ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শ্রীলঙ্কায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশের খবর অস্বীকার সেনাবাহিনীর

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১১ মে, ২০২২


Thumbnail শ্রীলঙ্কায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশের খবর অস্বীকার সেনাবাহিনীর

লুট, ভাংচুর ঠেকানো, সরকারি সম্পত্তি রক্ষা নামে শ্রীলঙ্কায় চলমান বিক্ষোভে বিক্ষোভকারিদের দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশের কথা অস্বীকার করেছে দেশটির প্রতিরক্ষাপ্রধান ও সেনা কমান্ডার জেনারেল শাভেন্দ্র সিলভা। 

মঙ্গলবার (১০ মে) জেনারেল শাভেন্দ্র সিলভা বলেন যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোনো পরিস্থিতিতেই এই ধরনের অপমানজনক কাজ করবে না। 

এর আগে, শ্রীলঙ্কার ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা দুমিন্দা নাগামুয়া দাবি করেন যে, শ্রীলঙ্কার জনগণকে উসকে দিয়ে সরকারি সম্পত্তি লুণ্ঠন বা ব্যক্তির ক্ষতি করলে সশস্ত্র বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।  

এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যারা দেশের সম্পদ ধ্বংস ও লুট করবে তাদের ওপর ফাঁকা গুলি ছুড়তে তিন বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে এ ঘোষণা আসে যখন বিক্ষুব্ধ জনতা একের পর এক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিকদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে থাকেন। দুই দিনে ক্ষমতাসীন দলের এমপির বাড়িসহ অন্তত ৫০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

গত সোমবার (৯ মে) বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ থামেনি। দুই দিনের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে আটজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও দুইশ জনের মতো।

বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। চলতি সপ্তাহে দেশজুড়ে ঘটতে থাকে সহিংস ঘটনা। অগত্যা সরকার কারফিউ জারি করে রাজধানী কলম্বোসহ সর্বত্র।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকায় তৃতীয় দিনের মতো বুধবারেও দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে দেশটিতে। কলম্বোর রাস্তায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য।

শ্রীলঙ্কা   সেনাবাহিনী   কারফিউ   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মারা গেলেন শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী ব্যক্তি

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

৬২ বছর বয়সে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন রিচার্ড স্লেম্যান। পৃথিবীতে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার শরীরে প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর বাঁচলেন না। 

শনিবার (১১ মে) পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর এনডিটিভি  

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতালে দীঘ চার ঘণ্টা ব্যাপী অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তার শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর দুই সপ্তাহ তাকে পর্যবেক্ষণ শেষে এপ্রিলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে জানা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যুর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। 

রিচার্ড রিক স্লেম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো কিছু আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। 

ম্যাসাচুসেটসের ওয়েমাউথের বাসিন্দা রিচার্ড স্লেম্যান ট্রান্সপ্লান্ট গ্রহণের আগে বছরের পর বছর ধরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদিও রিচার্ড অন্য একজনের কাজ থেকে কিডনি নিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর ভালো থাকার পর তাকে আবার ডায়ালাইসিসে ফিরতে হয়। এরপর থেকেই তার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। 


শূকর   কিডনি   মৃত্যু   রিচার্ড স্লেম্যান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ত্যাগ করলো ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ডে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। খবর বিবিসি

স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা এমন কিছু করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় ভুগছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিক্ষোভের জেরে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এদিকে ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বক্তব্য দেওয়ার সময়ই শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান। তিনি ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্রবিক্ষোভ নিয়ে কথা বলছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে রিপাবলিকান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন বক্তব্য শুরু করার পরই গাউন-ক্যাপ পরা কিছু শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। 

জানা গেছে,  ক্যাম্পাসগুলোয় বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাচ্ছেন, যেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। ওই সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী।


ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   শিক্ষার্থী   ফিলিস্তিন   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে মরুর বুকে উট চলাচলে ট্রাফিক সিগন্যাল

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মরুভূমির জাহাজ বলা হয় উটকে। শত শত মাইল ধু ধু মরুভূমিতে যখন কোনোকিছু চলার উপায় থাকে না তখন একমাত্র বাহন উট। কিন্তু শত শত বছর ধরে এই প্রাণী মরুর বুকে বসবাস করে আসছ। তবে তাদের চলাচলে কখনো যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এমন খবর শোনা যায় নি। কারণ তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকে মাইলের পর মাইল এলাকা। তবে এবার উটের ভিড় এড়াতে ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর খবর মিলেছে।

প্রতি মে মাসে চীনের গানসু প্রদেশে উটের পিঠে চড়ার ধুম পড়ে। এ সময় কুমটাগ মরুভূমির মিংশা পাহাড় ও ক্রিসেন্ট স্প্রিং অঞ্চলের মনোরম পরিবেশ উপভোগের জন্য এ বাহন খুবই জনপ্রিয়। এ কারণে সড়কেও অনেক সময় ট্রাফিক জ্যাম লেগে যায়। তাই যানজট এড়াতে কর্তৃপক্ষ সেখানে ‘স্পেশাল ক্যামেল ট্রাফিক সিগন্যাল’ ব্যবস্থা চালু করেছে। 

গানসু প্রদেশের মিংশা পাহাড় ও তার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে ক্রমশ পর্যটনশিল্প উন্নতি লাভ করেছে। আর এ মরুঞ্চালের পর্যটকদের কাছে পরিবহনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে মরুভূমির জাহাজ উট। 

গত বছর এ সময়ে অন্তত ২৪০০ উটের পিঠে চড়ে হাজার হাজার পর্যটক এ এলাকা ভ্রমণ করেন। এতে অনেক সময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। তবে এর মধ্যেই বেশকিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যু হয় কয়েকটি উটের। সেই সমস্যার সমাধান করতে এ বিশেষ ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা। বিশেষ এ ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পর যানজট সমস্যার সমাধান হয়েছে। 


চীন   ট্রাফিক   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৭

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন । শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা।

রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। 


রাশিয়া   বাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব: জো বাইডেন

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস যদি নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব গাজায়। শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।


হামাস   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন