবস্থা। যেসব পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বয়স হয়েছে তাদেরকে স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীতে যোগ দিতে হচ্ছে। যারা যোগ দিতে চান না তারা পালিয়ে আছেন,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই নারী।

“রাস্তা-ঘাট থেকে তারা পুরুষদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। দোকানপাট, শহর ও রাস্তায় এখন কোনও পুরুষ মানুষ নেই। ফলে পুরুষরা যেসব ব্যবসা বাণিজ্য চালাতেন সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে,” ব্যাখ্যা করেন তিনি।

“আমরা তো ইতোমধ্যে রাশিয়া, যদিও সেটা অনানুষ্ঠানিকভাবে। আমাদের সবারই রাশিয়ার পাসপোর্ট আছে।”

ইউক্রেন কি পারবে পূর্বাঞ্চল ধরে রাখতে

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ১০টি ব্রিগেড নিয়ে জয়েন্ট ফোর্সেস অপারেশন বা জেএফও নামে যে বাহিনী গঠন করা হয়েছে তাতে দেশটির সবচেয়ে প্রশিক্ষিত ও সুসজ্জিত সৈন্যরা রয়েছেন।

“ইউক্রেনীয় বাহিনীর শক্তি সম্পর্কে আমরা এখনও আসলে কিছু জানি না,” বলেন রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের স্যাম ক্র্যানি-ইভান্স। তবে তিনি মনে করেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দেওয়ায় তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।



সাত সপ্তাহের যুদ্ধে রাশিয়ার বহু সৈন্য নিহত হয়েছে এবং তাদের মনোবলেও চিড় ধরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের যেসব বাহিনী যুদ্ধ করছে সেগুলোতে রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্থানীয় এলাকা থেকে সংগৃহীত পুরুষ এবং রুশ সেনাবাহিনীর সৈন্যরা।

“ইউক্রেনের বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য যতোটা সম্ভব রুশ পক্ষের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা। এছাড়াও ইউক্রেনীয়রা বড় ধরনের যুদ্ধ পরিহার করার কৌশল অবলম্বন করছে,” বলেন কনরাড মুজাইকা।

মারিউপোল শহরে রাশিয়ার বোমাবর্ষণ থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন এমন এক ব্যক্তি মিকিতা বলেছেন ইউক্রেনের সৈন্যরা যে রুশ বাহিনীকে রুখে দিতে পারবে এ ব্যাপারে তিনি আস্থাবান।

“ইউক্রেনের সেনাবাহিনী অনেক ধূর্ত। আমার শহরে আমি তাদেরকে দেখতে পাইনি, কিন্তু আমি তাদের শুনতে পেয়েছি। ছদ্মবেশ ধারণ করার ব্যাপারে তারা অত্যন্ত দক্ষ,” বলেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের কোনো বাড়ি-গাড়ি নেই মোদির

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের কোনো বাড়ি-গাড়ি নেই। তবে তাঁর তিন কোটি রুপির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বারানসির বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দেন মোদি। সেখানে দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

হলফনামার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির গাড়ি, বাড়ি কিছুই নেই। তবে বিজেপির অধিকাংশ প্রার্থীর মতো তিনিও কোটিপতি। মোদির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ২ লাখ রুপি।  মোদির হাতে নগদ অর্থ আছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসির দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর জমা রয়েছে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি। এর পাশাপাশি ২ কোটি ৮৬ লাখ রুপি ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে জমা রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কে। এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় ৯ লাখ ১২ হাজার রুপি একটি বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি ৪ টি সোনার আংটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। যার বাজার মূল্য ২ লাখ ৬৮ হাজার রুপি।

উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন বারাণসিতে লোকসভার ভোটগ্রহণ হবে। ধারণা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে মস্তিষ্ক ক্যানসার থেকে মুক্তি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক হলেন অধ্যাপক স্কোলিয়ার। তিনি গ্লায়োব্লাস্টোমার নামে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ধরনের রোগীদের অনেকে এক বছরও বেঁচে থাকে না। 

ক্যানসার নিয়ে নিজেরই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে স্কোলিয়ারের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসক স্কোলিয়ার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদ। ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর স্কোলিয়ার এবং তার সহকর্মী ও বন্ধু জর্জিনা লংকে অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্কোলিয়ার বলেন, আবারও এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেছে নতুন করে টিউমারটি ফিরে আসেনি। এতে ‘আমি অত্যন্ত খুশি!!!’

এক দশক ধরে ইমিউনোথেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়ার সহপরিচালকেরা। এ পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্যানসার কোষকে আক্রমণ করা হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যানসারের শেষ ধাপে থাকা রোগীদের মধ্যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্লেখজনক সাফল্য পাওয়া গেছে। 

স্কোলিয়ারের মস্তিষ্কের ক্যানসার সারাতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন অধ্যাপক লংসহ চিকিৎসকদের একটি দল। অধ্যাপক স্কোলিয়ার হলেন মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রথম রোগী, যার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারমুক্ত আছেন।  

মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়াতে অধ্যাপক লং এবং তার চিকিৎসক দল গবেষণা করে দেখেছে, কয়েকটি ওষুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হলে তা অপেক্ষাকৃত ভালো কাজ করে।

স্কোলিয়ারের চিকিৎসায় যে সাফল্য পাওয়া গেছে, তাতে চিকিৎসা জগতে আশার সঞ্চার হচ্ছে। লং ও স্কোলিয়ারের এ প্রচেষ্টা হয়তো প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ মানুষের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক   মস্তিষ্কের ক্যানসার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চাবাহার বন্দর চুক্তি: ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী— চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে।

আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।


ভারত   ইরান   তেহরান   চাবাহার বন্দর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: কোহেন

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।' 

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।

একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।

কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।

বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।


মাইকেল কোহেন   পর্ন তারকা   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন