ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চুপিসারে রাশিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন?

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ০৯ মে, ২০২২


Thumbnail চুপিসারে রাশিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন?

ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। সেই তুলনায় বিবাদমান দুই পক্ষের অন্য পক্ষ রাশিয়ায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক নেই বললেই চলে। তবে শক্তিশালী রাশিয়া যে তার অভ্যন্তরে পুচকে ইউক্রেনের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে না সে কথা বলা মুশকিল। 

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার অভ্যন্তরে বেশ কিছু বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এই যেমন – দেশটির রাজধানী মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে তেভারের মহাকাশ গবেষণা ইন্সটিটিউটে মারাত্মক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পার্মের একটি গোলাবারুদের কারখানাতেও ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, যা তেভারের কারখানাটি থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এ ছাড়া বেলারুশের কাছে রাশিয়ার শহর ব্রিয়ানস্কের দুই আলাদা তেলের ডিপোতে আগুন লাগে।

সব ঘটনাই কি কাকতালীয়? নাকি এসব ঘটনা ইউক্রেন বা তাদের সমর্থকদের রাশিয়ায় ঢুকে নাশকতা চালানোর চিহ্ন, যারা ইউক্রেন আক্রমণের জন্য মস্কোকে শায়েস্তা করতে চাইছে। পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

তেভারের কেন্দ্রীয় মহাকাশ গবেষণা ইন্সটিটিউটে আগুন লাগে ২১ এপ্রিল, যাতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই রাশিয়ার অভ্যন্তরে যেকোনো অগ্নিকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। বিশেষ করে সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে এ রকম ঘটনা, যা গোপন আক্রমণেরই ইঙ্গিত দেয়।

কেউই এসব নাশকতার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়েকটি আক্রমণ বিশেষ করে ব্রিয়ানস্কের ঘটনাগুলো কিয়েভের কাজ হতে পারে। এই ধারণার পালে হাওয়া দিয়েছে মিখাইল পোদোলিয়াকের একটি টেলিগ্রাম পোস্ট। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ এই উপদেষ্টা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশিয়ায় নাশকতার ঘটনাগুলোকে ‘ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে বড় তেলের ডিপোগুলো পর্যায়ক্রমে জ্বলতে থাকে। এ ছাড়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কর্মফল খুবই নিষ্ঠুর’।

‘আমরা অস্বীকার করছি না’

রাশিয়ার মতো অনেক বড় একটি দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কারখানা বা ভবনে আগুন লাগা তেমন কোনো ভ্রু-কুঁচকানোর মতো ব্যাপার নয়। কিন্তু ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর এসব ঘটনার অর্থ বদলে গেছে। রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে এক ডজনের বেশি আগুন লাগার কথা জানা গেছে। তাই গত মাসে রাশিয়ার পূর্বে ভ্লাদিভস্তক শহরের উত্তরের বিমানঘাঁটি ও সাখালিন দ্বীপের কয়লা খনিতে আগুন নাশকতার সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, গত বুধবার মস্কোর পূর্ব পাশে দিজারিজস্কে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর ইউক্রেনের একজন রেস গাড়িচালক বলেন, ‘রাশিয়ার নাশকতাকারীরা পুতিনের বিরুদ্ধে তাদের ঐতিহাসিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’ এই চালক রাশিয়ার ভেতর বিভিন্ন নাশকতার ঘটনার ছবি ও ভিডিও নিয়মিত টুইটারে পোস্ট করেন। তবে এসব অগ্নিকাণ্ড যে পরিকল্পিত নাশকতা, সে বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

জেলেনস্কির আরেকজন উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচও মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ইসরায়েল কখনোই তার গোপন হামলা বা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে না। ‘আমরা স্বীকার করছি না, অস্বীকারও করছি না।’

পরিকল্পনার অংশ?

সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্রিয়ানস্কের ইউরোপের তেল সরবরাহ পরিষেবায় হামলা ইচ্ছাকৃত এবং এটা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত।

‘ইউক্রেন ওয়েপন ট্র্যাকার’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের কাছে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ আছে যে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা থেকেই ব্রিয়ানস্কে আগুন লেগেছে।

আরেকজন বিশেষজ্ঞ রব লি গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা ছিল ইউক্রেনের হামলা। তবে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই।’

এ ছাড়া ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধক্ষেত্রের কাছে রাশিয়ার বেলগোরোদ ও কুরস্ক শহরে হামলা হয়। ১ এপ্রিল বেলগোরোদের জ্বালানি ডিপো হামলার পর শহরের গভর্নর হামলার জন্য ইউক্রেনের সেনাদের হেলিকপ্টার হামলাকে দায়ী করেন।

সমর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফিলিস ও’ব্রায়েন বলেন, ‘রাশিয়ার কৌশলগত বা সামরিক স্থাপনায় অনেক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এটা এসব হামলা ইউক্রেনিয়ান নাশকতা, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।’

স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও বলেন, এসব হামলা ‘নিশ্চিতভাবেই তাঁদের পরিকল্পনার অংশ’।

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   অগ্নিকান্ড   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন পর  শুক্রবার (১০ মে) জেল থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে মুক্তির পরপরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

কেজরিওয়ারের জেলমুক্তির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। রাজপথে তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্যই আমি আপনাদের সামনে। আমাদের দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।

এএপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, জেল থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি ইন্ডিয়া জোটের জন্য 'গেমচেঞ্জার' হয়ে উঠবে। ফলে ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বিরোধী দলগুলো।

আগামী ১ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরদিনই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন (৪ জুন) জেলেই কাটাতে হবে কেজরিওয়ালকে।


স্বৈরাচার   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   দুর্নীতি মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হানল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মে) রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে তারা। এসব রকেট ও কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। তবে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গতকাল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিনই ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বিমান হামলা গতকাল আঘাত হানে একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে। যেটি লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী প্রাণ হারান।

ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।


ইসরায়েলি   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুই পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরলেন স্বামী

প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে মনোমালিন্য, অশান্তি। আর এরই জেরে রাগে বাড়ি ছেড়েছিল স্ত্রী। পরে একাধিকবার বোঝানোর পরও স্ত্রী আর বাড়ি ফেরেননি। স্ত্রীর কার্যকলাপে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে একটি হোটেলের রুমে হানা দেন স্বামী। পরে সেখানে দুই পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন  স্ত্রীকে। এই অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী। এক পর্যায়ে ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি-মারামারি বেঁধে যায়।

একজন নয়, দুইজন পুরুষের সঙ্গে হোটেলের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী। ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি-মারামারি বেঁধে যায়।

পরে বিষয়টি গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের একটি হোটেলে। ওই স্বামী-স্ত্রী দুজনই পেশায় চিকিৎসক।

শনিবার (১১ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও ফ্রি প্রেস জার্নাল।

সংবাদমাধ্যম বলছে, নানা ঘটনায় নিত্যদিনই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। একদিন হঠাৎ রাগে বাড়ি ছেড়ে দেন স্ত্রী। অনেক বোঝানোর পরও স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে পারেননি চিকিৎসক স্বামী। তখন থেকেই স্বামীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।

শেষমেশ হোটেল রুমে স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখতে পাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। একজন নয়, দুইজন পুরুষের সঙ্গে হোটেলের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী।

ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি বেঁধে যায়। শেষে হোটেলের কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের আলাদা করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই সময়ে হোটেলেরই কয়েকজন সমস্ত ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন। যা ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। পরিবার সূত্রের খবর, স্ত্রীর পরকীয়ার প্রবণতার জেরে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই লাগত। প্রায় এক বছর ধরে তারা আলাদা থাকছিলেন। তবে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি।

পরে কোনোভাবে খবর পেয়ে ওই হোটেলে দুই আত্মীয়কে নিয়ে পৌঁছান ওই নারীর স্বামী। কিন্তু প্রাথমিকভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর জোর করে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। সেখানেই স্ত্রীকে দুই পুরুষের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেন স্বামী।

ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, তাদের তিনজনকেই বকেসঙ্গে হোটেলের বাথরুমে পাওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নারীও সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। চিকিৎসক স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি দুই যুবককেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন গাজিয়াবাদ ও অন্যজন বুলন্দশহরের বাসিন্দা।

তবে ওই নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।

অবশ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পুলিশের দলটি ওই নারীর স্বামী, নারীর উভয় প্রেমিক এবং স্বামীর দুই পুরুষ আত্মীয়সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ ঘটনায় চিকিৎসকের স্ত্রী জড়িত থাকলেও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।

ঘটনার বিস্তারিত এবং এর অন্তর্নিহিত পরিস্থিতি উদঘাটনের জন্য পুলিশি তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।


ভারত   উত্তরপ্রদেশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পকে বিদ্রূপ করে যা বললেন বাইডেন

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্রুপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, 'তার ইচ্ছা, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই নিজের শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করুক।' 

করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত জিনিস (ব্লিচ, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল) ব্যবহার করা যেতে পারে। 

টিভিতে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প এই অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।   

ট্রাম্পের করা এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার (১০ মে) বাইডেন এই মন্তব্য করেন। 

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে শুক্রবার সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বাইডেন বলেন, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। জনগণকে বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেন বাইডেন।

নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন ও রিপাবলিক নেতা ট্রাম্পের মধ্যে ব্যাপক বাগযুদ্ধ চলছে। দু'জনই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বাইডেন বলেন, 'মনে আছে, তিনি (ট্রাম্প) বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো কাজটি হল আপনার হাতে ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা ব্লিচ প্রয়োগ করা। তিনি এমনটা বলেছিলেন। আর তিনি এমনটাই ভাবেন। আমার ইচ্ছা, তিনি নিজেই নিজের শরীরে এর কিছুটা প্রয়োগ করবেন।'


ডোনাল্ড ট্রাম্প   মার্কিন প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুর প্রেসিডেন্টের ভাই গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই চাপের মধ্যে রয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর আগে গত মার্চ মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর চাপের মধ্যে থাকা প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের ভাইকে দুর্নীতির নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ভাইয়ের নাম নিকানোর রোলুয়ার্তে এবং প্রসিকিউটররা বলছেন, নিকানোর ঘুষের বিনিময়ে আঞ্চলিক নেতা এবং মেয়রদের তহবিল ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার বোনের দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন।

যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন নিকানোর রোলুয়ার্তে।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের আইনজীবী মাতেও কাস্তানেদা-সহ আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পেরুর পুলিশ ‘রোলেক্সগেট’ নামে পরিচিত দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসাবে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের বাড়িতে অভিযান চালানোর কয়েক সপ্তাহ পর এই পরোয়ানা জারি করা হলো।

গত মার্চ মাসের শেষের দিকে চালানো ওই অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ এক ডজনেরও বেশি রোলেক্স ঘড়ির সন্ধান করে। মূলত বিলাসবহুল এসব ঘড়ি নিজের কাছে আছে বলে প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে ঘোষণা করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের বড় ভাই ৬৪ বছর বয়সী নিকানোর বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া প্রসিকিউটররা প্রেসিডেন্টের আইনজীবী মাতেও কাস্তানেদাকে বোলুয়ার্তের বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। কাস্তানেদা প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তেকে দুর্নীতির তদন্তে পরামর্শ দিচ্ছেন।

এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারিকে 'রোলেক্সগেট' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যদিও কোনও ধরনের অন্যায় কাজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে।

এদিকে বোলুয়ার্তে ও কাস্তানেদা উভয়েরই গ্রেপ্তার এবং তাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযানের চিত্র স্থানীয় টেলিভিশনের ক্যামেরায় উঠে এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পেরুর বিচার বিভাগ বলেছে, তারা ১০ ​​দিনের জন্য নিকানোর বোলুয়ার্তে এবং অন্যান্যদের 'আটকে রাখার' নির্দেশ দিয়েছে।


পেরু   প্রেসিডেন্ট   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন